২৬) জরুরী চিকিৎসা নীতিমালা ও পদ্ধতি


EMERGENCY MEDICAL POLICY & PROCEDURE

(জরুরী চিকিৎসা নীতিমালা পদ্ধতি)


উদ্দেশ্যঃ জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান সুস্থ্যতা আমাদের একমাত্র কাম্য।

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ       

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ        

উদ্দেশ্যঃ ---------------------------লিঃ এর সকল ইউনিটের কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।

পদ্ধতিঃ কারখানায় কর্মঘন্টা চলা কালিন সময়ে অফিসের অভ্যন্তরে যদি কোন শ্রমিক, কর্মচারী অথবা কর্মকর্তা শারিরীক ভাবে অসুস্থতা বোধ করেন তাহাকে প্রাথমিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসক সেবা প্রদান করেন। যদি প্রাথমিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসক যদি রোগীর শারিরীক অবস্থা উন্নতি করতে না পারেন তাহা হইলে অতি দ্রুত ফ্যাক্টরীর কেন্দ্রিয় মেডিকেল সেন্টারে কর্তব্যরত নার্স মেডিকেল অফিসারের স্বরনাপন্ন হবেন। যদি তাহার শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হয় সে ক্ষেত্রে তাহাকে কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ স্বাস্থ্য সেবা হালিম জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তাৎক্ষনিক হস্তান্তর করার যাবতীয় ব্যবস্থা কোম্পানীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গ্রহন করা হবে।

জরুরী চিকিৎসার প্রকারভেদগুলি নিচে বর্ণিত হলোঃ

০১) হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

০২) প্রচন্ড পেটে ব্যথা অনুভব করা

০৩) প্রচন্ড মাথা ব্যথা অনুভব করা

০৪) ডায়রিয়ার তাৎক্ষনিক চিকিৎসা

০৫) হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়া

০৬) আয়রণ করতে গিয়ে পুড়ে যাওয়া

০৭) যে কোন ধাঁরালো যন্ত্রপাতি দিয়ে আঘাত পাওয়া। যেমনঃ

)  স্নাপবাটন

) নিডেল

) সিজার

০৮) গর্ভীবতী মহিলা শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়া

০৯) শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের শিশুরা অসুস্থ হলে

জরুরী চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোম্পানীর নীতিমালাঃ

উপরে উল্লেখিত যে কোন একটি দূর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রতিটি ফ্লোরের সুপারভাইজারগণ, প্রতিটি প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের দায়িত্বে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যারা আছেন তাদের দ্বারা প্রাথমিক ভাবে কেটে যাওয়া বা আঘাতের স্থানে ব্যান্ডেজ করে রক্তপাত বন্ধ করে তাৎক্ষণিক কোম্পানীর কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। কোম্পানীর কর্তব্যরত ডাক্তার সব কিছু পরীক্ষা করে যা যা চিকিৎসা প্রয়োজন সেই মত ব্যবস্থা করে থাকেন। 

 

০১) কোন শ্রমিক যদি হঠাৎ করে ফ্লোরে অজ্ঞান হয়ে যায় অথবা মাথা ঘুরে পড়ে যায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্রেচারে করে কোম্পানীর কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। তিনি তখন তার সমস্ত ভাইটাল সাইনগুলো পরীক্ষা করে যদি নরমাল থাকে তবে তাকে কোম্পানীর সিক্ রুমে রেখে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সের সাহায্যে স্যালাইন বা আর যা যা করণীয় চিকিৎসা থাকে তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে থাকেন। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা বুঝে তিনি তাকে হাসপাতালে রেফার (Refer) করেন অথবা ছুটি বা বিশ্রামের জন্য পরামর্শ দেন।

০২) কোন শ্রমিক যদি হঠাৎ করে প্রচন্ড মাথা ব্যথা অনুভব করে থাকেন তাহলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শে কোম্পানীর তরফ থেকে ঔষধ প্রদান করা হয়

০৩) কোন শ্রমিক যদি হঠাৎ করে প্রচন্ড মাথা ব্যথা অনুভব করে তবে তাকে স্ট্রেচারে করে কোম্পানীর ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। ডাক্তার সমস্ত হিস্ট্রি নিয়ে এবং সব কিছু পরীক্ষা করে ট্যাবলেট বা ইনজেকশনের ব্যবস্থা করেন এবং তিনি প্রয়োজবোধে বিভিন্ন প্রকার ইনভেস্টিগেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে তার সমস্ত রিপোর্ট দেখে যথার্থ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যদি সার্জারীর কেস হয়ে থাকে তাহলে হালিম জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রেফার করে থাকেন।

০৪) আমাশয় ডায়রীয়াজনিত রোগের জন্য প্রাথমিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসা কোম্পানী দিয়ে থাকেন।

০৫) হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে তার প্রেসার পরীক্ষা করা হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শে সব ধরনের ঔষধ কোম্পানী প্রদান করে।

০৬) আয়রণ করতে গিয়ে পুড়ে গেলে প্রথমে কোম্পানীর ডাক্তারের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। ছোট ধরনের পোড়া হলে তার চিকিৎসা ডাক্তার করে থাকেন। বড় ধরনের পোড়া হলে তাকে হাসপাতালে রেফার করা হয় এবং তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব কোম্পানী বহন করে থাকে।

০৭) কোন ধরনের ধাঁরালো যন্ত্রপাতি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হলে কোম্পানী তার সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। কোন শ্রমিক যদি ফ্লোরে কোন ধরনের ধাঁরালো যন্ত্রপাতি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যান্ডেজ করে ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সের সাহায্যে যা যা চিকিৎসার প্রয়োজন সেই মত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যেমনঃ

) প্রথমে ভালোমত পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে ক্ষত স্থানে কোন নিডল ভেঙ্গে ঢুকে আছে কিনা। থাকলে তা বের করে দিতে হবে এবং না থাকলে তাপভিসেপ সলিউসনদিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে পভিসেপ অয়েন্টমেন্টদিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয়। কেটে যাওয়া স্থানে হাল্কা সেলাই এর প্রয়োজন হলে তা এখানেই করা হয় এবং যদি বড় ধরনের কাটা হয় তাহলে হাসপাতালে রেফার করা হয়।

) ইনজেকশন টিটেনাস এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকলে এন্টিবায়োটিক এবং ব্যথা নিবারনের ঔষধ কোম্পানী থেকে দেয়া হয়। সে সুস্থ অনুভব না করা পর্যন্ত তাকে বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়।

০৮) সকল গর্ভধারীনী মহিলা শ্রমিককে সন্তান প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত অন্ততঃ (তিন) বার শিশু মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং এর রিপোর্ট মেডিকেল রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। এছাড়া মেডিকেল রিপোর্ট এর ভিত্তিতে কোন প্রসূতি মহিলার শারীরিক অবনতি লক্ষ্য করা হলে তাকে সংগে সংগে হাসপাতালে প্রেরণ করবেন এবং মা শিশুর শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করবেন।

০৯) কর্মদিবসে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে যে সব শিশু অবস্থান করে সে সব শিশুর শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও কোম্পানীর ডাক্তার নিশ্চিত করবেন। কোন সময় কোন কারণে কোন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার তার চিকিৎসা দিবেন। যদি শিশুর শারীরিক অসুস্থতা ডাক্তারের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায় তখন সেই শিশুকে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গন স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ফজিলাতুন্নেসা মেডিকেল হাসপাতাল অথবা অন্য কোন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

প্রশিক্ষন: কারখানার এই জরুরী চিকিৎসা নীতিমালা সকল শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের অবহিত করার দায়িত্বে মেডিকেল অফিসার, নার্স, সমাজ কল্যান কর্মকর্তাবৃন্দ এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স টিম কাজ করবে।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করনঃ কারখানায় কর্মরত সকলের উদ্দেশ্যে অবহিত করনের জন্য কারখানার নোটিশ বোর্ডে এই নীতিমালা টানানো আছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

পরিশিষ্ঠঃ কারখানায় সমস্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার।


প্রস্ততকারী      সমন্বয়কারী           অনুমোদনকারী


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ