মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও বিবিধ আলোচনা
বাংলাদেশ শ্রম (সংশােধন) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা
৪৫) কতিপয় ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকের কর্মী নিয়োগ নিষেধঃ
১) মালিক তার প্রতিষ্ঠানে স্বজ্ঞানে কোন মহিলাকে তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করাতে পারিবেন না ।
২) কোন মহিলা কোন প্রতিষ্ঠানে তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করিতে পারিবেন না ।
৩) কোন মালিক কোন মহিলাকে এমন কোন কাজ করানোর জন্য নিয়োগ করিতে পারিবেন না যাহা দুষ্কর বা শ্রমসাধ্য অথবা যাহার জন্য দীর্ঘসময় দাঁড়াইয়া থাকিতে হয় অথবা তার জন্য হানিকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি ।
ক) তাহার এই বিশ্বাস করার কারণ থাকে অথবা যদি মহিলা তাকে অবহিত করিয়া থাকেন যে ১০ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করার সম্ভাবনা আছে ।
খ মালিকের জানামতে মহিলা পূর্ববর্তী দশ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন :
তবে শর্ত থাকে যে চা বাগানের শ্রমিকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চা বাগানের চিকিৎসক কর্তৃক যতদিন পর্যন্ত সক্ষমতার সার্টিফিকেট পাওয়া যাইবে ততদিন পর্যন্ত উক্ত শ্রমিক হালকা ধরনের কাজ করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ যতদিন তিনি করবেন ততদিন তিনি উক্ত কাজের জন্য প্রচলিত আইন অনুসারে নির্ধারিত হারে মজুরি পাবেন যাহা প্রসুতি কল্যাণ ভাতার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে ।
৪৬) প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার এবং প্রদানের দায়িত্বঃ
১) প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন এবং তাহার মালিক তাহাকে সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে কোন মহিলা উক্তরূপ সুবিধা পাবেন না যদি না তিনি তার মালিকের অধীনে তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যুন ৬ মাস কাজ করিয়া থাকেন।
২) কোন মহিলাকে উক্তরুপ সুবিধা দেওয়া হইবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাওয়ার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন।
৪৭ ) কল্যাণ সুবিধা পরিশোধ সংক্রান্ত পদ্ধতিঃ
১) কোন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এই আইনের অধীনে প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হইলে তিনি যে কোন দিন মালিক কে লিখিত ও মৌখিক ভাবে এই মর্মে নোটিশ দিবেন যে নোটিশের আট সপ্তাহের মধ্যে তার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে এবং উক্ত নোটিশের মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই সুবিধা যিনি গ্রহণ করিবেন তার নামও উল্লেখ থাকিবে ।
২) কোন মহিলা উক্তরূপ কোন নোটিশ প্রদান না করিয়া থাকিলে তাহার সন্তান প্রসবের সাত দিনের মধ্যে তিনি উক্তরূপ নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার সন্তান প্রসব সম্পর্কে মালিক কে অবহিত করবেন।
৩) উপ-ধারা ১ অথবা ২ এ উল্লিখিত নোটিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট মহিলাকে-
ক) উপ- ধারার ১ এর অধীনে নোটিশ এর ক্ষেত্রে উহা প্রদানের তারিখের পরের দিন হইতে-
খ) উপ ধারার ২এর অধীনে নোটিশের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের তারিখ হইতে সন্তান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহ পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকার জন্য অনুমতি দিবেন ।
৪) কোন মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলার ইচ্ছানুযায়ী নিম্নলিখিত যেকোনো পন্থায় পৌঁছতে কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন যথা-
ক) যেকোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নিকট হইতে এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র পেশ করা হয় যে, মহিলা আট সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে সেক্ষেত্রে প্রত্যয়নপত্র পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রসব-পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন এবং মহিলা সন্তান প্রসব প্রমাণ পেশ করা তারিখ হইতে পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের প্রদেয় উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিবেন অথবা
খ) মালিকের নিকট সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সন্তান প্রসবের তারিখ সহ পূর্ববর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন এবং উক্ত প্রমাণ পেশ এর পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট সুবিধা প্রদান করিবেন ।
গ) সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন ।
ঘ) কোন মহিলা শ্রমিক মালিকের নোটিশ দেওয়ার পূর্বে যদি সন্তান প্রসব করিয়া থাকেন তাহলে সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করিবার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা সহ প্রসব-পরবর্তী ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে এই উপ-ধারার অধীনে যে প্রসুতি কল্যাণ বা উহার কোন অংশ প্রদান সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ এর উপর নির্ভরশীল সেরূপ কোন প্রমান কোন মহিলা তার সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে শেষ না করলে তিনি এই সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হইবেন না
আরও শর্ত থাকে যে প্রসূতি কল্যাণ ছুটিতে যাইবা নির্ধারিত তারিখে পূর্বে কোন মহিলা শ্রমিক গর্ভপাত ঘটিলে তিনি কোনো প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা পাবেন না তবে স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে তিনি তা ভোগ করিতে পারিবেন ।
৫) উপধারা ৪ এর অধীনে যে প্রমাণ পেশ করিতে হইবে উহা প্রমাণ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ( 2004 সনের 29 নং আইন ) এর অধীন প্রদত্ত জন্ম রেজিস্ট্রারের প্রত্যায়িত উদ্ধৃতি অথবা কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র মালিকের নিকট গ্রহণযোগ্য অন্য কোন প্রমাণ হইতে পারিবে ।
৪৮) প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার পরিমাণঃ
১) এই অধ্যায়ের অধীনে যে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদেয় হইবে ইহা উপ-ধারা ২ এ উল্লিখিত পন্থায় গণনা করিয়া দৈনিক, সাপ্তাহিক, বা মাসিক, যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নগদ প্রদান করিতে হইবে ।
২) উপ-ধারা ১ এর প্রয়োজনে দৈনিক, সাপ্তাহিক, বা মাসিক, গড় মজুরি গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্তৃক এই অধ্যায়ের অধীনে নোটিশ প্রদানের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে তাহার প্রাপ্ত মোট মজুরিকে উক্ত সময়ে তাহার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলি দ্বারা ভাগ করিতে হইবে ।
আরো জানতে
কল্যাণ কর্মকর্তা ও বিবিধ অলোচনা
৪৯) মহিলা মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান:
১) এ অধ্যায়ে অধীনে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী কোন মহিলা সন্তান প্রসবকালে অথবা তার পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করিলে মালিক শিশু সন্তানটি যদি বাঁচিয়া থাকে যে ব্যক্তি শিশুর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাহাকে এবং যদি সন্তান জীবিত না থাকে তাহা হইলে এই অধ্যায়ের অধীনে মহিলার মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা কোন মনোনীত ব্যাক্তির না থাকলে মৃত মহিলার আইনগত প্রতিনিধিকে উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিবেন।
২) যদি উক্তরুপ ও কোন মহিলা প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হওয়ার সময় সীমার মধ্যে কিন্তু সন্তান প্রসবের পূর্বে মারা যান তাহলে মালিক উক্ত মহিলার মৃত্যু তারিখ সহ তৎপরবর্তী সময়ে জন্য উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন তবে ইতিমধ্যে প্রদত্ত উক্তরূপ সুবিধা যদি প্রদেয় সুবিধা হইতে বেশি হয় তাহা হইলেও উহা ফেরত লইতে পারিবেন না এবং মহিলার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত যদি মালিকের নিকট এই বাবদ কিছু পাওনা থাকে তাহলে তিনি এর অধীনে মহিলার মৃত ব্যক্তিকে অথবা কোন মনোনীত ব্যক্তি না থাকলে তার আইনগত প্রতিনিধিকে উহা প্রদান করিবেন ।
৫০) কতিপয় ক্ষেত্রে মহিলার চাকরির অবসানে বাধাঃ
প্রশ্নঃ১ একজন অবিবাহিত নারী শ্রমিক যদি তার সন্তান জন্ম দেয়ার পর মাতৃত্বকালীন সুবিধার জন্য আবেদন করে তবে সে কোন সুবিধা পাবে কি না?
উত্তরঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা কোথাও বলা নেই যে বিবাহিত মহিলা শ্রমিক যদি সন্তান জন্ম দেয় সে মৃত্যুকালীন সুবিধা পাবে না । সেক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিক হলেই মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাবে । বিবাহিতা হোক আর অবিবাহিত না কেন।
প্রশ্নঃ২ ই ডি ডি তারিখ, ১ম ৫৬ দিনের মধ্যে হিসাব করবেন নাকি পরের ৫৬ দিনের মধ্যে হিসাব করবেন ?
উত্তরঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করা হয় প্রথমত সন্তান প্রসবের পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহ । সুতরাং এক্সপেক্টেড ডেলিভারি ডেট হল পূর্ববর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে অর্থাৎ প্রথম আট সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ যেদিন সন্তান প্রসব করবে তার পরের দিন থেকে পরবর্তী আট সপ্তাহ ছুটির অনুমোদন পাবে ।
প্রশ্নঃ৩ কোন মহিলা শ্রমিকের সন্তান প্রসবের কত দিন পর লিখিত নোটিশ দিলে মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাবেনা
?.
উত্তরঃ ৪৭ এর ৪ এর ঘ অনুসারে-
তবে শর্ত থাকে যে এই উপ-ধারার অধীনে যে প্রসুতি কল্যাণ বা উহার কোন অংশ প্রদান সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ এর উপর নির্ভরশীল সেরূপ কোন প্রমান কোন মহিলা তার সন্তান প্রসবের তিন মাসের মধ্যে শেষ না করলে তিনি এই সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হইবেন না
প্রশ্নঃ৪ কোন মহিলা শ্রমিক একই কোম্পানিতে বিগত ২০ বছর ধরে চাকরি করেন তার প্রথম সন্তান প্রসব হওয়ার পর মারা যায় এবং সে মাতৃত্বকালীন সুবিধা পেল ,পরবর্তীতে সে আবার প্রেগন্যান্ট হয় এবং তার ২য় সন্তান প্রসব হয় এবং সেক্ষেত্রে সুবিধা পেল সে দুবার সুবিধা পেল, প্রশ্ন হল সে তৃতীয়বার আবার -প্রেগন্যান্ট হয় এবং সন্তান প্রসব করে, সে ক্ষেত্রে সে কি আবার সুবিধাসহ ছুটি পাবে। একটি সন্তান জীবিত আছে আরেকটি মারা গিয়েছে সে ক্ষেত্রে তৃতীয় বার সুবিধা পাবে কিনা?.
উত্তরঃ৪৬ এর ২ ধারা অনুসারে
২) কোন মহিলাকে উত্তর সুবিধাসহ দেওয়া হইবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাওয়ার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন।একটি সন্তান জীবিত থাকলে সে পাবে । সুতরাং তার একটি সন্তান জীবিত আছে । সেক্ষেতে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুসারে তাকে সুবিধা দিতে হবে ।
প্রশ্নঃ৫ কোন মহিলা শ্রমিক দুইটি সন্তান জীবিত আছে সেক্ষেত্রে সে তৃতীয়বার প্রেগন্যান্ট হল আমরা সকলেই জানি তৃতীয় সন্তানের সময় সে সুবিধা পাবে না এক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলে তা পাবে প্রশ্ন হলো তৃতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঠিক দুই দিন আগে দুইটি জীবিত সন্তানের মধ্যে একটি সন্তান মারা গেল সে সুবিধা পাবে কিনা?
উত্তরঃ৪৬ এর ২ ধারা অনুসারে
২) কোন মহিলাকে উত্তর সুবিধাসহ দেওয়া হইবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাওয়ার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন। একটি সন্তান জীবিত থাকলে সে পাবে । সুতরাং তার একটি সন্তান জীবিত আছে । সেক্ষেতে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুসারে তাকে সুবিধা দিতে হবে ।
প্রশ্নঃ৬ কোন মহিলা শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার নির্ধারিত তারিখে পূর্বে গর্ভপাত হলে তিনি কি কোন সুবিধা পাবেন?
উত্তরঃ ৪৭ এর ঘ অনুসারে
আরও শর্ত থাকে যে প্রসূতি কল্যাণ ছুটিতে যাইবা নির্ধারিত তারিখে পূর্বে কোন মহিলা শ্রমিক গর্ভপাত ঘটিলে
তিনি কোনো প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা পাবেন
না তবে স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে তিনি তা ভোগ করিতে পারিবেন ।
প্রশ্নঃ৭ কোন মহিলা শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য নোটিশ প্রদানের আগেই যদি সন্তান প্রসব করে সেক্ষেত্রে সে ১১২ দিনের ছুটি কি পাবে পাবে কিনা?
উত্তরঃ৪৬
এর ১ অনুসারে
১)
প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের
সম্ভাব্য তারিখ অব্যবহিত পূর্ববর্তী
আট
সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য
প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন
এবং তাহার মালিক তাহাকে সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
এখানে
সন্তান প্রসবের আগে ৫৬ দিন
এবং সন্তান প্রসবের পরে ৫৬ দিন ছুটির
কথা বলা হয়েছে সুতরাং
সে
নোটিশ প্রদানের আগেই সন্তান প্রসব করেছে সে ক্ষেত্রে প্রথম
৫৬ দিনের
ছুটি পাবেনা সুবিধা
পাবে পরের
৫৬ দিনের ছুটি পাবে সুবিধাও পাবেন।
প্রশ্নঃ৮ দুটি সন্তান জীবিত থাকলে সে সুবিধা পাবে না কিন্তু ছুটি কি পাবে? কোন ধরনের ছুটি পাবে।
উত্তরঃ ৪৬ এর ২ অনুসারে ২) কোন মহিলাকে উক্তরুপ সুবিধা দেওয়া হইবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তাহার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তিনি কোনো ছুটি পাওয়ার অধিকারী হইলে তাহা পাইবেন।
বিধি ৩৮ অনুসারে বার্ষিক ও পীড়া ছুটি উক্ত ছুটি না থাকলে বিনা মজুরীতে ছুটির কথা বলা হয়েছে ।
প্র্রশ্নঃ ৯ একজন মহিলা শ্রমিক ই ডি ডি তারিখের দশ দিন আগেই সন্তান প্রসব করল সে ক্ষেত্রে সে সন্তান প্রসবের আগে ৫৬ দিন ছুটি কি পাবে?
উত্তরঃ৪৬ এর ১ অনুসারে
১) প্রত্যেক মহিলা শ্রমিক তার মালিকের নিকট হইতে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ অব্যবহিত পূর্ববর্তী আট সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন এবং তাহার মালিক তাহাকে সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
এখানে সন্তান প্রসবের আগে ৫৬ দিন এবং সন্তান প্রসবের পরে ৫৬ দিন ছুটির কথা বলা হয়েছে সুতরাং সে ১০ দিন আগে সন্তান প্রসব করেছে সে ক্ষেত্রে প্রথম ১০ দিনের ছুটি পাবে ৫৬ দিনের সুবিধা পাবে পরের ৫৬ দিনের ছুটিও পাবে সুবিধাও পাবেন।
প্র্রশ্নঃ ১০ একজন মহিলা শ্রমিকের জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ থেকে ছুটি শুরু হলো, সেক্ষেত্রে তার হিসাব করা হবে ডিসেম্বর,নভেম্বর, অক্টোবর, মাস ধরে কিন্তু প্রশ্ন হল জানুয়ারি মাসের ১২ দিন সে ডিউটি করেছে তার এই বেতনের টাকা কিভাবে দিতে হবে?
উত্তরঃ ৪৯ এর ২ অনুসারে যদি উক্তরুপ ও কোন মহিলা প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হওয়ার সময় সীমার মধ্যে কিন্তু সন্তান প্রসবের পূর্বে মারা যান তাহলে মালিক উক্ত মহিলার মৃত্যু তারিখ সহ তৎপরবর্তী সময়ে জন্য উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন তবে ইতিমধ্যে প্রদত্ত উক্তরূপ সুবিধা যদি প্রদেয় সুবিধা হইতে বেশি হয় তাহা হইলেও উহা ফেরত লইতে পারিবেন না এবং মহিলার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত যদি মালিকের নিকট এই বাবদ কিছু পাওনা থাকে তাহলে তিনি এর অধীনে মহিলার মৃত ব্যক্তিকে অথবা কোন মনোনীত ব্যক্তি না থাকলে তার আইনগত প্রতিনিধিকে উহা প্রদান করিবেন ।
প্র্রশ্নঃ ১৩ সন্তান প্রসবের সময় যদি মা মারা যান সন্তান বেঁচে থাকে সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিস্তি সুবিধা পাবে কিনা?
ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কিস্তি সুবিধা পাবে ।
প্র্রশ্নঃ ১৪ কোন মহিলা শ্রমিকের দুইটি বিবাহ থাকলে প্রথম স্বামীর ঘরে দুইটা সন্তান যদি থেকে, দ্বিতীয় বিয়ের পরে সন্তানসম্ভবা হলে সে ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে কিনা?
এখানে মহিলা শ্রমিকের বিয়ের ব্যাপারে কোন ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়নি বলা হয়েছে দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকলে সুবিধা পাবে না ।
সুতরাং সে সুবিধা পাবে না
মোট মুজুরি বলতে তার মোট আয় কে বুঝানোা হয়েছে প্রফিট শেয়ার, বোনাস, ওভারটাইমের মোট আয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে ।.
প্র্রশ্নঃ ১৬ ওভারটাইম করানো যাবে কিনা?
উত্তরঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা কোথাও বলা নেই যে ওভারটাইম করানো যাবে না তবে, যেহেতু তারা অসুস্থ সে ক্ষেত্রে ওভারটাইম না করানো উত্তম ।
প্র্রশ্নঃ ১৭ সন্তান জন্মের সময় যদি সন্তান মারা যায় তবে মহিলা শ্রমিক সন্তান জন্ম পরর্বতী ৮ সপ্তাহের প্রসূতি কল্যান সুবিধা পাবে কি না?
উত্তরঃ সে যদি শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করে এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এই মর্মে প্রত্যয়ন করা
করে যে সে কাজ করতে পারবে বা সক্ষম তবে সে যোগদান করতে পারবে
এ ব্যাপারে শ্রম আইনে ক্লিয়ারলি কিছু বলা নাই ।.
প্র্রশ্নঃ ১৮ কোন মহিলা শ্রমিক নোাটশ দিয়ে ৫৬ দিন ছুটিতে গেলো কিন্তু তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো ৬৬ দিনে সেক্ষেত্রে উক্ত ১০ দিনের ছুটি কিভাবে সমন্বয় করবেন?
সে ক্ষেত্রে উক্ত দিন বার্ষিক ছুটি পীড়া ছুটির সাথে সমন্বয় করবে যদি উক্ত ছুটি না থাকে তবে বিনা মজুরিতে ছুটি দিতে হবে ।
প্র্রশ্নঃ ১৯বাচ্চা মারা গেলে সেকি পরবর্তী ৫৬ দিনের ছুটি পাবে?
উত্তরঃ সে যদি শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করে এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এই মর্মে প্রত্যয়ন করা করে যে সে কাজ করতে পারবে বা সক্ষম তবে সে যোগদান করতে পারবে
আারো জানতে
Grievance Policy || অভিযোগ সম্পর্কিত নীতি
অন্যান্য
প্র্রশ্নঃ ২০ মাতৃত্বকালীন সুবিধা হিসাব কিভাবে করবেন?
উত্তরঃ প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার হিসাবঃ
- সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের পূর্বের ৩ (তিন) মাসের মোট উপার্জনকে উক্ত ৩ (তিন) মাসের মোট প্রকৃত উপস্থিতির দিন দিয়ে ভাগ করলে ১ (এক) দিনের গড় মজুরী বের হবে। ঐ এক দিনের মজুরীকে ১১২ দিয়ে গুন করলে যা হবে তাই হল প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার প্রকৃত হিসাব। সকল হিসাবকে ২ (দুই) কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
- প্রসূতি কল্যাণ ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে শ্রমিকগন ১ম কিস্তি পাবে।
- প্রসূতি কল্যাণ ছুটি শেষে শ্রমিকগন ২য় কিস্তির টাকা পাবে যদি সে বাচ্চা জন্মের সনদপত্র এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারী কাগজপত্র জমা দিতে পারে। আর এ সকল টাকা পয়সা পাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার ৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে।
প্র্রশ্নঃ২১ কতভাবে মাতৃত্বকালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে?
উত্তরঃ ধারা ৪৭ এর ৪ অঅনুুসারে-
৪) কোন মালিক সংশ্লিষ্ট মহিলার ইচ্ছানুযায়ী নিম্নলিখিত যেকোনো পন্থায় পৌঁছতে কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন যথা-
ক) যেকোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নিকট হইতে এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র পেশ করা হয় যে, মহিলা আট সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে সেক্ষেত্রে প্রত্যয়নপত্র পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রসব-পরবর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন এবং মহিলা সন্তান প্রসব প্রমাণ পেশ করা তারিখ হইতে পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের প্রদেয় উক্তরূপ সুবিধা প্রদান করিবেন অথবা
খ) মালিকের নিকট সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সন্তান প্রসবের তারিখ সহ পূর্ববর্তী আট সপ্তাহের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন এবং উক্ত প্রমাণ পেশ এর পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট সুবিধা প্রদান করিবেন ।
গ) সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রদেয় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করিবেন ।
ঘ) কোন মহিলা শ্রমিক মালিকের নোটিশ দেওয়ার পূর্বে যদি সন্তান প্রসব করিয়া থাকেন তাহলে সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করিবার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রস্তুতি কল্যাণ সুবিধা সহ প্রসব-পরবর্তী ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দিবেন ।
প্র্রশ্নঃ২২ প্রসূতি কল্যাণ ছুটিতে যাওয়ার নিয়মাবলী কি?.
উত্তরঃ
- যে কোন গর্ভবর্তী মহিলা শ্রমিকগন লিখিত বা মৌখিকভাবে অবশ্যই কল্যাণ কর্মকর্তা / তদারকী কর্মকর্তাকে জানাবে এবং গর্ভধারন নিশ্চিত করতে চেক-আপ করার জন্য ডাক্তারের কাছে যাবে।
- গর্ভবর্তী নিশ্চিত হওয়ার পর নিয়মিত মেডিকেল চেক-আপের জন্য কোম্পানীর ডাক্তারের কাছে যাবে।
- সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের ৮ (আট) সপ্তাহ পূর্বে গর্ভবর্তী শ্রমিক কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট ১৬ (ষোল) সপ্তাহের প্রসূতি কল্যাণ ছুটির জন্য আবেদন করবে যাতে তার নমিনীর নাম উল্লেখ থাকবে এবং নমিনীর এক কপি ছবিও থাকবে।
- কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটির আবেদন পাওয়ার পর উক্ত শ্রমিকের মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ ১১২ (একশত বার) দিনের ছুটি মঞ্জুর করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ