৪) মজুরীসহ ছুটির নীতিমালা

                                      মজুরীসহ ছুটির নীতিমালা

উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এবং শ্রম বিধি-১৫ এর আলোকে প্রত্যেক শ্রমিককে মজুরীসহ ছুটি প্রদান করা।

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ।

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ    

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ      


Casual Leave (নৈমিত্তিক ছুটি):

প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি পাবার অধিকারী হবে, এবং উক্তরুপ ছুটি কোন কারণে ভোগনা করওে তা জমা থাকবে না এবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাবে না।

Sick Leave (পীড়া ছুটি):

প্রত্যেক শ্রমিক প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে ১৪ দিনের পীড়া ছুটি পাবার অধিকারী হবেন। উক্তরুপ কোন ছুটি মঞ্জুর করা হবে না যদি না প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত চিকিৎসক অথবা চিকিৎসকের অবর্তমানে অন্য কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক পরীক্ষান্তে মর্মে প্রত্যয়ন করেন যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা এবং সুস্থতার জন্য প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখিত সময় ছুটির প্রয়োজন।

 

উক্তরুপ ছুটি কোন কারণে ভোগ না করলেও তা জমা থাকবে নাএবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাবে না।

Annual Leave (বাৎসরিক ছুটি):

কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে এক (০১) বৎসর চাকুরীপূর্ণ করলে তাকে পরবর্তী বার (১২) মাস সময়ে তার পূর্ববর্তী বার (১২) মাসের কাজের জন্য প্রতি আঠার (১৮) দিন কাজের জন্য এক (০১) দিন মজুরীসহ বাৎসরিক ছুটি পাবার অধিকারী হইবে।

 

বাংলাদেশ শ্রম বিধি ২০১৫ অনুযায়ী বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেকের অধিক নগদায়ন করা যাইবে না এবং এইরুপ নগদায়ন বৎসরে মাত্র একবার করা যাইবে।

Festival Leave (উৎসব ছুটি):

প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে অন্তত এগার (১১) দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি প্রদান করা হবে। উক্ত ছুটির দিন তারিখ মালিক কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

Maternity Leave (প্রসূতী কল্যাণ ছুটি):

প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট (০৮) সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট (০৮) সপ্তাহ প্রসূতী কল্যাণ সুবিধাসহ ছুটি পাবার অধিকারী হবে।

 

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলা উক্তরুপ সুবিধা পাইবেন না যদি তিনি তাহার মালিকের অধীন তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যুন ছয় (০৬) মাস কাজ করে থাকেন।

 

এখানে উল্লেখ্য যে, কোন মহিলা শ্রমিক উক্তরুপ সুবিধা পাবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাবার অধিকারী হলে তা পাবে।

ছুটির আবেদনের পদ্ধতি (Leave Application Procedure) t

শ্রমিক কর্তৃক ছুটি ভোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফরমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে ছুটির দরখাস্তের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদন পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ নিচে বর্ণিত হলোঃ

  • শ্রমিক কর্তৃক ছুটির আবেদনপত্র কারখানার মানব সম্পদ বিভাগ হতে মোট প্রাপ্য (নৈমিত্তিক/অর্জিত/অসুস্থতাজনিত) ছুটির পরিমাণসহ সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদনপত্র পূরণ কওে সুপারভাইজারের নিকট দাখিল করতে হবে।
  • সুপারভাইজার আবেদনপত্র গ্রহণকরে বিবেচনার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের সম্মতি সাপেক্ষে নিজস্ব অনুমোদন আবেদনপত্রে ব্যক্ত করবেন।
  • ছুটি না মঞ্জুরের ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্তৃক আবেদিত ছুটির দরখাস্তে সুপার ভাইজারকে অবশ্যই না মঞ্জুরের কারণ লিখিত আকারে ব্যক্ত করতে হবে। শ্রমিক যদি না মঞ্জুরের কারে দ্বিমত প্রকাশ কওে তাহলে উক্ত শ্রমিক তার ছুটির দরখাস্ত সরাসরি বিভাগীয় প্রধানের নিকট পুনঃবিবেচনার জন্য পেশ করতে পারবেন।
  • প্রাপ্ত ছুটির দরখাস্তের উপর বিভাগীয় প্রধান ছুটি মঞ্জুর বা না মঞ্জুরের মতামত লিখিত আকারে প্রকাশ করবেন।
  • ছুটির দরখাস্ত মঞ্জুর বা না মঞ্জুর উভয় ক্ষেত্রেই ছুটির যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে প্রশাসন বিভাগের নিকট প্রেরণ করতে হবে।
  • দরখাস্ত প্রাপ্তি পর প্রশাসন বিভাগ দরখাস্তের একাংশে অবশিষ্ট ছুটি উল্লেখসহ শ্রমিককে প্রদান করবে, যা উক্ত শ্রমিকের গ্রহণ যোগ্যতার প্রমাণ স্বরূপ বিবেচিত হবে।

ছুটির তথ্যাদি সংরক্ষণ (Maintenance of Leave Records):

শ্রমিক কর্তৃক আবেদিত সকল মঞ্জুরকৃত অথবা না মঞ্জুরকৃত ছুটির তথ্যাদি কারখানার মানব সম্পদ বিভাগ একটি নির্ধারিত ছুটির রেজিষ্টারে সংরক্ষণ করবে এবং আবেদিত ছুটির দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ব্যক্তিগত ফাইলে রাখতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

প্রস্ততকারী                সমন্বয়কারী                   অনুমোদনকারী

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ