C-TPAT নিরাপত্তা নীতিমালা || C-TPAT Policy


                    C-TPAT নিরাপত্তা নীতিমালা

.       ভূমিকাঃনিরাপত্তা বা সিকিউরিটি একটি ফ্যাক্টরীর জন্য বিশেষ করে টেক্সটাইলস্ ফ্যাক্টরীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টেক্সটাইলস্ শিল্প ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বলতে বুঝায় শ্রমিক/ কর্মচারী/ ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিধি নিষেধ পালন করা।

C-TPAT নিরাপত্তা নীতিমালা
C-TPAT নিরাপত্তা নীতিমালা


. উদ্দেশ্যঃC-TPAT(Customs – Trade Partnership Against Terrorism) নিরাপত্তা নীতিমালার লক্ষ্য হল প্রদত্ত নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে ------------------------------- সকল সেকশনে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অভিপ্রায় হল নিরাপত্তার বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে চুরি, ধ্বংস এবং অন্তর্ঘাত হতে ---------------------------- লোকবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষণে শ্রেষ্ঠতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠিত করা। কার্যধারাটি ------------------- তার গ্রাহকদের পারষ্পরিক বানিজ্যিক স্বার্থে সর্বাধিক নিরাপত্তার গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কে সময়োপযোগী নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধ্যানুযায়ী তার অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে। কর্মসূচীটির মাধ্যমে --------------------------- দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করে যে, তার নিরাপত্তার মান জাতীয় অন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করার সাথে সাথে ------------------------- নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি অন্য সকল শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করে ---------------------- --C-TPAT নিরাপত্তা নীতিমালা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজের পরিপূরক।

.      শ্রমিক/ কর্মচারীদের প্রবেশের সময় নিরাপত্তাঃ

.      শ্রমিক-কর্মচারীগণ তাদের নিজ নিজ আই.ডি. কার্ড প্রধান গেইটে জমা/প্রদর্শন করছে কিনা তা দেখা। আই.ডি. কার্ড ছাড়া যদি কেউ ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে চায় তবে তাদের কার্ড নং, নাম, সেকশন উল্লেখ করে লিখিতভাবে ঐজ অফিসারকে অবহিত করা।

.     কোন প্রকার অবৈধ জিনিষ নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা চেক করা।

.     জুতা খুলে/নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা।

.      নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা।

.     নির্দিষ্ট সময়ের পরে প্রবেশ করতে চাইলে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না তা দেখা।

.     ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের সময় নিজের ব্যবহৃত জিনিস ছাড়া তার কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু জিনিস নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা

.      ব্যক্তিগত প্রয়োজন শেষে গেট পাশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা।

.     ব্যক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যথা হাতব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিয়ার, ব্রিফকেইস ইত্যাদি খুলে পরীক্ষা করে দেখা যাতে কেউ অবৈধ বা অপ্রয়োজনীয় অথবা ফ্যাক্টরীর সাথে বা কাজের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে।

.     শ্রমিক কর্মচারীরা কোন কিছু সাথে আনলে বা সাথে নিয়ে প্রবেশ করলে তা যেন গেইটে দেখিয়ে, চেক করে এবং প্রয়োজনবোধে গেইটে এন্ট্রি করিয়ে ভিতরে ঢুকায় এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।

.১০    কোম্পানী প্রদত্ত আই.ডি. কার্ড প্রবেশের পর হতে বাহির হওয়া পর্যন্ত প্রদর্শিত অবস্থায় রাখতে হবে।

. শ্রমিক/ কর্মচারীদের বাহির হওয়ার সময় নিরাপত্তাঃ

.       ঘন্টা দিয়ে লাঞ্চের সময় জানিয়ে দেয়া।

.      খাওয়ার সময় টিফিন বক্স এবং নিজের পরিধেয় কাপড় জুতা ছাড়া অন্য কোন কিছু হাতে করে নিচ্ছে কিনা তা দেখা

.      কোন শ্রমিক/কর্মচারীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাইরে যাবার সময় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি/গেট পাশ নিয়ে যাচ্ছে কিনা তা দেখা

.      ছুটির সময় হলে ঘন্টা দিয়ে জানিয়ে দেয়া।

.      ছুটির সময় টিফিন বক্স অন্যান্য ব্যক্তিগত ব্যাগ চেক করা।

.     ছুটির সময় শ্রমিক/কর্মচারী সারিবদ্ধভাবে বাহির হতে সহায়তা করা।

.      রপ্তানীযোগ্য (এক্সপোর্ট) সাধারণ মালপত্র লোডিংয়ের সময় নিরাপত্তাঃ

.      এক্সপোর্টের মালামাল/কার্টুন/রোল লোডিংয়ের সময় সঠিকভাবে গুণে দেখা এবং ষ্টোরকে অবহিত করা।

.     মালামাল/কার্টুন/রোল লোডিং হওয়ার পর গেইটপাশ বুঝে নেয়া।

.     সাধারণ জিনিস পত্র যেমন মেশিন / কাপড় আনুষাঙ্গিক দ্রব্যাদি লোডিং এর সময় ভালভাবে পরীক্ষা করে গেইটপাশে উল্লেখিত পরিমান অনুযায়ী নিয়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা।

.      এক্সপোর্ট কার্টুন/রোল খোলা, ভাঙ্গা বা ছেঁড়া আছে কিনা দেখা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.     এক্সপোর্ট রোল/কার্টুনে কেউ কোন কিছু রাখছে কিনা তা দেখা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.     কি কি মালামাল বাইরে যাবে জেনে নেয়া গেটপাশ/চালান হাতে নেয়া, যাতে সেগুলো ছাড়া অন্য কিছু বাইরে না যায় সে দিকে নজর রাখা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.      এক্সপোর্ট কার্টুন/রোল লোডিংয়ের সময় লেবারদের অস্বাভাবিক আচরণ গতিবিধি নজরে পড়লে তা পরীক্ষা করা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.     এক্সপোর্ট কার্টূন/রোল লোডিংয়ের সময় কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট নয় এমন কেউ যাতে লোডিং এরিয়ায় আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.     এক্সপোর্ট বা সাধারণ মালামাল লোডিং হবার পর চালান বা গেইটপাশে স্বাক্ষরসহ GOODS IN  সীলমোহর নিশ্চিত করা।

.     ইমপোর্ট সাধারন মালপত্র এক্সেসরীজ আনলোডিংয়ের সময় নিরাপত্তাঃ

.      আমদানিকৃত মালপত্র আসলে ট্রাক থেকে সুন্দরভাবে মালপত্রগুলো নামছে কিনা তা দেখা।

.     মালপত্রগুলো চালানের সাথে মিলিয়ে দেখা।

.     মালপত্রগুলো যথাস্থানে সুন্দর ভাবে রাখা হয়েছে কিনা তাহা দেখা।

.     সাধারন জিনিস পত্রের ক্ষেত্রে চালান পত্র অনুসারে মাল বুঝে নেয়া।

.     চালান/বিলে স্বাক্ষর সহ এঙঙউঝ ওঘ সীলমারা নিশ্চিত করা।

.     বিভিন্ন দ্রব্য / জিনিস আনা নেয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পণ্যটি অবৈধ কিনা অথবা কোন কেমিক্যাল কিনা, কেমিক্যাল হলে তাহা দাহ্য (ফ্লেমেবেল) কিনা।

.     ক্ষতিকারক কোন জিনিস আনা যাবে না।

.      বহিরাগত/ভিজিটর (পরিদর্শক) প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত নিরাপত্তাঃ

.       গেইটে ভিজিটর (বিদেশী/স্থানীয়) আসিলে, কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড তাঁকে সরাসরি ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে দিবে না।

.      সিকিউরিটি গার্ড নম্রভাবে ভিজিটরের পরিচয় জানতে চাইবে তিনি কার সাথে দেখা করতে চান জানতে চাইবেন। সন্তোষজনক উত্তর পেলে সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটরকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতির জন্য জি.এম./ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের কাছে খবর পাঠাবেন।

.      জি.এম./ফ্যাক্টরী ম্যানেজার অনুমতি দিলে, সংশ্লিষ্ট রেজিষ্টারে ভিজিটরের তথ্যাবলী (তারিখ, আগমন সময়, নাম, ঠিকানা/অফিসের নাম, সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি, সাক্ষাতের উদ্দেশ্য, ভিজিটর কার্ড নং, ভিজিটরের স্বাক্ষর) লিপিবদ্ধ করিবেন ভিজিটরকে ভিজিটর কার্ড দিবেন।

.      যদি একই প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ভিজিটর আসে, তবে তাদের প্রত্যেকের নাম ভিজিটর রেজিষ্টারের আলাদা ঘরে লিখতে হবে এবং প্রত্যেককেই ভিজিটর কার্ড প্রদান করতে হবে। 

.      ভিজিটর কার্ড সামনের পকেটে বা অনুরূপ স্থানে এমনভাবে পরিধান করতে হবে, যেন ¯পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।

.     ভিজিটিকালীন ¤পূর্ণ সময়ে ভিজিটর কার্ড পরিধান করে থাকতে হবে।

.      সিকিউরিটি গার্ড নম্রভাবে ভিজিটরের ব্যাগ দেহ তল্লাশী করার কথা বলবেন তল্লাশী করবেন। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্ক্যানার দ্বারা স্ক্যান করবেন।

.      অতঃপর একজন সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটরকে সঙ্গে করে সাক্ষাৎকারীর নিকট নিয়া যাবে।

.      ভিজিটর যার সাথে দেখা করতে চান, পারতঃপক্ষে তিনি অফিসে গিয়ে ভিজিটরের সাথে দেখা করবেন। যদি একান্তই ভিজিটরকে ফ্যাক্টরীর ভিতরে নিয়ে আসতে হয়, সেক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি সবসময় ভিজিটরের সঙ্গে থাকবেন।

.১০    ভিজিটরকে কখনই একা একা অফিসে বা ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঘোরাফেরা করতে দেয়া যাবে না।

.১১     সাক্ষাৎ শেষে সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি ভিজিটরকে গেইট  পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসবে।

.১২    সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার সময় ভিজিটর কার্ড সিকিউরিটি গার্ডের কাছে হস্তান্তর করবেন। সিকিউরিটি গার্ড ভিজিটর কার্ড নিবেন, ভিজিটর রেজিষ্টারে বাহির হওয়ার সময় লিপিবদ্ধ করবেন ভিজিটর রেজিষ্টারে সিকিউরিটি গার্ডের স্বাক্ষর দিবেন।

.১৩    উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ভিজিটরকে অফিসের বা ডিসপে¬কৃত লেগ প্যানেল বা ডকুমেন্টসের বা ফ্যাক্টরীর বা অন্য কিছুর ছবি তুলতে দেয়া যাবে না।

.১৪    গেটপাশ ব্যতীত ভিজিটরকে কোনকিছু গেটের বাহিরে নিতে দেয়া যাবে না।

.১৫    কোন সিকিউরিটি গার্ড বদলীর সময় নতুন গার্ডকে সঠিকভাবে দায়িত¦ হস্তান্তর ব্রিফিং করতে হবে।

.১৬   সিকিউরিটি অফিসার প্রতিদিন কার্য্যসময় শেষে ভিজিটর রেজিষ্টার চেক করিবেন উহাতে মন্তব্যসহ স্বাক্ষর করিবেন।

.১৭    সিকিউরিটি ইনচার্জ প্রত্যেক সপ্তাহান্তে ম্যানেজার/জি.এম. মহোদয়ের চেক স্বাক্ষরের জন্য ভিজিটর রেজিষ্টার তাঁর নিকট নিবেন। 

.১৮    ভিজিটর কার্ড নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় বিধায় ভিজিটর কার্ড হারানো অপরাধ। যদি একান্তই হারিয়ে যায় তবে, উক্ত ব্যক্তি একটি লিখিত জবানবন্দী দিবেন। সিকিউরিটি অফিসার  হারানোর ঘটনা তদন্তপূর্বক হারিয়ে যাওয়া কার্ড নিয়মিত করনের ব্যবহার করিবেন।

.     বাহিরে সংগঠিত দূর্ঘটনার সময় করণীয়ঃ

.      হাঙ্গামা বা দুর্ঘটনা হওয়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

.     ফ্যাক্টরীর বাহিরে কোন দুর্ঘটনা হলে তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটক বন্ধ করা। তবে কোন অবস্থাতেই তালা মারা  যাবে না এবং নিরাপত্তারক্ষী বিরতিহীন অবস্থান  করিবে

.     হাঙ্গামা বা দূর্ঘটনা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছিলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে খবর দেয়ার ব্যবস্থা করা।

.      অভ্যন্তরীন  দূর্ঘটনার সময় করণীয়ঃ

.      অভ্যন্তরীন দূর্ঘটনার সময় যেমন আগুন লাগলে সাথে সাথে শ্রমিকদের বের হতে সহায়তা করা 

.      সাথে সাথে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়ার ব্যবস্থা করা।

.     দূর্ঘটনা বা আগুন লাগলে ফায়ার অ্যালার্ম বাজানোর ব্যবস্থা করা।

.      ফায়ার অ্যালার্মেও পাশাপাশি গং বেল বাজিয়ে সর্তক করে দেয়া।

.     মেইন গেইট সম্পুর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রেখে সর্বাত্মক সর্তক থাকা।

১০.    ফ্যাক্টরী বন্ধের সময় করণীয়ঃ

১০.     ফ্যাক্টরী বন্ধের সময় সমস্ত গেইট দরজা-জানালা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা।

১০.    সিকিউরিটি লাইট সবগুলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা।

১০.    সব গেইট বন্ধ করার ব্যবস্থা করা।

১০.    তালা সীল গালা করার ব্যবহার করা।

১০.    কর্তৃপক্ষের দস্তখত নেয়ার ব্যবস্থা করা।

১০.   গেইটে রক্ষিত সকল রেজিষ্টার নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা।

১০.    কারাখানার ভিতরে কোন শ্রমিক কর্মচারী রয়ে গেছে কিনা তা দেখা।

১০.    টয়লেট চেক করা হয়েছে কিনা (কারন টয়লেটের ভিতরে লোক থাকতে পারে) তাহা নিশ্চিত করা।

১০.    যাবতীয় চাবি ঠিক আছে কিনা তাহা দেখা

১০.১০  চাবিগুলো যথাযথ সময় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করা।

১১.    রাত্রিকালিন ডিঊটির সময় করণীয়ঃ

১১.     রাত্রিকালিন ডিঊটির সময় চারদিকে প্রতি ঘন্টা অন্তর রাঊন্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা

১১.    টর্চ লাইটের ব্যবস্থা রাখা।

১১.    বাঁশি বা অন্যান্য জিনিস কাছে রাখার ব্যবস্থা করা

১১.     জরুরী টেলিফোন সম্ব^লিত রেজিষ্টার কাছে রাখা

১১.    রাত্রিকালীন দূর্ঘটনার সময় কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়ার ব্যবস্থা রাখা।

১১.    তালা কাটার যন্ত্র কাছে রাখার ব্যবস্থা করা।

১১.     কোন ভিজিটির আসলে তাহার নাম ঠিকানা জেনে নেয়া এবং পরদিন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১১.    অবাঞ্ছিত লোককে ঢুকতে না দেয়া।

১১.    বারান্দা, সিঁড়ি ইত্যাদি স্থানের বাতি জ্বালিয়ে রাখা।

১২.    দায়িত্ব কর্তব্য হস্তান্তরের সময় করনীয়ঃ

১২.    যখন কোন সিকিউরিটি গার্ড এর দায়িত্ব শেষ হয় তখন অন্য সিকিউরিটি গার্ডকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা।

১২.    দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় জিনিষপত্র, রেজিষ্টার, টর্চ লাইট, বাঁশি এবং অন্যান্য যাবতীয় যত কিছু আছে তা ভালভাবে বুঝে নেওয়া।

১৩.   ফ্যাক্টরী খোলার সময় করণীয়ঃ

১৩.    ফ্যাক্টরী খোলার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খোলার ব্যবস্থা রাখা।

১৩.   তালাগুলোর সীলগালা ঠিক আছে কিনা তা দেখা।

১৩.   সমস্ত গেইট ঠিক আছে কিনা তা দেখা।

১৩.    সমস্ত চাবি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা তাহা দেখা।

১৩.   শ্রমিক কর্মচারীরা কোন কিছু আনলে বা প্রবেশ করালে তারা যেন চেক করে ভিতরে ঢুকায় বা প্রবেশ করে তা নিশ্চিত করা এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।

১৩.   ফ্যাক্টরীর কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোন জিনিষ যদি আনতে দেখে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১৩.    ফ্যাক্টরীর শ্রমিক বা কর্মচারী নয় এমন কোন ব্যক্তিকে ফ্যাক্টরীর ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে দেখলে বা ফ্যাক্টরীর কেউ প্রবেশ করাতে চাইলে তা প্রতিহত করা এবং উভয়কে কর্তৃপক্ষের নিকট সোপর্দ করা।

১৩.   ফ্যাক্টরীতে কাজের সহিত সংশ্লিষ্ট নয এমন কোন ব্যক্তিকে ফ্যাক্টরীর ভিতরে দেখলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা এবং তাকে কর্তৃপক্ষের নিকট সোপর্দ করা।

১৪.    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য টেলিফোন নাম্বার সংরক্ষিত রাখাঃ

১৪.     যাবতীয গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ফ্যাক্টরী ম্যানেজার ঐজ ম্যানেজার প্রমূখ ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর সম্বলিত রেজিষ্টার সংরক্ষন করা।

১৪.    গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন যেমন ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, থানা, গ্যাস, বিদ্যুৎ অফিস, নিকটস্থ হাসপাতালের টেফিফোন নম্বর রাখার ব্যবস্থা করা।

১৫.   জরুরী বহির্গমন সংক্রান্ত নিরাপত্তাঃ

১৫.    ফ্যাক্টরী চলাকালীন যাবতীয় বহির্গমন খোলা রাখার ব্যবস্থা করা।

১৫.   জরুরী বহির্গমনের যাতায়াতের সিড়িতে কোন কাটুন, মাল বা অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা যেন না থাকে তার ব্যবস্থা করা।

১৬.   জরুরী নিরাপত্তা বাতিঃ

১৬.    ফ্যাক্টরী চলাকালীন সময়ে বহির্গমন নিদেশিত বাতি জালিয়ে রাখা এবং বাতি সার্বক্ষনিক জলছে কি না তাহা খেয়াল রাখা, না জ্বললে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১৬.   ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে এবং ফ্যাক্টরীর চারপাশে সিঁড়িতে রক্ষিত নিরাপত্তা বাতি জ্বালিয়ে রাখা এবং বাতি সার্বক্ষনিক জ্বলছে কিনা তাহা খেয়াল রাখা। না জললে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১৭.    পানি জলাধারঃ

১৭.     ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকা অবস্থায় পানি প্রবাহের প্রধান গেটভাল্ব গুলো বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নেয়া।

১৭.    ফ্যাক্টরী চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর যে অংশে কর্মকান্ড বন্ধ আছে সে অংশে পানি প্রবাহের প্রধান গেটভাল্ব্ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা রাখা।

১৭.    জালাধারগুলির ঢাকনা যথাযথভাবে আছে কিনা যাহাতে কোন প্রকার ধুলিবালি ময়লা, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১৭.    জলাধার এবং পানি প্রবাহের পাইপ লাইনে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে অথবা কোথাও পানি অপচয় হতে দেখলে তাহা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

১৮.   নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতাঃ

১৮.    এই নীতিমালা দেশবন্ধু গ্রুপের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব মূলতঃ সিকিউরিটি সেকশনের। ফ্যাক্টরীর শ্রমিক কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা ছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের এই নীতিমালার  প্রয়োগ সম্ভব নয়। তাই সকলকে এই নীতিমালা জানা এবং মানার মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগীতা করতে হবে।

১৮.   তাদের অবগতি ছাড়া যে কোন পণ্য বা ব্যক্তি ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকবে না এবং বাহিরে যাবে না।

১৮.   কোন প্রকার অবৈধ/নিষিদ্ধ জিনিষপত্র ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করানো যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি নিষিদ্ধ জিনিষপত্র ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করানোর জন্য দিয়ে থাকে বা ফ্যাক্টরীর ভিতরে কাহারো কাছে কোন অবৈধ জিনিষ দেয়ার জন্য বলে, তবে প্রথমেই নিরাপত্তা কর্মী / ঐজ অফিসার / জেনারেল ম্যানেজার অথবা ঐজ ম্যানেজার -কে অবহিত করতে হবে।

১৮.    ফ্যাক্টরীর সীমানার মধ্যে কারো কোন ধরনের সন্দেহমূলক কার্যকলাপ অথবা গতিবিধি পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে উপরে বর্ণিত ব্যক্তিদেরকে অবহিত করতে হবে।

১৮.   ফ্যাক্টরীর মধ্যে যে কোন প্রকার ধুমপান দ্রব্য (বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি), মাদক দ্রব্য (মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, সিডাক্সিন, প্যাথেড্রিন ইত্যাদি), ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য (শক্তিশালী এসিড/ বিষ) এবং বিষ্ফোরক (বোমা, খেলনা বোম, আতশবাজি ইত্যাদি) আনা বা ব্যবহার/গ্রহণ করা যাবে না।

১৮.   কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট কাজে নির্দিষ্ট এলাকা ব্যতীত ফ্যাক্টরীর ভিতরে কোন প্রকার দাহ্য পদার্থ (জ্বালানী তেল, মোমবাতি, দিয়াশলাই ইত্যাদি) আনা বা ব্যবহার করা যাবে না।

১৮.    নির্দিষ্ট কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত বস্তু ব্যতীত ফ্যাক্টরীর ভিতরে অন্য যে কোন প্রকার বিপদজনক বস্তু (ছুরি, চাকু অথবা ধারালো বস্তু) আনা যাবে না।

১৮.   শিপমেন্ট যোগ্য মালামাল যেখানে রাখা হয় সেখানে অননুমোদিত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

১৮.   ফ্যাক্টরীর ভিতবে প্রবেশ এবং বাহির হবার সময় ব্যক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যথা হাতব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিযার, ব্রিফকেইস ইত্যাদি খুলে পরীক্ষা করতে নিরাপত্তা কর্মীকে সহযোগীতা করতে হবে।

১৮.১০  ফ্যাক্টরীর গেটে প্রবেশের পূর্ব মূহুর্ত হতে শেষ পর্যন্ত কোম্পানীর প্রদত্ত আইডেন্টিটি কার্ড বা ভিজিটর কার্ড প্রদর্শিত অবস্থায় সাথে রাখতে হবে।

১৮.১১  অনুমোদিত পরিচয় পত্রবিহীন ব্যক্তি যদি ফ্যাক্টরীয় প্রবেশ করার চেষ্টা করে তবে তা প্রতিহত করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষণাত অবহিত করতে হবে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ