২৭) ভূমিকম্প প্রতিরোধ নীতিমালা


ভূমিকম্প প্রতিরোধ নীতিমালা

Anti Earthquake policy


উদ্দেশ্যঃ ভূমিকম্পের মতো জরুরী দূর্ঘটনা প্রতিরোধ মূল উদ্দেশ্য।

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ        

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ                      

Aim/objectives (লক্ষ/উদ্দেশ্য): ------------------------লিঃ তার শ্রমিকদেরকে সব ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা দূর্ঘটনায় সৃষ্ট সমস্যা হইতে রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কারখানায় কর্মকালীন সময়ে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উভয় কারণেই ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে। উল্লেখিত পরিস্থিতিতে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ তার শ্রমিকদেরকে নিরাপদভাবে রক্ষার জন্য পলিসি প্রণয়ন করছেন।

Responsible person’s (দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ):

জরুরী প্রয়োজনে এই পলিসি বাস্তবায়নে একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে যা এই নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করবেঃ

০১। সভাপতি- নির্বাহী পরিচালক/পরিচালক/মহাব্যবস্থাপক

০২। সহ-সভাপতি -  ম্যানেজার (এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স)

০৩। সাংগঠনিক সম্পাদক  - এইচআর/কমপ্লাইন্স অফিসার (প্রশাসন)

০৪। সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে - ওয়েলফেয়ার অফিসার/এক্সিকিউটিভ

০৫। সদস্য - মেডিকেল অফিসার , নার্স , শ্রমিক অংশগ্রহনকারী নিরাপত্তা কমিটির প্রতিনিধি

০৬। সদস্য - সেকশন / শাখা প্রধান, রেসকিউ টিম, প্রথিমিক চিকিৎসক জরুরী টিম।

Routine (কার্যপদ্ধতি): সকল শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ সমূহ অনুসরণ করা হবে-

.  কারখানার ভবন বা কোন কারখানা স্থাপন করতে হলে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হবে সনদ পত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

.  নিয়মিত গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির লাইন ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতি ১২ মাসে মাসে অন্তত একবার অথবা সার্টিফিকেট প্রদত্ত মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে একজন উপযুক্ত পরির্দশক বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাংঙ্গ আর্থিং ওয়্যারিং পরীক্ষা করতে হবে সনদ পত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

. প্রতিষ্ঠানের জরুরী বর্হিগমন রাস্তাগুলো চিহ্নিত করতে হবে প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখতে হবে।

. প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র মেশিন যন্ত্রপাতি আইনানুযায়ী প্রতিস্থাপন করতে হবে যাতে মানুষের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য বিপদজ্জনক না হয়।

. জরুরী টেলিফোন বা যোগাযোগের মাধ্যম এমন ভাবে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে যাতে সহজে দৃষ্টি গোচর হয়।  

. সমাবেশের জন্য নির্দিষ্ট, নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করতে হবে সমাবেশ স্থান লিখা থাকতে হবে।

ভূমিকম্পের পরবর্তী করনীর:

. ভুমিকম্প হওয়ার সাথে সাথে প্রতি ফ্লোরে স্থাপিত জরুরী এ্যালার্ম বেজে উঠবে, উক্ত জরুরী এ্যালার্ম এর শব্দ শোনার সাথে সাথে সকল শ্রমিককে ছুটাছুটি বা আতংকিত না হয়ে ধীর গতিতে সিড়ি দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে নীচে সমাবেশ স্থানে পৌছাতে হবে।

. কোন শ্রমিক উক্ত সময়ে যদি আহত হয় অথবা পড়ে যায় তার জন্য রয়েছে জরুরী রেসকিউ টীম (Rescue Team) তারা উক্ত আহত শ্রমিককে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসক আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিৎ করবেন।

. এখানে উল্লেখ্য যে, ভুমিকম্পের সময় অবশ্যই বিল্ডিং এর নিকট থেকে একটু দূরে সমাবেশ স্থান হতে হবে।

. উক্ত সময় কারখানার সকল বিদ্যুৎ গ্যাস লাইন বন্ধ করতে হবে।

. সম্ভব না হলে শক্ত কোন আসবাবপত্র (যেমন টেবিল, বেঞ্চ) বা কলাম/বীমের আশেপাশে অবস্থান করতে হবে। সম্ভব হলে হেলমেট পরিধান করতে হবে।

. জরুরী সময়ে মোবাইল অযথা চার্জ নষ্ট করা যাবে না। কোন দ্রব্য সামগ্রীর জন্য পুনরায় কারখানার ভেতর প্রবেশ করা যাবে না।

. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ভারকর্মী ছাড়া অযথা টানা-হেচড়া করা যাবে না।

. ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির পর পূনরায় ঝাঁকুনি হতে পারে সেজন্য বাহিরে সমাবেশ স্থানে সম্ভব হলে অন্তত ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাহিরে অবস্থান করা।

. গ্যাস, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, রাসায়নিক বিক্রিয়া, বিল্ডিং ফাটল ইত্যাদি ধরনের কোন ঝুঁকি থাকলে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বাহিরে অবস্থান করা।

The communication and implementation of routines (নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ) এই পলিসি কারখানার পলিশি বোর্ড সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ, ওয়েলফেয়ার অফিসার, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার, মেডিকেল অফিসার নার্সগনের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে এবং এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করতে হবে।

Feedback and control (মতামত/ নিয়ন্ত্রণ) এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ পরিচালক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

Conclusion (উপসংহার): সবার জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে একটি উৎপাদন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃস্টি হবে এবং এই শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে। এই নীতিমালাটির প্রয়োগ যেন যথাযথভাবে হয় অথ্যাৎ কারখানার পরিবেশ এবং পেশাগত নিরাপত্তা যেন কোনভাবে বিঘিœ না হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখবে।

Comments (মন্তব্য): কোম্পানী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় নীতিটি পরিবর্তন, পরিবর্ধন সংযোজন করতে পারবেন।

                                                             

 

প্রস্ততকারী          সমন্বয়কারী           অনুমোদনকারী

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ