১৫) মজুরী ও আর্থিক সুবিধাদি সংক্রান্ত নীতিমালা

 


                মজুরী আর্থিক সুবিধাদি সংক্রান্ত নীতিমালা

                  (Policy Regarding Wages & Financial Benefit)

 

উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এবং শ্রম বিধি-১৫ এর আলোকে প্রত্যেক শ্রমিকের মজুরীসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ        

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ                           

 

সূচনা(Introduction)

আমরা কাজ করি বিভিন্ন প্রয়োজনে। এই প্রয়োজনের মধ্যে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় অন্যতম। কাজের বিনিময়ে আমরা অর্থ পাই। এই অর্থ প্রাপ্তি হচ্ছে মজুরী পাওয়া। শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সর্বনিম্ন মজুরীর একটি হার নির্ধারিত রয়েছে, যা প্রতিটি শিল্প কারখানার জন্য পরিপালন আবশ্যক। --------------------------- লিঃ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় অত্র প্রতিষ্ঠানে মজুরী আর্থিক সুবিধাদি সংক্রান্ত নীতিমালা রয়েছে।

উদ্দেশ্য(Objective))

---------------------------------------- লিঃ শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী নিশ্চত করতে বদ্ধপরিকর। মজুরী সুবিধাসূমহ দেশের প্রচলিত আইন অনুয়ায়ী সকল শ্রমিকদের তাদের কাজে প্রকৃতি যোগ্যতা অনুয়ায়ী বিভিন্ন পদে নিয়োজিত করে এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গেজেট অনুসারে বিভিন্ন গ্রেডে অন্তরভূক্ত করে সংশ্লিষ্ট গ্রেড অনুয়ায়ী নূন্যতম মজুরী নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও  নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

. নিম্নতম মজুরী

. দৈনিক কর্মঘন্টা

. ওভারটাইম ভাতা প্রদান

. বোনাস প্রদান

. বেতন বৃদ্ধির সুবিধা

. পদোন্নতি সুবিধা

. সবেতন ছুটি

. সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি

. ছাটাই পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

.ডিসচার্জ পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

.লে-অফকৃত শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণের অধিকার:-

.রিজাইন পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

.বিনা অনুমতিতে-অনুপস্থিত কৃত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

.বরখাস্ত পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

.মৃত্যুজনিত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

. অবসর জনিত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

. নিম্নতম মজুরীঃ

সরকার ঘোষিত সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো মোতাবেক সকল শ্রমিক তাদের নির্ধারিত গ্রেড অনুসারে নিম্নরূপ

মজুরী/ভাতা পাবে।

গ্রæ- (শ্রমিক)

গ্রেড

মূল বেতন

বাড়ি ভাড়া

চিকিৎসা, যাতায়াত খাদ্য ভাতা

মোট বেতন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গ্রæ- বি (কর্মচারী)

গ্রেড

মূল বেতন

বাড়ি ভাড়া

চিকিৎসা, যাতায়াত খাদ্য ভাতা

মোট বেতন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 প্রতিশ্রুতিঃ

ক্ষেত্রে --------------------------- লিঃ এর প্রতিশ্রুতি হলো - --------------- লিঃ প্রতিটি শ্রমিককে সরকার ঘোষিত নিম্নতম ০৭ নং গ্রেডে মজুরী প্রদান করেন। কোন ক্রমেই নিম্নতম মজুরীর চেয়ে কম মজুরী প্রদান করেন না। এক্ষেত্রে অধিক পরিমাণ আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিষয়টি -------------------- লিঃ কর্তৃপক্ষের স্বক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। ----------------------- লিঃ সকল শ্রমিক/কর্মচারীর ওভারটাইম সহ মোট মজুরী পরবর্তী মাসের কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করেন।

. দৈনিক কর্মঘন্টাঃ

কাজের সময় নিরূপনের ক্ষেত্রে ------------------------লিঃ নিচের কর্ম ঘণ্টা নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে, যার বিশেষ দিকসমূহ হলঃ

ü  দৈনিক স্বাভাবিক কর্মঘণ্টাঃ শনিবার হতে বৃহস্পতিবার সকাল :০০(আট) ঘটিকা হতে বিকাল (পাঁচ) ঘটিকা ।এর মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজ এবং বিশ্রামের জন্য ঘন্টা বিরতি।

ü  অধিক কাল সময়ের কর্মঘন্টাঃ শনবিার হতে বৃহস্পতবিার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দশেরে প্রচলতি আইন এবং বায়াগণরে COC মনে অধকি কাল র্কমঘন্টা নধিারণ করা হয়।

বি:দ্র: উপরোক্ত তথ্য সমূহ সাধারণ শিফট জন্য

ফরম-৩৭

[ ধারা ১১১() এবং বিধি ১০৫() দ্রষ্টব্য ]

কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজের সময়ে নোটিশ

সেকশন: গার্মেন্টস ডিভিশন এর সকল শাখা

বার

কাজ শুরুর সময়

কাজ সমাপ্তির সময়

বিশ্রামের জন্য বিরতি

শুক্রবার

সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে

শনিবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

রবিবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

সোমবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

মঙ্গলবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

বুধবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

বৃহস্পতিবার

সকাল .০০ ঘটিকা

বিকাল .০০ঘটিকা

১ঘন্টা মধ্যাহ্ন বিরতি

 

সেকশন:  এমব্রয়ডারী  সেকশন :-

বার

 

পালা-০১

পালা-০২

কাজ শুরুর সময়

সমাপ্তির সময়

বিশ্রামের জন্য বিরতি

কাজ শুরুর সময়

সমাপ্তির সময়

বিশ্রামের জন্য বিরতি

শনিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রবিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

সোমবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

মঙ্গলবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

বুধবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

বৃহস্পতিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

 

সেকশন: টেক্সটাইল ডিভিশন:-

বার

পালা-০১

পালা-০২

পালা-০৩

শনিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রবিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

সোমবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

মঙ্গলবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

বুধবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

বৃহস্পতিবার

সকাল ০৬:০০

দুপুর ০২:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

দুপুর ০২:০০

রাত ১০:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

রাত ১০:০০

সকাল ০৬:০০

১ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি

ü  প্রত্যেক ৭দিনে/ সপ্তাহে একদিন (শক্রবার) ছুটির দিন

ü  সাধারণতঃ সকল শ্রমিকের জন্য সপ্তাহের স্বাভাবিক কর্র্মঘন্টা ৪৮(আট চল্লিশ) ঘন্টা এবং অধিককালসহ ৬০ (ষাট) ঘন্টা। সাধারণত, সপ্তাহে কোন শ্রমিককে সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) ঘন্টার এবং বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৫৬ ঘন্টার অধিক কাজ করানো হবে না।

ü  কোম্পানী নিশ্চিত করে যে, কাজ অধিকাল সময় দেশে প্রচলিত আইনানুগ হয়ে থাকবে।

. ওভার টাইম ভাতাঃ

সকল শ্রমিক তার সাধারণ কর্ম সময়ের পর যে কাজ করবে  তা ওভার টাইম কাজ হিসাবে গণ্য হবে। জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মূল বেতনের দ্বিগুন হারে মজুরী পাবে যাহা ওভার টাইম ভাতা হিসেবে গণ্য হবে। তবে কোন শ্রমিককে দিয়ে ----------------------- লিঃ জোর করে ওভার টাইম কিংবা বিনা পারিশ্রমিকে ওভার টাইম করায় না।

প্রতিশ্রুতিঃ

-------------------------------------- লিঃ প্রতিটি শ্রমিককে তার মাসিক বেতনের সাথে ওভারটাইম ভাতা (দ্বিগুন হারে) প্রদান করে থাকেন। কোন শ্রমিককে দিয়ে জোর পূর্বক বা বিনা পারিশ্রমিকে কাউকে দিয়ে ওভার টাইম কাজ করানো হয় না কারণ ওভারটাইম সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আর যারা ওভারটাইম করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তারা স্বেচ্চায় নির্ধারিত সময়ে চলে যায়।


 
                    

 ওভারটাইম = মাসিক মুল মজুরী /২০৮         X X   =     অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা  

. বোনাস প্রদানঃ     

1)      ----------------------------------- লিঃ কর্মরত শ্রমিকদের মোট দুই ধরনের বোনাস প্রদান করা হয়। এই বোনাস পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভরশীল।

2)     () হাজিরা বোনাস

3)     () উৎসব বোনাস

4)     নিম্নে এই বোনাস প্রদানের নিয়মগুলো তুলে ধরা হল। যেমনঃ

হাজিরা বোনাসঃ-

ü  ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে যে সকল শ্রমিক মাসের প্রত্যেকটি কর্ম দিবসে ফ্যাক্টরীতে হাজির থেকে কাজ করবেন কেবল তারাই উক্ত মাসের হাজিরা বোনাস পাবেন।

ü  হাজিরা বোনাস মাসিক বেতনের সঙ্গে একই বেতন শীটে প্রদান করা হবে।

বি:দ্র:  ০৩ থেকে ০৬ গ্রেডের জন্য ৫৫০টাকা এবং ০৭নং গ্রেডের জন্য ৩৫০টাকা প্রদান করা হয়।

) উৎসব বোনাসঃ-

উৎসব বোনাস বৎসরে ঈদে প্রদান করা হয়। বোনাস নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে  Service Length এর উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়। দুই ঈদে বোনাস যেভাবে প্রদান করা হয় তা হলঃ

ঈদ-উল-ফিতরঃ

চাকুরীকাল

বোনাস প্রদানের হার

বছর বা তদোর্ধ

মূল বেতনের ১০০%

মাস থেকে   বছরের নিচে

মূল বেতনের ৫০%

মাস থেকে  মাসের নিচে

মূল বেতনের ২৫%

দিন থেকে   ০৩ মাসের নিচে

মূল বেতনের ১০%


ঈদ-উল-আযহাঃ

চাকুরীকাল

বোনাস প্রদানের হার

বছর বা তদোর্ধ

মূল বেতনের ১০০%

মাস থেকে   বছরের নিচে

মূল বেতনের ৫০%

মাস থেকে  মাসের নিচে

মূল বেতনের ২৫%

০১দিন থেকে   ০৩ মাসের নিচে  

মূল বেতনের ১০%

 

 

 



প্রতিশ্রুতিঃ

------------------------ লিঃ বোনাস প্রদানের উক্ত নিয়মসমূহ সকল ধর্মাবলম্বী শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য। তবে মুসলিম ব্যতিত অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের সময় তাদের প্রয়োজনে তারা অগ্রীম বেতন গ্রহণ করতে পারবে।

. বেতন বৃদ্ধির সুবিধাঃ

------------------------------ লিঃ যে সকল কর্মচারী নিরবিচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে এক বৎসর কাজ করেন তারা পূর্ণ বছর শেষে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা প্রাপ্য হইবে। ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা যোগ্যতা অনুসারে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি করিবে। ক্ষেত্রে কোনরূপ বৈষম্য করা হয় না।

প্রতিশ্রুতিঃ

-------------------------------- লিঃ তার সকল শ্রমিক কর্মচারীকে প্রতি বৎসর বেতন বৃদ্ধি করে থাকে। এটা অত্র কারখানার একটা চলমান প্রক্রিয়া। এর আরও ¤প্রসারণ করার বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে।

. পদোন্নতি সুবিধাঃ

----------------------------------- লিঃ এর যোগ্য শ্রমিককে তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ উচ্চতর পদে পদোন্নতী প্রদান করেন। ক্ষেত্রে কাজের যোগ্যতা, আচরণ, কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

প্রতিশ্রুতিঃ

---------------------------------- লিঃ কর্তৃপক্ষ তার কর্মীবাহিনীর ভিতর থেকে যোগ্য শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি পদোন্নতির ব্যবস্থা করে থাকে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিয়তা বিধান করে যে, সহকারী অপারেটর (হেলপার) ক্রমান্বয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করে অপারেটর কিংবা বিভাগীয় পদোন্নতি লাভ করবে।অন্যান্য পদবির শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও জোষ্ঠতা যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকবে। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় তা হল, বেতন বৃদ্ধি হলে যেন গ্রেড পরিবর্তন কিংবা গ্রেড নিম্নগামী না হয়। কোন শ্রমিক /কর্মচারীর পদোন্নতি না হওয়া পর্যন্ত গ্রেড সম্পূর্ণরূপে অপরিবর্তিত থাকবে --------------------------------------------- লিঃ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত নূন্যতম মজুরী বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকার নূন্যতম মজুরী ঘোষণা করলে কারখানা সেই অনুযায়ী গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে মজুরী সমন্বয় করবে। পদোন্নতি শ্রমিকদের মধ্যে কর্মস্পৃহা উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যে সকল শ্রমিকদের পদোন্নতির সুযোগ খুবই সীমিত কিংবা নাই তাদের ক্ষেত্রে কোম্পানী বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এই সকল শ্রমিক যাতে করে কর্মস্থলে নিরুৎসাহিত না হন কর্তৃপক্ষ সে বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখেন।

. সবেতন ছুটিঃ

------------------------------ লিঃ শ্রম আইন এবং শ্রম বিধি অনুসারে কর্মীদের মজুরীসহ অবকাশ ছুটি প্রদান করে থাকে। এর আওতায় মোট পাঁচ (০৫) ধরনের ছুটি বিধান থাকে।

যে কোন শ্রমিক বছরে নিম্নরূপ ছুটি পাবেঃ-

Casual Leave (নৈমিত্তিক ছুটি):

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ১১৫ধারা মতাবেক প্রত্যেক শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি পাবার অধিকারী হবে, এবং উক্তরুপ ছুটি কোন কারণে ভোগ না করলে তা জমা থাকবে না এবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাবে না|

Sick Leave (পীড়া ছুটি):

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ১১৬ ধারা মতাবেক প্রত্যেক শ্রমিক প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরে পূর্ণ মজুরীতে ১৪ দিনের পীড়া ছুটি পাবার অধিকারী হবেন। উক্তরুপ কোন ছুটি মঞ্জুর করা হবে না যদি না প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত চিকিৎসক অথবা চিকিৎসকের অবর্তমানে অন্য কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক পরীক্ষান্তে মর্মে প্রত্যয়ন করেন যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা এবং সুস্থতার জন্য প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখিত সময় ছুটির প্রয়োজন।

উক্তরু ছুটি কোন কারণে ভোগ না করলেও তা জমা থাকবে নাএবং কোন বৎসরের ছুটি পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাবে না।

Annual Leave (বাৎসরিক ছুটি):

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ১১৭ ধারা মতাবেক কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে এক (০১) বৎসর চাকুরীপূর্ণ করলে তাকে পরবর্তী বার (১২) মাস সময়ে তার পূর্ববর্তী বার (১২) মাসের কাজের জন্য প্রতি আঠার (১৮) দিন কাজের জন্য এক (০১) দিন মজুরীসহ বাৎসরিক ছুটি পাবার অধিকারী হইবে।

বাংলাদেশ শ্রম বিধি ২০১৫ অনুযায়ী বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেকের অধিক নগদায়ন করা যাইবে না এবং এইরুপ নগদায়ন বৎসরে মাত্র একবার করা হয়।

হিসাব পদ্ধতি = Gross Salary¸30 = দিনের প্রদেয় মজুরী হার

 

প্রদেয় মোট টাকা = দিনের মজুরী হার X বাৎসরিক ছুটির দিনের সংখ্যা

                                              =................ টাকা

 

Festival Holidays (উৎসব ছুটি):

প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে অন্তত এগার (১১) দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি প্রদান করা হয়। উক্ত ছুটির দিন তারিখ মালিক কর্তৃক কারখানায় অংশগ্রহণকারী কমিটির সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হয়।

প্রতিশ্রুতিঃ

------------------------------- লিঃ কর্তৃপক্ষ তার সকল শ্রমিক কর্মচারীকে নিয়মিত সব ধরনের ছুটি প্রদান করে থাকে। কেননা  দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ মনে করেন কাজের ফাঁকে বিধি মোতাবেক ছুটি পাওয়া প্রতিটি শ্রমিক-কর্মচারীরই আইনগত অধিকার। আর এতে তাদের এক ঘেয়েমী কাজের ক্লান্তি দূর হয়ে কর্ম স্পৃহা ফিরে আসে।

. Maternity Leave (প্রসূতী কল্যাণ ছুটি):

------------------------------------ লিঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা আইন অনুযায়ী মহিলা শ্রমিকদের  মাতৃত্বকালীন সুযোগ সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ যে সকল মহিলা কর্মী মাস যাবৎ কর্মরত এবং সন্তান সম্ভবা , তাদের জন্য পূর্ণ বেতনসহ ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। কোন মহিলার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকলে সে এই সুবিধা আর পাবেনা তবে এক্ষেএে তিনি কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হলে তা পাবেন।

. মাতৃকল্যাণ ভাতা পাওয়ার জন্য একজন মহিলা কর্মীকে কমপক্ষে নূন্যতম মাস একটানা উক্ত প্রতিষ্টানে নিয়োজিত থাকতে হবে।

. কোন মহিলা শ্রমিক অন্ত:সত্বা হলে লিখিত বা মৌখিকভাবে  এই মর্মে নোটিশ দিবেন যে , নোটিশের আট সপ্তাহের মধ্যে তাহার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আছে ,এবং উক্ত নোটিশে তাহার মৃত্যুর ক্ষেএে আইনগতভাবে এই সুবিধা যিনি গ্রহণ করবেন এমন একজন ব্যক্তিকে যথাযথভাবে মনোনীত করবেন।

. সন্তান প্রসব হওয়ার আট (০৮) সপ্তাহ পূর্বে বিধি অনুযায়ী  নির্দিষ্ট ফরমে চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পএসহ আবেদন পেশ করবেন

. নোটিশ প্রদানের তারিখের অব্যবহিত তিন (০৩) মাসে মোট যে উপার্জন করেছে , তার ভিত্তিতে দৈনিক গড় মজুরির পরিমাণ হিসাব করে সন্তান প্রসবের পূর্বে (০৮) আট সপ্তাহের ভাতা প্রদান করা হয়।

. আবেদন পএ কতর্ৃৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করার পরবর্তী  তিন (০৩) কর্ম দিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ , আট (০৮) সপ্তাহের অগ্রীম টাকা এবং ১১২ দিনের ছুটি প্রদান করেন।

. সন্তান প্রসবের পর পুনরায় চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পএ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করলে (০৩) কর্ম দিবসের মধ্যে আট (০৮) সপ্তাহের ভাতা প্রদান করেন

. সন্তান প্রসবের তিন(০৩)মাসের মধ্যে সন্তান প্রসবের প্রমান পএ পেশ করতে না পারলে তিনি প্রসূতি সুবিধা বা এর কোন অংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন না

. মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হবার পর সুবিধাভোগকারিনী বিধি অনুযায়ী  নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে পুনরায় চাকুরীতে  যোগদান করতে করবেন।

 

বি:দ্র: নোটিশ প্রদানের অব্যাহতি পূর্ববর্তী তিন মাসে তার প্রাপ্ত মোট মজুরীকে উক্ত সমদয় তার মোট প্রকৃত কাজের দিনগুলি দ্বারা ভাগ করে প্রাপ্ত সুবিধার টাকা প্রদান করা হয়।

প্রতিশ্রুতিঃ

------------------------------- লিঃ গর্ভবতী সকল মহিলা শ্রমিককে মার্তৃত্বকালীন ছুটি দিয়ে থাকি। যে সকল মহিলা শ্রমিক বিধি মোতাবেক কমপক্ষে ছয় মাস অবিচ্ছিন্নভাবে অত্র কারখানায় কাজ করেছে তাদের শ্রম আইন অনুযায়ী সকল প্রকার মাতৃকল্যাণ সুবিধাদি নিশ্চিত করে থাকি।

 

ছুটির আবেদনের পদ্ধতি (Leave Application Procedure):

শ্রমিক কর্তৃক ছুটি ভোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফরমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে ছুটির দরখাস্তের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদন পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ নিচে বর্ণিত হলোঃ

§  শ্রমিক কর্তৃক ছুটির আবেদনপত্র কারখানার মানবসম্পদ বিভাগ হতে মোট প্রাপ্য (নৈমিত্তিক/অর্জিত/অসুস্থতাজনিত) ছুটির পরিমাণসহ সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদনপত্র পূরণ করে সুপারভাইজারের নিকট দাখিল করতে হবে।

§  সুপারভাইজার আবেদনপত্র গ্রহণকরে বিবেচনার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের সম্মতি সাপেক্ষে নিজস্ব অনুমোদন আবেদনপত্রে ব্যক্ত করবেন।

§  ছুটি না মঞ্জুরের ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্তৃক আবেদিত ছুটির দরখাস্তে সুপার ভাইজারকে অবশ্যই না মঞ্জুরের কারণ লিখিত আকারে ব্যক্ত করতে হবে। শ্রমিক যদি না মঞ্জুরের করে দ্বিমত প্রকাশ করে তাহলে উক্ত শ্রমিক তার ছুটির দরখাস্ত সরাসরি বিভাগীয় প্রধানের নিকট পুনঃবিবেচনার জন্য পেশ করতে পারবেন।

§  প্রাপ্ত ছুটির দরখাস্তের উপর বিভাগীয় প্রধান ছুটি মঞ্জুর বা না মঞ্জুরের মতামত লিখিত আকারে প্রকাশ করবেন।

§  ছুটির দরখাস্ত মঞ্জুর বা না মঞ্জুর উভয় ক্ষেত্রেই ছুটির যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে প্রশাসন বিভাগের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

§  দরখাস্ত প্রাপ্তি পর মানব সম্পদ বিভাগ দরখাস্তের একাংশে অবশিষ্ট ছুটি উল্লেখসহ শ্রমিককে প্রদান করবে, যা উক্ত শ্রমিকের গ্রহণ যোগ্যতার প্রমাণ স্বরূপ বিবেচিত হবে।

ছুটির তথ্যাদি সংরক্ষণ (Maintenance of Leave Records):

শ্রমিক কর্তৃক আবেদিত সকল মঞ্জুরকৃত অথবা না মঞ্জুরকৃত ছুটির তথ্যাদি কারখানার মানব সম্পদ বিভাগ একটি নির্ধারিত ছুটির রেজিষ্টারে সংরক্ষণ করবে এবং আবেদিত ছুটির দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ব্যক্তিগত ফাইলে রাখা হয়।

 

. ছাটাই পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

() বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২০ধারা মতাবেক কোন শ্রমিককে প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারণে প্রতিষ্ঠান হইতে ছাটাই করা যাইবে।

() কোন শ্রমিক যদি কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যূন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিকে-

() তাহার ছাটাইয়ের কারণ উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী  প্রদান করিতে হইবে;

() নোটিশের এক কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং আরেকটি কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধিকে, যদি থাকে, দিতে ্হইবে; এবং

() তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী বা গস্খাচুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে,প্রদান করিতে হইবে।

 

() উপ-ধারা () যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১৬() এর অধীন ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে উপ-ধারা () () এর উল্লেখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে উপ-ধারা () () মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বা গস্খাচুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হবে।

() যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিককে ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে এতদসংক্রান্ত কোন চুক্তির অবর্তমানে,মালিক উক্ত শেণীর শ্রমিকগণের মধ্যে সর্বশেষ নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করিবেন।

. ডিসচার্জ পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

()  বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২২ধারা মতাবেক কোন শ্রমিককে ,কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।

() ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অন্যূন এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরর্ণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গস্খাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।

. লে-অফকৃত শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণের অধিকার:- 

         বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ১৬ ধারা মতাবেক যে ক্ষেত্রে বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নহেন এরুপ কোন শ্রমিককে, যাহার নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অনুভূক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীন অন্তত: এক বৎসর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়াছেন, লে-অফ করা হয়, তাহা হইলে মালিক তাহাকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত তহার লে-অফের সকল দিনের জন্য ধারা ১৬ মতাবেক ক্ষতিপূরর্ণ প্রদান করা হয়।

()  উপ-ধারা () উল্লেখিত ক্ষতিপূরর্ণ পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এড-হক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর অর্ধেক এবং তাহাকে লে-অফ করা না হইলে তিনি যে আবাসিক ভাতা পাইতেন, তাহার সম্পূর্ণের সমান।

() যে বদলী শ্রমিকের নাম কোন প্রতিষ্টানের মাস্টার-রোলের অনুভূক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে বদলী বলিয়া গণ্য হইবেন না যদি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বছর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়া থাকেন।

() মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্নরুপে কোন চুক্তি না থাকলে, কোন শ্রমিক এই ধারায় অধীন কোন পঞ্জিকা বৎসরে পয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ে জন্য ক্ষতিপূরণ পাইবেন না।

() উপ-ধারা () যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন পঞ্জিকা বৎসরে কোন শ্রমিককে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে পয়তল্লিশ দিনের অধিক সময়ে জন্য লে-অফ করা হয়, এবং তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্নরুপ কোন চুক্তি না থাকিলে, পররর্তী প্রত্যেক পনের বা তদূর্ধ্ব দিন সমূহের লে-অফের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।

() উপ-ধারা () উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর এক চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণের সমান।

() কোন ক্ষেত্রে যদি কোন শ্রমিককে কোন পঞ্জিকা বৎসরে উপরে উল্লিখিত প্রথম পয়তাল্লিশ দিন লে-অফের পর কোন অবিচ্ছিন্ন পনের দিন বা তদুর্ধ্ব সময়ে জন্য লে-অফ করিতে হয়,তাহা হইলে মালিক উক্ত শ্রমিককে লে-অফের পরিবর্তে ২০ এর অধীন ছাটাই করিতে পারিবেন।

. রিজাইন পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২৭ধারা মতাবেক কোন স্থায়ী শ্রমিক মালিককে ষাট দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তাফা দিতে পারেন। যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তাফা দিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে তিনি প্রদেয় নোটিশ পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য ষাট দিনের মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারবেন।

যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরর্ণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য-

() যদি তিনি পাঁচ বৎসর বা তদুর্ধ্ব, কিন্তু দশ বৎসরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, চৌদ্দ দিনের মজুরী;

() যদি তিনি দশ বৎসর বা তদুর্ধ্ব সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে ,ত্রিশ দিনের মজুরী

অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং ক্ষতিপূরর্ণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

তবে এখানে উল্লেখ থাকে যে কারখানার নিজস্ব পলিসি হিসাবে রিজাইনকৃত শ্রমিক এর সমুদয় দেনা পাওনা যথা সময় এবং যথাযথ ভাবে বুঝে নেওয়া জন্য কারখানার কর্তৃপক্ষ যথারীতি সরকারী ডাকযোগে চিঠি প্রেরণ করে থাকেন।

 

. বিনা অনুমতিতে-অনুপস্থিত কৃত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২৭ধারা মতাবেক কোন শ্রমিক বিনা নোটিশে অথবা বিনা অনুমতিতে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন উক্ত শ্রমিককে ১০ দিনের সময় প্রদান করিয়া এই সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করিতে এবং চাকুরীতে পুনরায় যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান বা চাকুরীতে যোগদান না করিলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে তাহার আতœপক্ষ  সমর্থনের জন্য আরো ৭দিনের সময় প্রদান করে নোটিশ প্রদান করা হয়।তাহাতেও যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক চাকুরীতে যোগদান অথবা আতœপক্ষ সমর্থন না করেন তবে, উক্ত শ্রমিক অনুপস্থিতির দিন হইতে চাকুরী হইতে অব্যহতি গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করি।দেশের প্রচলিত আইন অনুয়ায়ী  দেনা পাওনার ক্ষেত্রে দুই মাসের মজুরী সমন্বয় করা হয়।

. বরখাস্ত পদ্ধতি এবং শ্রমিকের প্রাপ্যতা:- 

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২৬ ধারা মতাবেক;

() এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-

()  মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে , একশত বিশ দিনের ,

() অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ষাট দিনের , লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন।

()  এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-

() মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,

() অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন, যদি না এই অবসান যে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে উহা সম্পূর্ণ হওয়া বন্ধ হওয়া,বিলুপ্ত হওয়া বা পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে হয়।

() যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে ,তিনি উপ-ধারা () অথবা () এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া হইা করিতে পারিবেন।

() যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী  শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরর্ণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী, অথবা গস্খাচুইটি ,যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে,প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

. মৃত্যুজনিত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ১৯ ধারা মতাবেক যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ত: (দুই) বছরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মালিক মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০(ত্রিশ) দিনের এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারণে পরবর্র্তীতে মৃত্যর ক্ষেত্রে ৪৫ (পয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী অথবা গস্খাচুইটি ,যাহা অধিক হইবে,প্রদান করিবেন, এবং এই অর্থ মৃত  শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গস্খহণ করিলে যে অবসর জনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।

. অবসর জনিত শ্রমিকের প্রাপ্যতা:-

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এর ২৮ ধারা মতাবেক কোন শ্রমিকের বয়স ৬০ (ষাট) বৎসর পূর্ণ হলে তিনি চাকুরী  হতে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের সার্ভিস বইয়ে লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ উপযুক্ত প্রমান হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়াও মালিক অবসর গ্রহণকৃত শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি ,যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

নোটঃ অবসর গ্রহণের কারণে অথবা মালিক কর্তৃক তাহার ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, বরখাস্ত অথবা শ্রমিক কর্তৃক অব্যাহতি গ্রহণের কারণে অথবা অন্য কোন কারণে যদি কোন শ্রমিকের চাকুরির ছেদ ঘটে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিকের শুধুমাত্র প্রাপ্য বকেয়া মজুরি তাহার চাকরির ছেদ ঘটিবার তারিখ হইতে পরবর্তী (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে এবং ক্ষতিপূরণ অন্যান্য পাওনা চাকরির ছেদ ঘটিবার তারিখ হইতে পরবর্তী অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।

 

উপসংহারঃ

কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সঠিক, যথাযথ শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি, অগ্রগতি অবসম্ভাবী। এই নীতিকে সামনে রেখে আমরা সুশৃংখলভাবে আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করে আমাদের প্রতিষ্ঠান  পরিচালনা করে থাকি।

 

 

 

 

 

 

 

প্রস্ততকারী                                       সমন্বয়কারী                                                 অনুমোদনকারী

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ