নতুন নিয়োগকৃত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রশিক্ষন ও বিস্তারিত আলোচনা || New Employee orientation training


      নতুন নিয়োগকৃত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রশিক্ষনঃ

স্বাগত বক্তব্য পরিচিতিঃ

প্রশিক্ষক সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রত্যেকের পরিচিতি জানবে।

কারখানা পরিচিতিঃ


এটি একটি ---------- কারখানা । এখানে সকল প্রকার -------------------তৈরী করা হয়।

কারখানার অবস্থানঃ

কারখানার নামঃ

কারখানার ঠিকানা

কারখানা প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ঃ 


কারখানাটি  ৮ম  তলা বিশিষ্ট

১ম তলা ------------------------         

২য় তলায় ------------------------

৩য় তলায় -----------------------

৪র্থ তলায় ------------------------

৫ম তলা -------------------------

৬ষ্ঠ তলায় ----------------------

৭ম তলায় -----------------------

৮ম তলায় -----------------------

 


অন্যান্যঃ

মোট শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারী ----------জন।

টোটাল শিফট ১টি,

বাথরুম ---------------টি,

জেনারেটর মেশিন ------------টি,

বয়লার মেশিন --------------------------টি

কারখানা থেকে বাহির হওয়ার জন্য দুইটি সিড়ি রয়েছে।

এখানে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইসার এবং ফায়ার ফাইটার, ফাস্ট এইডার রয়েছে।

বায়ারঃ

এখানে বিভিন্ন বায়ারের ----------- করা হয়। বায়ারের নামগুলো হচ্ছে --------------------------- ইত্যাদি। উৎপন্ন ---------------------- ধরন গুলো হলো ম্যান, লেডিস, বয়েজ, ইত্যাদি। প্রতিদিন ---------পিছ, মাসে ---------------- পিছ এবং বৎসরে ---------------------- পিছ।

হ্যান্ড বুক বা শ্রমিক সহায়িকা বইঃ

কারখানায় নিয়োগ পত্র পাওয়ার সাথে একটি করে শ্রমিক সহায়িকা বই দেওয়া হয়। শ্রমিক সহায়িকা বইয়ে উল্লেখ থাকে আইনের সারাংশ, বাংলাদেশ গেজেটে উল্লেখকৃত বিভিন্ন গ্রেড, কারখানায় সমস্ত নিয়মককানুন, সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি।

আর্থিক অনার্থিক সুবিধা সমুহঃ

আর্থিক সুবিধা সমূহঃ দুইটি ঈদ বোনাস, হাজিরা বোনাস, বার্ষিক ছুটির টাকা প্রদান, সার্ভিস বেনিফিটের টাকা।

অনার্থিক সুবিধা সমূহঃ মেডিকেল সুবিধা, ডে-কেয়ার সুবিধা, বাৎসরিক এওয়ার্ড প্রদান, বাৎসরিক অনুষ্ঠান।

গ্রæ বীমাঃ

চাকুরীতে যোগদানের পর পরই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রæ বীমার আওতাভুক্ত করা হবে। কর্মরত অবস্থায় যদি কেউ মারা যায় তাহলে জীবন বীমা থেকে তার নমিনী দুই লাখ টাকা পাবে।

ব্যক্তিগত সুরক্ষাঃ

সকল শ্রমিক কাটার, সিজার, ভোমর রশি দিয়ে বেধে নাম কার্ড নং লিখতে হবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ উচু স্থানে বেধে কাজ করতে হবে। মেশিনে নিডেল গার্ড, আইগার্ড, পুলিকভার নিশ্চিত করন এবং ব্যান্ড নাইফ মেশিন চালাতে হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। থ্রেড সার্কিং অপারেটর কাজ করার সকয় মাস্ক এয়ার প্লাগ ব্যবহার করবে। স্পট রিমোভিং ম্যানকে হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করে কাজ করবেন।

দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগঃ

প্রত্যেকটি শ্রমিকের কাজ শেখার সুযোগ দেওয়া হয় এবং কাজের জটিলতা গভিরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের পদোন্নতি বেতন বৃদ্ধি করা হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭টি বিষয় দক্ষতা, বিভিন্ন প্রসেস, কাজের কোয়ালিটি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, উপস্থিতি শৃঙ্খলার দিকে লক্ষ্য করা হয়।

স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঃ

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, জঞ্জাল নির্গত ময়লা অপসারন, বায়ু চলাচল ব্যবস্থা তাপমাত্রা, ধূলোবালি ধোয়া, আলোর ব্যবস্থা, খাবার পানি সুবিধা, পায়খানা প্রসাবখানা, বাথরুম, টয়লেট পরিস্কারকরণ ইত্যাদির লক্ষ্য রাখা হয়।

কোয়ালিটিঃ

উৎপাদন প্রকিৃয়ায় জড়িত সকলের সাথে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। পোশাকের মান নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে। অভিজ্ঞতার বৃদ্ধির সাথে সাথে দক্ষতা বাড়াতে হবে। ওয়েস্টেজ, অলটার, রিজেক্ট মালের সংখ্যা কমাতে হবে।

ঘুষ র্দূনীতিঃ

ঘুষ র্দূনীতি বর্তমান বিশ্বে একটি মারাত্বক ব্যাধি হিসাবে দেখা দিয়েছে। সেই সাথে আমাদের দেশে বিভিন্ন পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য করা যায়। এই লক্ষে ঘুষ র্দূনীতিকে আমরা মারাত্বক অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করেছি এবং আমাদের কারখানায় সর্বত্র ঘুষ আদান প্রদান র্দূনীতি সম্পন্ন নিষিদ্ধ। যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ র্দূনীতির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাতক্ষনিক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে।

কারখানা নিরাপত্তা বিষয়কঃ

কোম্পানী/কর্তৃপক্ষের সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। টিফিন বক্স এবং জুতার ব্যাগ ছাড়া অন্য কোন ব্যাগ নিয়ে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। বিড়ি, সিগারেট, দিয়াশলাই এবং কোন দাহ্য পদার্থ ফ্যাক্টরীতে বহন করা যাবে না। ক্যামিকেল জাতীয় দ্রব্যাদি ক্যামিকেল রুম ব্যাতিত অন্য কোন জায়গায় ব্যবহার করা যাবে না।কারখানার যাবতীয় সম্পদ যেমন মেশিন, আসবাব পত্র, তৈরি পোশাক জনবল ইত্যাদি যাতে আপনার দ্বারা বা অন্যের দ্বারা ক্ষতি সাধিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যদি ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তাহলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন

সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ নিষেধঃ

কারখানার সংরক্ষিত এলাকা যেমন- ফিনিস গুডস রুম, প্যাকিং  রুমে , বন্ডেড ওয়্যার হাউজ, ক্যামিক্যাল  রুমে, জেনারেটর বয়লার রুমে প্রবেশ নিষেধ। যে সব এলাকায় প্রবেশ করতে হলে কর্তৃপক্ষের আবেদনের সাপেক্ষে প্রবেশ করতে হবে এবং সংরক্ষিত এলাকায় দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে প্রবেশ করতে হবে।

পুরস্কারঃ

যদি কোন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তা কারখানার ভিতরে কোন বে-আইনী পণ্য যেমনঃ বিস্ফোরক, সিগারেট, বোমা, দিয়াশলাই জাতীয় কোন কিছু নিয়ে প্রবেশ করে এবং যদি কোন কর্মচারী /কর্মকর্তার ঘুষ দূনীতির প্রমান কেউ ধরে দিতে পারেন তাহলে সেই তথ্যদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে উল্লেখ থাকে তথ্যদাতার নাম অবশ্যই গোপন রাখা হবে।

জরুরী দুর্যোগ মোকাবেলাঃ

যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ হলো বহির্গমন। তাই সর্ব প্রথম আপনি বহির্গমন নক্সা দেখে জানবেন আপনি যেকোন দুর্গোগ মোবাবেলায় দ্রæ কোন রাস্তা ব্যবহার করবেন। সেই সাথে যারা ফায়ার টিমের সদস্য তারা তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। জরুরী বহির্গমনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের কারখানায় প্রতি মাসে অগ্নি মহড়া হয়। অগ্নি মহড়ায় প্রত্যেকেই যে অবস্থায় থাকবেন সেই অবস্থায় দ্রæ কারখানার বাহিরে সমাবেশ স্থানে চলে যাবেন।

হয়রানী/গর্হিত আচরণ শারীরিক নির্যাতনঃ

উক্ত কম্পানী হয়রানী/গর্হিত আচরণ শারীরিক নির্যাতন কোন ভাবেই মেনে নেয় না।

সাধারন হয়রানীঃ শারীরিকভাবে আঘাত বা ক্ষতি সাধন করা। ভয়দেবার উদ্দেশ্যে অথবা হেয় করার জন্য কোন প্রকার মন্তব্য করা।  শারীরিক শান্তির মাধ্যমে শৃঙ্খলা রক্ষা করা। টয়লেট ব্যবহার করতে বা পানি পান করতে বাধা সৃষ্টি করা। অযৌক্তিক নিরাপত্তা তল্লাসী

যৌন হয়রানীঃ সুপারভাইজার কর্তৃক যে কোন উপায়ে শ্রমিকদের শরীর স্পর্শ করা। শ্রমিকদের যৌন মন্তব্য করা যা কাজের প্রতিকুল পরিবেশ সৃষ্টি করা।চাকুরীতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের যে কোন ধরনের যৌন আচরনে অংশ নিতে বাধ্য করা। চাকুরী রক্ষার চুক্তি হিসাবে যে কোন ধরনের যৌন আচরনে অংশ নেয়া বা অংশ নিতে বাধ্য করা।

নিষিদ্ধ বিষয়াদিঃ কোন শ্রমিককে মৌখিকভাবে গালাগালি করা যাবে না বা মানসিক পীড়াদায়ক কোন আচরন করা যাবে না। শ্রমিককে শারীরিকভাবে নির্যতন, মারধর করা যাবে না।কারখানার অভ্যন্তরে বৈষম্য, হয়রানী, গালাগালী, বলপূর্বক শ্রম, বন্দী অথবা জিম্মি করে কোন কাজ করানো যাবে না।

অভিযোগ পদ্ধতিঃ

যদি কোন শ্রমিক হয়রানী/গর্হিত আচরন শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয় এবং যদি কোন অভিযোগ, পরামর্শ, অনুযোগ থাকে তাহলে অভিযোগের ধরন বুঝে আপনার পার্শ্ববর্তী সুপারভাইজার, সেকশন ইনচার্জ, পি.সি কমিটির সদস্য, ইউনিয়নের সদস্য, ওয়েলফেয়ার অফিসার, এডমিন ম্যানেজার, কারখানার জি.এম এদেরকে জানাতে পারেন। এছাড়াও কারখানার বিভিন্ন টয়লেটের ভিতরে অভিযোগ বক্স রয়েছে, সেখানেও আপনার অভিযোগ বক্সে ফেলতে পারেন। এছাড়াও বহিরাগত যেকোন অর্গানাইজেশন এর নিকট অভিযোগ করতে পারে। হট লাইন- ---------।

সমিতি গঠনের স্বাধিনতাঃ

উক্ত কারখানায় সকল শ্রমিকের সমিতি গঠনের স্বাধিনতা প্রদান করা হয়। আপনারা ইচ্ছা আইন অনুযায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে পারেন। যদি কোনভাবে নিয়োগ কমিটির অগোচরে শিশু শ্রমিক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যায় তাহলে শিশু শ্রমিক নিয়োগ পরিহার নীতিতে উল্লেখিত যে সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা প্রদান করা হবে। যদি দুর্ঘটনাবশঃত নিয়োগের সময় কাউকে জোর পূর্বকভাবে নিয়োগ করা হয় তাহলে বলপূর্বক শ্রম বিরোধী নীতিমালা অনুসরন করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। 

নিয়োগ পত্রে উল্লেখিত বিষয়ঃ

একজন শ্রমিক/ কর্মচারীর  নিয়োগ  পত্রে কর্মে যোগদানের তারিখ, নাম, পিতা/ স্বামীর নাম, পদবী, গ্রেড, কার্ড নং এবং কোন বিভাগ/ সেকশনে যোগদান করেছেন তা উল্লেখ আছে।

নিয়োগ পত্রে শ্রমিক/ কর্মচারী কার মোট বেতন কত, মূলবেতন, বাড়ীভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা এবং খাদ্য ভাতা উল্লেখ আছে। ধরা যাক একজন শ্রমিকের মোট বেতন ---------------------- টাকা তাহলে তার বেতন মজুরীর হিসাব হবে

নিম্নরূপঃ

 মূল বেতন----------------------------টাকা

    খবাড়ী ভাড়া-----------------------------টাকা (৫০%)

 চিকিৎসা ভাতা --------------------টাকা

 যাতায়াত---------------------------------টাকা

   ঙখাদ্য ভাতা-------------------------------টাকা

  সর্বমোট  --------------------------টাকা                                                  

শিক্ষানবিসকালঃ  একজন শ্রমিক/ কর্মচারী নিয়োগের তারিখ হইতে ------ মাস শিক্ষানবিসকাল অতিক্রম হইলে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে গণ্য হবে। দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে যদি ---------মাসে দক্ষতার প্রমান না দিতে পারেন তা হইলে কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে আরও ------------- মাস শিক্ষানবিসকাল বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।

ছুটিঃ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি বছরে ১০ (দশ) দিন, অসুস্থাতা জনিত ছুটি বছরে ১৪ (চৌদ্দ) দিন, বার্ষিক ছুটি ১৮ (আঠার) দিন কাজ করলে ০১ (এক) দিন, উৎসব ছুটি কমপক্ষে ১১ ( এগার ) দিন এবং মাতৃকল্যাণ ছুটি সন্তান প্রসবের পূর্বে (আট) সপ্তাহ এবং পওে সপ্তাহ অর্থাৎ মোট ১৬ (ষোল) সপ্তাহ বা ১১২ (একশত বার) দিন। বার্ষিক ছুটির ক্ষেত্রে চাকুরীর বয়স কমপক্ষে ০১ (এক) বছর পূর্ন হওয়ার পর ভোগ করা যাবে কিন্তু নৈমিত্তিক ছুটি, উৎসব ছুটি এবং মেডিক্যাল ছুটি নিয়োগের পর হতেই ভোগ করতে পারবে

কার্য ঘন্টাঃ সাধারণ কর্ম সময় দৈনিক ০৮ (আট) ঘন্টা, এর অতিরিক্ত কাজ হইলে ওভারটাইম হিসেবে গন্য করে অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হয়।

ওভারটাইম টাকার হিসাবঃ ওভারটাইম ভাতা প্রচলিত আইনানুযায়ী প্রদান করা হয়, যেমন- মূলবেতন /২০৮*২*অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা = ওভারটাইম টাকা।

অভিযোগঃ  অভিযোগ বক্সে আপনার অভিযোগ লিখিতভাবে জানাইতে পারেন।

চাকুরীর অবসানঃ

() মালিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান করা হইলেঃ মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত স্থায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ১২০ (একশত বিশ) দিনের নোটিশ এবং অস্থায়ী শ্রমিকের ক্ষেত্রে ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ এবং অন্যান্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে ১৪ (চৌদ্দ) দিনর নোটিশ অথবা নোটিশের পরিবর্তে উপরোক্ত  দিনের মজুরী পরিশোধ করা হইবে।

() শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসানঃ কোন শ্রমিক মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় চাকরীর অবসান করিতে চাহিলে স্থায়ী শ্রমিক ৬০ (ষাট) দিনের নোটিশ, অস্থায়ী শ্রমিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ এবং অন্যান্য শ্রমিক ১৪ (চৌদ্দ) দিনের নোটিশ নিয়োগ কর্তাকে প্রদান করিবেন। যদি উক্ত শ্রমিক উপরোক্ত দিন পূর্বে নোটিশ দিতে ব্যর্থ হন তাহলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নোটিশ মেয়াদের সমপরিমান মজুরীর অর্থ নিয়োগ কর্তাকে ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকিবেন।

() মাসিক মজুরীতে নিযুক্ত স্থায়ী কর্মচারী/ কর্মকর্তাকে মালিক অব্যহতি দিতে ইচ্ছা করলে একমাসের লিখিত নোটিশ অথবা এক মাসের বেতন পরিশোধ করিবেন। পক্ষান্তরে কোন কর্মচারী/ কর্মকর্তা নিজেই চাকুরী হইতে ইস্তফা দিলে এক মাস পূর্বে লিখিত নোটিশ প্রদান করিবেন অথবা এক মাসের বেতন কোম্পানীর নিকট সমর্পন করিবেন।

অসদাচরন বা অপরাধসমূহঃ 

) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যুক্তিসংগত আদেশ মানার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা

) চুরি, প্রতারনা বা অসাধুতা

) চাকুরীর সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহন প্রদান

) বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি

) অভ্যাসগত বিলম্বে অনুপস্থিত

) প্রতিষ্ঠানের কোন আইনের অভ্যাসগত লংঘন

) উচ্ছৃংখল বা দাংগা-হাংগামামূলক আচরন অথবা শৃংখলা হানিকর কোন কর্ম

) কাজে-কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি।

) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত যে কোন বিধির অভ্যাসগত 

) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরন, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরন বা উহা হারাইয়া ফেলা।

 

শাস্তিজনিত নিয়মকানুনঃ

লঘু অপরাধের জন্য প্রাথমিক ভাবে মৌখিক সতর্ক করা হইবে। যদি একই অপরাধ বার বার সংগঠিত হয় তখন লিখিত ভাবে সতর্ক করা হইবে। তৃতীয়বার একই অপরাধ সংগোঠিত করলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে কেন চাকুরী চ্যুত করা হইবে না তাহার লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশ জারী করা হইবে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক লিখিত কারন দর্শানোর নোটিশে জবাব দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হইবে। তদন্ত কমিটি কর্তৃক অভিযুক্ত অপরাধ অথবা অপরাধ সমূহ যদি সঠিক প্রমানিত হয় তাহা হইলে উক্ত কর্মচারী চাকুরীচ্যুত হইবেন। যদি অপরাধের ধরণ খুব বেশী গুরুতর হয় তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে চাকুরী হইতে অনতিবিলম্বে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হইবে

অসদাচরণের জন্য শাস্তি প্রদানঃ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা অনুযায়ী অসদাচরণের জন্য বরখাস্তের পরিবর্তে বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত যে কোন শাস্তি প্রদান করা যাইতে পারে।

() চাকুরী থেকে অপসারণ।

() নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন।

() অনধিক এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ।

() অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ।

() জরিমানা।

()  অনধিক সাত দিন পর্যন্ত  বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত।

() ভৎসনা , সতর্কীকরণ।

 

১১। মাসিক বেতন ভাতাঃ মাসিক বেতন ভাতা মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ০৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হয়।

১২। কোম্পানীর প্রয়োজনে অন্য যে কোন কারখানায় বদলী করিতে পারিবে

১৩। দুপুরে খাবার বিরতি ০১.০০ থেকে .০০ মিনিট  পর্যন্ত ০১ (এক) ঘন্টা।

১৪। আপনি আপনার ঠিকানা পরিবর্তন করিলে ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে অফিসকে লিখিতভাবে জানাইতে হইবে। 

১৫। প্রত্যেকেই তাদের নিদিষ্ট কার্যবিবরনী অনুযায়ী কাজ করবে।

নিরাপত্তা নির্দেশিকাঃ

১) ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করার সময় প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মীগণ ফ্যাক্টরী গেটে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীকে তার পরিচয় পত্র প্রদর্শন করবেন। পরিচয় পত্র বিহীন ব্যক্তিকে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

২) প্রত্যেক কর্মী কর্মকর্তাকে কোম্পানী প্রদত্ত পরিচয় পত্র ডিউটি কালীন সময়ে পরিধান করতে হবে।

৩) অনুমোদিত গেট পাশ ছাড়া ফ্যাক্টরী বা কোম্পানীর কোন মালামাল বাহিরে নেয়া যাবে না।

৪) কাজ চলাকালীন সময়ে কোন কর্মী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মক্ষেত্রের বাহির যেতে পারবে না এবং বাহিরে থেকে ভিতরে আসতে পারবে না।

৫) মহিলা নিরাপত্তা কর্মী যে কোন সময় ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে যে কোন মহিলা কর্মকর্তা/কর্মীর ব্যাগ এবং দেহ তল্লাশী করার অধিকার রাখে। পুরুষ নিরাপত্তা কর্মী প্রয়োজনে ফ্যাক্টরীর অভ্যান্তরে যে কোন পুরুষ কর্মকর্তা/কর্মীর ব্যাগ এবং দেহ তল্লশী করার অধিকার রাখে।

৬) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কেউ ফ্যাক্টরীর ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না।

৭) যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমতি ব্যতীত ফ্যাক্টরীর কোন মালামাল বাহিরে নেয়া কিংবা নেয়ার চেষ্টা গুরুত্বর শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

৮) স্বীয় কাজের সেকশন ছাড়া অযথা এখানে সেখানে ঘুরাঘুরি করা যাবে না।

৯) কর্মীদের কোন ভিজিটর আসলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দেখা করতে পারবেন।

১০) ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বিঘিœ হয় বা হতে পারে এরূপ কিছু দৃষ্টিগোচর হলে কোম্পানীর নিরাপত্তা বিভাগকে তাৎক্ষণিক ভাবে জানাতে হবে।

১১) অব্যহতি কালে প্রত্যেকে অবশ্যই আই.ডি. কার্ড জমা দিবে।

১২) জেনারেটর রুম, বয়লার রুম, স্টোর, বন্ডেড ওয়্যার হাউস, লোডিং এরিয়া, আনলোডিং এরিয়া, প্যকিং সেকশন ফিনিসড কার্টুন এলাকায় অনুমোদিত ব্যক্তি বিহীন অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

ভয়ভীতি বা হুমকিঃ

) অভ্যন্তরীন ভয়ভীতি বা হুমকি( Internal Threat ): কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিক কতৃক সৃষ্ট উশৃঙ্খল কার্যকলাপ, চুরি অথবা এক বিভাগ হতে অন্য বিভাগে ঘোরাফেরা করলে নিরাপত্তা কর্মী তৎক্ষনাৎ তাহা নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন যাহাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম না হয় এবং কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করতে না পারে সে ব্যপারে সকল নিরাপত্তা কর্মী কে নিজ নিজ দায়িত্ব সর্বদা পালন করার জন্য প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে।

) বহিরাগত ভয়ভীতি বা হুমকি ( External Threat ): বর্তমানে জঙ্গী সংগঠনের সদস্য দ্বারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভঙ্গুর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যদি কোন পরিকল্পনা করে থাকে এবং যদি নিরাপত্তা বিভাগ এই ধরনের কোন সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে তবে তৎক্ষনাৎ তা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে এনে নিজের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরালো করে নিকটস্থ সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে। ছাড়া কেন্দ্রীয় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী গ্রুপ তার উশৃঙ্খল লোক দ্বারা যদি কারখানার অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিঘিœ হওয়ার সংবাদ থাকে সে ব্যপারে নিরাপত্তাবিভাগকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে তৎসঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাগ্রহন করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ