CARDIO PULMONARY RESUCITATION(CPR) ।। সি পি আর এর বিবিধ

 

CARDIO PULMONARY RESUCITATION(CPR) 

সি পি আর এর বিবিধ

-------------------------------------------------------------------

সি পি আরঃ

অজ্ঞান এবং শ্বাস প্রশ্বাস হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ থাকা অবস্থায়একজন রোগীর বুকে চাপএবং মুখে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস প্রশ্বাস প্রয়োগ করে জীবন বাঁচানোর সর্বশেষ প্রচেষ্টাকে সিপিআর বলা হয়।


করনীয়ঃ

১। অজ্ঞান / অচেতন তা পরীক্ষা করা

২। এ্যাম্বুলেন্সবা এমএস কে খবর দেয়া।

৩। এবিসি (ABC) পরীক্ষা করা।

৪। সঠিক পদ্ধতিতে রোগীর এয়ার ওয়ে (Airway) উন্মুক্ত করা।

৫। শ্বাস প্রশ্বাস (Breathingদেখা, শুনা এবংঅনুভব করার মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস পরীক্ষা করা। শ্বাস প্রশ্বাস না থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে  দুটি শ্বাস প্রদান করা।

৬। নাড়ীর স্পন্দন (Circulation) রোগী প্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশু হলে ক্যারোটিড (গলায়) পালস পরীক্ষা করা (-১০ সেকেন্ড) এবং নবজাতক হলে ব্রাকিয়াল পাল্স (বাহু) পরীক্ষা করা রোগীর পালস পাওয়া না গেলে কাল বিলম্ব না করে সিপিআর শুরু করা।

আরো জানতে

শিল্প কারখানার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট ও ‍বিবধ


প্রাপ্ত বয়স্কদের সিপিআর প্রদানের ক্ষেত্রে বুকে চাপ প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

১। রোগীর অবস্থান ঠিক করা

২। রোগীর বুক অনাবৃত করা

৩। প্রাথমিক চিকিৎসকের নিজের অবস্থান ঠিক করাঃ

৪। বুকে চাপ প্রদানের স্থান খুঁজে বের করা

৫। হাতের অবস্থান

৬। কাঁধের অবস্থান

৭। বুকে চাপ প্রয়োগ

 

পূর্ন বয়স্কদের সিপিআর সংক্ষিপ্ত সারঃ

চাপের গভীরতা              - সেঃমিঃ

চাপের হার                 ৮০-১০০ বার প্রতি মিনিটে

প্রত্যেকটি শ্বাসের স্থায়ীত্ব        .- ০২.০০ সেকেন্ড

পালসেরঅবস্থান             ক্যারোটিড পালস

একজন উদ্ধারকরীর জন্য চক্র    ৩০ টি চাপ.০২ টিশ্বাস(এভাবে ০৫ বার)

 

সিপিআর সম্পর্কে বিশেষ বিবেচ্য বিষয় সমূহঃ

) সিপিআর প্রদানের সময় প্রতিবার চাপে রোগীর পালস অনুভব হবে।

) প্রতিটি শ্বাস প্রদানের সময় বুক সঠিক ভাবে উঠানামা করবে।

) চোখের মনি স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরে পাবে।

) রোগীর চামড়ার রং এর উন্নতি হবে।

) রোগী নড়াচড়া এবং গলধঃ করনের চেষ্টা করবে।

)  হৃদস্পন্দন ফিরে আসবে।

 

যে সকল ক্ষেত্রে সিপিআর প্রদান করা যাবে নাঃ

) সুস্পষ্ট মরণ ক্ষত।

) শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া।

) পচন বিকৃত হয়ে যাওয়া।

) মৃত সন্তান প্রসব করা

) শরীর নীলবর্ণ কৃষ্ণ বর্ণ ধারন করা রক্ত শরীরের নীচের অংশে জমা হয়ে যাওয়া।

) স্থানীয় নিয়ম কানুনের ক্ষেত্রে বাঁধা।

 আরো জানতে

প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid)

সিপিআর এর কারনে সৃষ্ট জটিলতাঃ 

) স্টার নামবা পাজরের হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে।

) হৃৎপিন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

) বক্ষ গহŸরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

) ফুসফুস কেটে বা ক্ষতে সৃষ্টি হতে পারে

) লিভার থেতলে যেতেপারে।

 

সিপিআর প্রদানে ভুল সমুহঃ


সমস্যা

ফলাফল

রোগীকে শক্ত জায়গায় না রাখলে।

বুকের চাপ সঠিক কার্যকরী হবে না।

রোগীকে সমন্তরালভাবে না রাখলে

যদি মাথা রোগীর শরীর থেকে উচুঁ থাকে তাহলে মস্তিস্কে রক্ত সরবরাহ অপর্যপ্ত হবে।

মাস্কটি মুখ এবং নাকের উপর সঠিক ভাবে না আটকালে।

 রোগীকে প্রদেয় শ্বাসটি সঠিক ভাবে কার্যকরী হবে না।

হাতের অবস্থান সঠিক না হলে এবং চাপ প্রয়োগ সঠিক না হলে।

পাজর, হৃৎপিন্ড,ফুসফুস, লিভার ক্ষতিগ্রস্থ  হতে পারে।

বুকে চাপ এবং শ্বাসের হার সঠিক না হলে।

রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ অপর্যাপ্ত হবে।

 বি.দ্র.-টেবিলটি মোবাইলের মাধ্যমে দেখা না  যেতে পারে ।

সি পি আর  প্রদানে সহসা ব্যাঘাত সৃষ্টিঃ

) রোগীকে স্ট্রেচাওে উঠানোর সময়।

)  রোগীকে সিঁড়ি বালি ফট দিয়ে নীচে নামানোর সময়।

) রোগীকে এ্যাম্বুলেন্স উঠানো বা নামানোর সময়।

) রোগীকে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার সময়।

) রোগীকে অত্যন্ত  শারীরিক কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়ার সময়।

যে সকল কারনে সিপিআর প্রয়োজন হয় 

১) অত্যাধিক ভয় পেলে

২) বিদ্যূৎ স্পৃষ্ট হলে

৩) অত্যাধিক গরমে থাকলে

৪) অধিক ঘাম হলে

৫) রক্ত ক্ষরণ হলে

৫) পানিতে ডুবলে

 

পদ্ধতিঃ

.প্রথমে অজ্ঞান ব্যক্তিকে চিৎকরে শুইয়ে দিতে হবে।

.মাথা যে কোনএকদিকে  কাত করে রোগীর মুখ হা করে মুখের ভিতর পরিস্কার করে দিতে হবে।

.মাথা উপরের দিকে রেখে মুখের উপর একটার রুমাল দিয়ে সেবকের মুখ আড়াআড়িভাবে রেখে রোগীর থুতনিতে ধরে সজোরে নিশ্বাস ছাড়তে হবে। এরপর রোগীর ভিতরে যাওয়া বাতাস বের হওয়ার সময় দিতে হবে।

.অন্যজন বুকের বাম পাজরে পর পর তিনবার সজোরে চাপ দেবেন।

উপরের নং নংপদ্ধতি পর্যায় ক্রমে চলতে থাকবে যতক্ষণ না রোগী কাশি দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু করে। প্রতিবার বুকের চাপের পরই পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে, রোগীর হৃদযন্ত্র চালু হয়েছে কিনা

রোগীর হৃদযন্ত্র এবং শ্বাসতন্ত্র চালু হলে রোগীকে চিৎকরে শুইয়ে রেখেই তার দুইপা অন্য একজন দাড়ানো ব্যাক্তির হাটু বা কোমর পর্যন্ত তুলে রাখতে হবে যাতে রোগীর মস্তিস্কে পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত পৌছায়।

অবশেষে স্ট্রেচারে করে পায়ের দিকটা তুলনামূলক ভাবে উচুতে রেখে নিকটস্ত হাসপাতাল বা ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ডাক্তারের নিকট রোগীকে পরবর্তী শুশ্রƒষার ব্যবস্থা নিতে হবে।


শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ , রিপোর্ট তৈরি ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অডিট ফেস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ