২৩) যৌন হয়রানী বিরোধী নীতিমালা

                                     


  যৌন হয়রানী বিরোধী নীতিমালা

                             (Anti Sexual Harassment Policy)

উদ্দেশ্যঃ কারখানায় কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য যৌন হয়রানী মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা।

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ        

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ                          

 

সংজ্ঞা (Definition)

কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীকে যৌন/মৌখিক/শারীরিক বা মানসিক ভাবে উৎপীড়ন করাকে যৌন হয়রানী বলে আর প্রতিকারের জন্য যে নীতিমালা তাকে যৌন হয়রানী বিরোধী নীতিমালা বলে।

ভূমিকা (Introduction)

------------------------ লিঃ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী শ্রমিকদের জন্য হয়রানী মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ অত্র নীতিমালা প্রণয়ণ করেছেন। যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, ILO Standard কোম্পানীর নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত। কর্তৃপক্ষ যে কোন ধরনের হয়রানীমূলক আচরণ গুরুত্ব সহকারে দেখেন, সঠিক পদক্ষেপ নেন এবং সমাধান স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রদান করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তার প্রতি যে কোন ধরনের হয়রানীমুলক কর্মকান্ড সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ। এখানে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের সাথে সম্মানের সহিত আচরণ করা হয়। অত্র কারখানার সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারী এবং মালিক পক্ষের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কারখানা সমূহে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী কর্মকর্তাদের সমস্ত প্রকার হয়রানি, নিপিড়ন নির্যাতন বিরোধী (Anti Sexual Harassment Committee)  নামে একটি কার্যকরী কমিটি রয়েছে। যৌন হয়রানীর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ZERO (0) Tolerance  নীতি অবলম্বন করে থাকেন, কোথাও কোন ধরনের হয়রানীমূলক আচরন কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই সহ্য করেন না এবং ভবিষ্যতে করবেন না।

 

ক্ষেত্র (Scope/Target Group)

------------------------- লিঃ - কর্মরত সকল শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে অত্র নীতিমালা সমভাবে প্রযোজ্য, অত্র কোম্পানীর আওতাধীন সকল শাখায় / সেকশনে অত্র নীতিমালা সমভাবে প্রযোজ্য।

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি (Management Representative)

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-২০১৩) শ্রম বিধি-২০১৫ অনুযায়ী- ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে একটি দলকে প্রতিনিধি করে এরুপ ক্ষমতা দেয়া আছে যে, যারা নিশ্চিত করবে কর্মক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নীতিমালা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বাস্তবায়ন হয়েছে এবং তা যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

বাস্তবায়ন (Organization)

যৌন হয়রানী বিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়নে --------------------------------- লিঃ নিচে উক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করে থাকে যা নিচে প্রদত্ত সাংগঠনিক চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলোঃ

 

সুপারভাইজার/লাইন চীফঃ

দায়িত্বঃ কোন ধরনের যৌন হয়রানি মূলক অভিযোগ আসলে তা নিজের বিভাগীয় প্রধানকে Inform করা পূর্বক মানব সম্পদ বিভাগকে হস্তান্তর করা।

কর্তৃত্বঃ অভিযোগ সমাধানের ব্যাপারে মানব সম্পদ বিভাগকে সহায়তা করা।

এক্সিকিউটিভ - ওয়েলফেয়ারঃ

দায়িত্বঃ

. প্রতি শনিবার ব্যবস্থাপক মানব সম্পদ এর উপস্থিতিতে Grievance বক্স খোলা।

. বক্সে যদি কোন যৌন হয়রানী মূলক অভিযোগ পাওয়া যায় তা ব্যবস্থাপক “মানবসম্পদ” কে প্রদান।

. প্রতিদিন ফ্লোর পরিদর্শন কালে যদি কোন যৌন হয়রানী মূলক অভিযোগ পাওয়া যায় তা সরাসরি “মানবসম্পদ” ব্যবস্থাপক কে জানানো এবং সমাধান করন।

. Grievance Register Maintain করা।

. শ্রমিকদের যৌন হয়রানী মূলক আচরন বিষয়ক ট্রেনিং করানো।

. PC মিটিং প্রাপ্ত শ্রমিকদের যৌন হয়রানী মূলক অভিযোগ লিপিবদ্ধকরন “মানবসম্পদ” কে প্রদান।

. প্রতি সপ্তাহে Grievance Register Follow up করা পূর্বক নতুন পাওয়া অভিযোগ/পরামর্শ Register লিপিবদ্ধ করে রাখা।

. নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগের ফলাফল জানানো।

. লাইন চিফ, সুপারভাইজার যদি কখনো কাহারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন সেই লাইন চিফ, সুপারভাইাজারদের সাথে কথা বলা। এর পরেও যদি সমাধান না হয় তাহলে বিভাগীয় প্রধানকে জানানো

কর্তৃত্বঃ Verbal অভিযোগ বা অভিযোগের ধরন বুঝে সমাধান করার অধিকার।

এক্সিকিউটিভ - এডমিনঃ

দায়িত্বঃ কোন ধরনের যৌন হয়রানি মূলক অভিযোগ আসলে তা সাথে সাথে অভিযোগকারীর বিভাগীয় প্রধান কে Inform করা পূর্বক ব্যবস্থাপক “মানব সম্পদ” কে অবহিত করা।

কর্তৃত্বঃ অভিযোগ সমাধানের ব্যাপারে ব্যবস্থাপক “মানব সম্পদ” কে সহায়তা করা।

এক্সিকিউটিভ - এইচ আরঃ

দয়িত্বঃ কোন ধরনের যৌন হয়রানি মূলক অভিযোগ আসলে তা সাথে সাথে অভিযোগকারীর বিভাগীয় প্রধান কে Inform করা পূর্বক মানব সম্পদ বিভাগকে অবহিত করা এবং এসংক্রান্ত সকল প্রকার অভিযোগ Letterতদন্ত এবং তদন্ত Report তৈরী করা।

কর্তৃত্বঃ অভিযোগ সমাধানের ব্যাপারে মানব সম্পদ বিভাগকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা।

এক্সিকিউটিভ - কমপ্লায়েন্সঃ

দায়িত্বঃ কোন ধরনের যৌন হয়রানি মূলক অভিযোগ আসলে তা সাথে সাথে অভিযোগকারীর বিভাগীয় প্রধান কে Inform করা পূর্বক মানব সম্পদ বিভাগকে অবহিত করা

কর্তৃত্বঃ অভিযোগ সমাধানের ব্যাপারে মানব সম্পদ বিভাগকে সহায়তায় করা। 

উপ ব্যবস্থাপক - এইচ আরঃ

দায়িত্বঃ কোন ধরনের যৌন হয়রানি মূলক অভিযোগ আসলে তা সাথে সাথে সহ: মহাব্যবস্থাপক এডমিন এন্ড এইচ ব্যবস্থাপক কমপ্লায়েন্সকে কে অবহিত করা।

কর্তৃত্বঃ অভিযোগ সমাধানের ব্যাপারে সহ: মহাব্যবস্থাপক এডমিন এন্ড এইচ ব্যবস্থাপক কমপ্লায়েন্সকে কে সহায়তা করা।

ব্যবস্থাপক কমপ্লায়েন্সঃ

দায়িত্বঃ

. অভিযোগকারী/মাধ্যম/ অধিন¯ কর্মী/ উৎপাদন ব্যবস্থাপক/ প্রশাসন ব্যবস্থাপক থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের সমাধান নিশ্চিত করা।

. অসমাধান কৃত অভিযোগের বিষয়ে উর্দ্ধতনের সহযোগিতা গ্রহণ।

. অভিযোগ সংক্রাš কার্যক্রমে সংযুক্ত সকল প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

. প্রশিক্ষণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া যাচাই করন।

. প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদানের জন্য প্রযোজ্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা যাচাইকরন।

কর্তৃত্বঃ প্রাপ্ত অভিযোগের আইনানুগ সমাধান করা।                 

সহ: মহা ব্যবস্থাপক এডমিন এন্ড এইচ আরঃ

দায়িত্বঃ

. অভিযোগকারী/মাধ্যম/ অধিন¯ কর্মী/ উৎপাদন ব্যবস্থাপক/ প্রশাসন ব্যবস্থাপক থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের সমাধান নিশ্চিত করা।

. অসমাধান কৃত অভিযোগের বিষয়ে উর্দ্ধতনের সহযোগিতা গ্রহণ।

. অভিযোগ সংক্রাš কার্যক্রমে সংযুক্ত সকল প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

. প্রশিক্ষণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া যাচাই করন।

. প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রদানের জন্য প্রযোজ্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা যাচাইকরন।

কর্তৃত্বঃ প্রাপ্ত অভিযোগের আইনানুগ সমাধান করা। 

মহা ব্যবস্থাপক এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্সঃ 

দায়িত্বঃ সকল প্রকার যৌন হয়রানি অভিযোগ বিষয়ক কর্মকান্ডের সুষ্ট সমাধান তদারকি করা। 

কর্তৃত্বঃ অভিযোগের কারণে সৃষ্ট সকল প্রকার আইনানুগ সমাধান শা¯িত প্রদানের ক্ষমতা।

পরিচালকঃ

দায়িত্বঃ সকল প্রকার যৌন হয়রানি বিষয়ক অভিযোগ এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

কর্তৃত্বঃ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান।

যৌন হয়রানি/নির্যাতনের বিভিন্ন রূপঃ

মৌখিক (verbal)

শারীরিক (Physical)

দৃশ্যমান (Visual)

মনস্তাত্বিক (Psychological)  

মৌখিক (Verbal) যখন কোন পুরুষ সহকর্মী খারাপ উদ্দেশ্যে কোন মহিলাকর্মীর সামনে যৌন উত্তেজনামূলক কথা, ঠাট্টা বা গল্প করে থাকে, তবে সেটা মৌখিক যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত হবে।

যেমনঃ

Ø  দুজন পুরুষ কর্মীএকসঙ্গে যৌন উত্তেজনা মূলক কথা বলেন আর পাশে কোন মহিলা কর্মী তা শুনে থাকে বা তাকে শুনিয়ে বলা হয় এটা একটা শুধুই কৌতুক।

 শারিরীক (Physical) যৌন বাসনা চরিতার্থের জন্য বা যৌনকাজে প্ররোচিত করার মানসে সুপারভাইজার বা পুরুষ/মহিলা সহকর্মী তার বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর শরীরে স্পর্শ করে বা ধরেএসকল কর্মকান্ড কে শারিরীক যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত করা হবে।

যেমনঃ

Ø  হাত স্পর্শ করে গুড জব বা ভালো কাজের অভিনন্দন জানানো।

Ø  চুলে বা মাথায় হাত দিয়ে সহানুভুতি জানানো।

Ø  কাঁধে হাত রেখে কুশলাদি জিজ্ঞেস করা।

Ø  কাজ বোঝানোর অজুহাতে শরির কে স্পর্শ করা।

দৃশ্যমান (Visual) যদি কোন মহিলাসহ কর্মীকে বা বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীকে যৌন উত্তেজনামূলক অশ্লীল বা অশোভন  ছবি বা ভিডিও দেখানো, কোন নির্দিষ্ট জায়গা দেখিয়ে ইঙ্গিতযুক্ত অঙ্গভঙ্গি দেখানো হয়। এটাতে কর্মী বিব্রত বা অস্বস্তি বোধ করলেএখানে তো ভূল বা অশ্লীলতার কিছু নাই, আমাদের দেশে এসব কোন ব্যপার না বলে চালানোর চেষ্টা করা।এটাকেদৃশ্যমান যৌন হয়রানি বলে

যেমনঃ

Ø  নগ্ন বা অল্প কাপড় পরিহিত কোন মহিলার ছবিদেখানো।

Ø  অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে কোন সহকর্মী বা মহিলা কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলানো।

Ø  কোন ইঙ্গিতপূর্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদশন করা

মনস্তাত্বিক (Psychological) যখন কোন পুরুষ সহকর্মী বা সুপারভাইজার তার মহিলাকর্মীকে গোপন অভিসারে যাবার জন্য আহŸবান জানায়, কিন্তু মহিলাকর্মী তা জোরালো ভাবে প্রত্যাখান করার পরও বিভিন্নভাবে প্ররোচনা বা হুমকি দিয়ে থাকে, তখন সেটি যৌন মনস্তাত্বিক হয়রানি বলে চিহ্নিত করা হয়

যেমনঃ

কোন মহিলা বা বিপরীত লিঙ্গের কর্মীকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশের চেষ্টা করা।

বার বার তাকে প্রস্তাব দেয়া এবং লাগিয়া থাকা।

প্রস্তাবে রাজি না হলে গোপনে ক্ষতি করার হুমকি দেয়া।

যৌন হয়রানি/নির্যাতনের কারনঃ

 

Ø  নৈতিকতার অভাব।

Ø  চারিত্রিক দূর্বলতা।

Ø  ক্ষমতার অপব্যবহার।

Ø  দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ।

Ø  কর্মক্ষেত্রে পুরুষের আধিপত্য।

Ø  কর্মক্ষেত্রে সঠিক পলিসির অভাব।

Ø  নারীর ক্ষমতা আত্মবিশ্বাসের অভাব।

Ø  অনৈতিকভাবে উগ্রবাসনা চরিতার্থ করার জন্য।

যৌন হয়রানি/নির্যাতনের ফলাফল বা নেতিবাচক প্রভাবঃ

মানসিক সমস্যা (Psychological Effect)     

Ø  অপমান বোধ করা।

Ø  উদ্বিগ্ন হয়ে উঠা।

Ø  ভীত সন্ত্রস্ত থাকা।

Ø  মর্যাদাহানি ঘটে এবং অবমূল্যায়িত হয়।

Ø  হীনমন্যতায় ভোগে এবং অপমান বোধ করে।

Ø  মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে।

 

শারিরীকসমস্যা (Physical Effect)

  • অবমাননা ডিপ্রেশন।
  • মনোযোগ নষ্ট হওয়া।
  • কাজের প্রতি অনীহা।
  • কর্ম সন্তুষ্টি মনোবল  হ্রাস পায়।

কর্মক্ষেত্রে সমস্যা (Effect of work)

Ø  কর্মে স্পৃহা নষ্ট হওয়া।

Ø  কাজ করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ না করা এবং মনোযোগ নষ্ট হয়।

Ø  টার্গেট অনুযায়ী প্রোডাকশন না হওয়া।

Ø  কাজের গুনগত মান নি¤œমানের হওয়া।

Ø  শ্রমিকের কাছে সুপারভাইজারের গ্রহণযোগ্যতা হারায়।

Ø  সুপারভাইজারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে না

Ø  প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করে না।

Ø  শ্রমিকগন ক্ষুব্ধ প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে।

Ø  কাজে ভুল করা যা মনোযোগ নষ্ট হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Ø  সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়া।

Ø  কাজে ফাকিঁ দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

Ø  সুপারভাইজারের সাথে বিরুপ বিদ্ধেষ ভাবাপন্ন আচরন করে।

Ø  উৎপাদনশীলতা কমে যায়

Ø  কর্মক্ষেত্র অসহনীয় হয়ে উঠায় চাকুরি ছাড়তে বাধ্য হওয়া।

পারিবারিক সমস্যা (Effect of Family)

Ø  প্রতিহিংসা শক্রভাবাপন্ন হয়ে উঠা।

Ø  অধিক ডিপ্রেশনে থাকায় পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়া।

Ø  পরিবারের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি হওয়া।

যৌন হয়রানি/নির্যাতন সনাক্তকরণঃ

  • কর্মীর আচরন পর্যবেক্ষণে রাখা।
  • ওয়ার্কারদের সংগে আলোচনা করা।
  • কর্মীদের অভিযোগ শোনা।
  • অভিযোগ বক্স স্থাপন করা।
  • কাউন্সিলেরর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা।
  • পার্টিসিপেশন কমিটির সংগে মিটিং করা।

যৌন হয়রানি/নির্যাতন প্রতিরোধঃ

  • কর্মক্ষেত্রে সঠিক আচরণবিধি প্রতিষ্ঠা করা এবংকোম্পানীর আচরনবিধি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা।
  • কর্মীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সেই লক্ষ্যে সকল সুপারভাইজারকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের আচরন নৈতিক মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটানো।
  • কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ মূল্যবোধের উন্নয়ণ করা
  • অভিযোগ উত্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করা
  • দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
  • কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আচরন মনিটরিং-এর ব্যবস্থা রাখা।
  • নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে সহজে অভিযোগ দাখিলের সুুযোগ দেয়া। 
  • নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রæ শা¯িতমূলক ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
  • কারখানায় পিসি কমিটির সংক্রিয় ভূমিকা রাখা।
  • শ্রমিক, সুপারভাইজারের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ আস্থার সম্পর্ক তৈরি করা।

বা¯তবায়নের জন্য কার্যপ্রণালীঃ

ক্রিয়াকলাপ (Activities)

প্রক্রিয়া (Procedure)

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (Responsible Person)

যখন ক্রিয়া সম্পাদন হয়

. ফ্লোর ভিজিট

প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মানব সম্পদ কর্মকর্তা,কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা কল্যান কর্মকর্তা ফ্লোর ভিজিট করার সময় শ্রমিকদেরকে অভিযোগ বিষয়ে অবগত করেন।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মানব সম্পদ কর্মকর্তা,কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা কল্যান কর্মকর্তা

 

প্রতিদিন

.         মৌখিক

প্রতিদিন Welfare কর্মকর্তা,  ফ্লোর ভিজিট করার সময় কোন অভিযোগ পেলে তা Verbal Communication Register লিপিবদ্ধ করে এবং ব্যবস্থাপক মানব সম্পদকে Report করেন।

 

 

Welfare কর্মকর্তা

 

প্রতিদিন

.        অভিযোগ বক্স

ফ্লোরে কোথায় কোথায় অভিযোগ বক্স দেয়া আছে তার সম্পর্কে নির্দিষ্ট ফ্লোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ শ্রমিকদের অবগত করেন এবং কিভাবে বক্সের মাধ্যমে ব্যবস্থাপকের নিকট তাদের অভিযোগ পৌছে যাবে এবং তার সমাধান

হবে সেগুলো অবগত করেন।

 

 

প্রশাসনিক কর্মকর্তা

 

কর্মসূচি অনুযায়ী

.         প্রশিক্ষণ

অভিযোগের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি Module তৈরী করা আছে প্রতি মাসে Training Time and Date উল্লেখ পূর্বক Traget Group নির্ধারন করা হয় এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

 

Welfare কর্মকর্তা

 

কর্মসূচি অনুযায়ী

. Mid level Management Meeting

Mid level Management Meeting কর্মকর্তাদের অভিযোগ প্রদান সমাধানের পদ্ধতি সম্পর্কে Training দেয়া হয়, এবং হালনাগাদকৃত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

এইচ আর অফিসার, Welfare কর্মকর্তা

 

প্রয়োজনীয় সময়ে

.        অভিযোগ সম্পর্কে আলোচনা

সকল প্রকারের সচেতনতামূলক কর্মসূচীতে অভিযোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এইচ আর অফিসার

 

প্রয়োজনীয় সময়ে

.         নোটিশ বোর্ড

নোটিশ বোর্ডে হয়রানী অসদাচরন সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপন করা হয় যার মাধ্যমে শ্রমিকগন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।

 

প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এইচ আর অফিসার, Welfare কর্মকর্তা

 

কর্মসূচি অনুযায়ী

.        পি.  সিস্টেম

পি. সিস্টেমের মাধ্যমে সকল ধরনের অভিযোগ উপস্থাপন পদ্ধতি সম্পর্কে শ্রমিকদের অবহিত করা হয়।

 

প্রশাসনিক কর্মকর্তা

 

কর্মসূচি অনুযায়ী

প্রতিক্রিয়া পদ্ধতিঃ

ক্রিয়াকলাপ (Activities)

প্রক্রিয়া (Procedure)

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (Responsible Person)

ক্রিয়াকলাপের সময়কাল

.সচেতনমূলক কার্যক্রম

প্রশিক্ষন

এইচ আর অফিসার

মাসিক

.আভ্যন্তরীন নিরীক্ষা

সরঞ্জামাদি :

  • চেকলিষ্ট
  • প্রশ্নাবলী

i. কর্মী স্বাক্ষাতকার

ii. ব্যবস্থাপক স্বাক্ষাতকার

iii. ফ্লোর পরিদর্শন

Compliance Team

মাসিক

.রিপোর্টিং

আভ্যšতরীন নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরী করা

Compliance Team

যত তাড়াতড়ি সম্ভব সমাধান করা

.নিয়ন্ত্রন নির্ধারন

Follow Up

Compliance Team

যত তাড়াতড়ি সম্ভব সমাধান করা

 

 

 

 

 

প্রস্ততকারী          সমন্বয়কারী           অনুমোদনকারী

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ