শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ , রিপোর্ট তৈরি ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অডিট ফেস।| Training of workers, report making and social compliance audit face.

 শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ , রিপোর্ট তৈরি   ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স  অডিট ফেস।

Training of workers, report making and social compliance audit face.

প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় একজন মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ একটা মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে শুধু তাই না ট্রেনিং এর মাধ্যমে একজন মানুষ আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে

 

কমপ্লায়েন্স মানবসম্পদ বিভাগ প্রতিনিয়ত  সোশ্যাল  কমপ্লায়েন্স অডিট  এর সম্মুখীন হতে হয়।প্রত্যেক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অডিটের তাদের নিজস্ব কোড অফ কন্ডাক্ট থাকে এবং তাদের কোড অফ কন্ডাক্ট এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ   শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কিনা  তারা গুরুত্বের সাথে ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে এবং প্রয়োজনে তারা শ্রমিকদের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় তাদের আদৌ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কিনা।

 

বিভিন্ন বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে যেমন ফাস্ট  এইড, ফায়ার, শ্রম আইনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ,অভিযোগ অনুযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।


 জানা জরুরীঃ

 কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করা । বাৎসরিক ট্রেনিং ক্যালেন্ডারে মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া

 নোটিশের মাধ্যমে সকলকে অবহিত করা।

যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সে বিষয়ের উপর যথাযথ জ্ঞান রাখা এবং শ্রম আইনের ধারা ও বিধি  সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।

শ্রমিকদের সামনে আলোচনা করা। তারা যথাযথ বুঝতে পারছে কিনা  ফিডব্যাক নেয়া ।

 ডকুমেন্ট তৈরির জন্য কয়েকটি ছবি ওঠানো ।

 উপস্থিত শ্রমিকদের  হাজিরা সিটে স্বাক্ষরের মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করা ।

সর্বশেষ রিপোর্ট তৈরি  ফ্রন্ট পেজ ডিজাইন করা । সুন্দর একটি  রিপোর্ট তৈরি করা ।


রিপোর্ট তৈরির জন্য  ফন্ট পেজ এর নমুনাঃ


                                                                     

               নোটিশএর নমুনা

 

                                                                                                             তাং: ------------ ইং

 

এতদ্বারা -----------------লিঃ এর সকল  শ্রমিক কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আগামী ---------------------- ইং তারিখ রোজ রবিবার অত্র কারখানার  ------------------ সকাল ---------------- ঘটিকার সময়ছুটি গ্রহনের নীতির এর উপর এক প্রশিক্ষণ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

 

উক্ত প্রশিক্ষণ আলোচনা সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে ------------ রুমে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

                                                                                         

ধন্যবাদান্তে,

----------------

----------------

-----------------

                                                            ছুটির নীতি 


--------------------- লিঃ এর কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা ,কর্মচারী ও শ্রমিকদের  জন্য কিছু ছুটির বিধিমালা জানিয়ে দেয়ার জন্য নীতিমালা প্রনয়ন করেছে। যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত কারনে কোম্পানীতে নিযোজিত সকল ব্যক্তিবর্গ এখন হতে নিম্নলিখিত নীতি অনুযায়ী ছুটির অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবে। 

ছুটির প্রকারঃ

১.         সাপ্তাহিক ছুটি ।

২.        নৈমিত্তিক ছুটি ।

৩.        অসুস্থতাজনিত ছুটি।

৪.         উৎসব ছুটি।

৫.        অর্জিত ছুটি।

৬.        মার্তৃত্বকালীন ছুটি।

ছুটি অনুমোদনকারীঃ

১)    ব্যবস্থাপনা পরিচালক সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের ছুটি অনুমোদন করবেন।

২)   প্রশাসন বিভাগের প্রধান বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়া অন্যান্য সকলের ছুটি অনুমোদন করবেন।

ছুটি নেয়ার পদ্ধতিঃ

ছুটি প্রার্থী ব্যক্তিকে কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে ছুটির জন্য  আবেদন করতে হবে।

ছুটির আবেদনপত্র পূরন করে প্রথমে যার যার বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে।

বিভাগীয় প্রধান ছুটির সুপারিশ করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রশাসন বিভাগে পাঠাবেন ।

প্রশাসন বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সাপ্তাহিক ছুটিঃ 

প্রত্যেক কর্মী সপ্তাহে ০১ (এক) দিন (সাধারনত শুক্রবার )সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবে। জরুরী প্রয়োজনে কোন সাপ্তাহিক বা পর্বজনিত ছূটির দিনে কাজ করানো হলে পরবর্তী যত তারাতারি সম্ভব একদিন ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান করতে হবে। 

নৈমিত্তিক ছুটিঃ  

প্রত্যেক কর্মী বছরে পূর্ণ বেতনসহ দশ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্ন লিখিত শর্তের উপর -

১)নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করলেও পরবতী বছরে এই ছুটি যোগ হবে না । অর্থাৎ এই বছরের ৩১শে ডিসেম্বর এর পর এই ছুটি বাতিল হয়ে যাবে।

২)ছুটি কালীন সময়ের সাথে যদি কোন সাপ্তাহিক ছুটি বা কোন পর্বজনিত ছুটি পড়ে তাহলে তা ঐ ছুটির সাথে যোগ হবে না।

৩)নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই কর্মীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।

অসুস্থতাজনিত ছুটিঃ  

প্রত্যেক কর্মী বছরে ১৪ দিন অসুস্থতা জনিত ছুটি ভোগ করতে পারবে নিম্নে লিখিত শর্তের ভিত্তিতে  -

১)         প্রত্যেক শ্রমিক বছরে ১৪ দিন গড় অর্ধ বেতন সহ অসুস্থতাজনিত ছুটি ভোগ করতে পারবে।

২)        স্টাফ এবং অফিসারগন পূর্ণ বেতন সহ বছরে ১৪ দিন এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।

৩)        এই ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যাবে না।

৪)        দুই দিনের ছুটি হলে কোন ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে না।

৫)        ৩ দিন অথবা এর বেশী ছুটি হলে যথপোযুক্ত ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

 

উৎসব ছুটিঃ 

প্রত্যেক শ্রমিক বছরে অন্তত ১১ দিন পর্ব উপলক্ষ্যে সবেতন ছুটি ভোগ করতে পারবে।উৎসব ছুটির দিন ও তারিখ  কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

অর্জিত ছুটিঃ

যে কোন শ্রমিক এর চাকুরীর বয়স একটানা ১ (এক) বৎসর পূর্ণ হলে নিম্নের শর্তানুযায়ী একজন শ্রমিক সবেতনে এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।

১)------------------ এর সকল কর্মী যাদের চাকুরীর বয়স ১ বৎসর পূর্ণ হয়েছে তারা  পরবর্তী বছরে প্রতি ১৮ কর্মদিবসে একদিন অর্জিত ছুটি ভোগ করার অধিকারী হবে।

২)এই ছুটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভোগ না করে থাকলে পরবর্তী বছরে তার পাওনা ছুটির সাথে তা যোগ করা হবে।

৩) একজন শ্রমিকের অর্জিত ছুটির পরিমান ৪০ দিন হলে সে আর এই ছুটি জমা করতে পারবে না।

 

মার্তৃত্বকালীন ছুটিঃ

কোম্পানী মহিলা কর্মীদের জন্য নিম্নলিখিত শর্তানুযায়ী মার্তৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করবে।

১)এই ছুটি পেতে হলে একজন মহিলা কর্মীকে ন্যুনতম ৬ মাস একটানা এই কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।

২)সন্তান প্রসবের আট সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের আট সপ্তাহ পরে মোট যোল সপ্তাহ এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।

) একজন মহিলা কর্মী কর্মরত অবস্থায় সর্বোচ্চ দুইবার এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন।

) সন্তান প্রসবের আট সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তারি সার্টিফিকেট সহ ছুটির আবেদন পত্র পেশ করবে এবং সন্তান প্রসবের পর ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

) মার্তৃত্বকালীন ভাতা মার্তৃকালীন সুবিধা প্রদান নীতি অনুযায়ী প্রদান করা হবে।

ছুটি বর্ধিতকরনঃ

     ছুটিতে যাওয়ার পর শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চায় এবং যদি বর্ধিত মেয়াদের জন্য ছুটি পাওনা থাকে তবে তাকে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার যথেষ্ট আগে কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।

) ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যদি পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে কর্মী কাজে যোগদান না করে এবং যথাসময়ে কাজে যোগদান না করার কারন সম্পর্কে কর্র্তৃপক্ষকে সন্তাষ্টিমূলক জবাব দিতে না পারলে চাকুরীর শর্ত হারাবে।

)বিনা অনুমতিতে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকার পর কোন কর্মী যদি কর্তৃপক্ষকে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তবে তাকে অনুমোদিত  ছুটির দিন ব্যতীত বাকী দিন গুলো বিনা বেতনে ছুটি মন্জুর করা হবে।

   প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারীদের ছবি এর নমুনাঃ

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারীদের হাজিরা তালিকাএর  নমুনাঃ



এই নিয়মগুলো মেনে আপনি যদি রিপোর্ট তৈরি করেন এবং সুন্দর করে সাজানো তাহলে আপনার রিপোর্টটা দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে তেমনি তথ্যবহুল একটি রিপোর্ট হবে ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ