ক্যারিয়ারে লিংকডইনের ব্যবহার ও ‍বিবিধ

 ক্যারিয়ারে লিংকডইনের ব্যবহার কীভাবে করবেন?

জানা জরুরী 
  • কীভাবে একটি  লিঙ্কডইন প্রোফাইল তৈরি করবেন তা শিখুন।
  • আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি কে দেখছেন তা লক্ষ রাখুন ।
  • লিঙ্কডইন গ্রুপগুলিতে এ্যাড হন ।
  •  আপনারকে ফুটিয়ে তুলুন ।
  • আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি প্রায়শই আপডেট করুন
  • মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পোষ্ট করুন ।
  • কোন ব্যক্তি আপনাকে মেসেজ দিলে উত্তর দেওয়ার চেষ্ট করুন । 

প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম লিংকডইনকে বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  ।  লিংকডইনকে একটু সময় ব্যয় করলে   সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাবেন। আপনার ক্যারিয়ারে লিংকডইনের ব্যবহার কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে সে বিষয়ে জানা খুবই জরুরী।


চাকরি প্রার্থীরা লিংকডইন কীভাবে ব্যবহার করবেন?

পোফােইল তৈরী আগে পরিকল্পনা করুন পোফােইল কিভাবে সাজাবেন । প্রয়োজনে কিছু ‍কিছু পোফােইল দেখে নিজের পোফােইল তৈরী করতে পারেন ।
১) প্রোফাইলের ছবি:

সব সময় আপনার প্রফাইল পিকসার আপডেট রাখুন । প্রাইভেসির কারণে অনেকে অনলাইনে প্রোফাইল ছবি দিতে চান না। কিন্তু প্রোফাইল পিক আপলোড করে রাখলে লিংকডইনে ২১ গুণ বেশি প্রোফাইল ভিউ পাওয়া যায়।

২) শিক্ষাগত যোগ্যতার :

নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা লিংকডইনে এমনভাবে উল্লেখ করুন যেন প্রোফাইল ভিউয়াররা আপনার ডিগ্রি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পান।

৩) নিজের লক্ষ্য ও স্কিল:

লিংকডইনে ৪৫ হাজারেরও বেশি স্ট্যান্ডার্ডাইজড স্কিল যোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই চাকরি পাবার জন্য প্রয়োজনীয় কোন স্কিল প্রোফাইলে বাদ রাখা উচিত নয়। এতে করে নিয়োগদাতারা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন সহজে।

৪) স্কিল ডেভেলপমেন্টে :

ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিজের স্কিল বাড়ানো। তাই আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে আসে এমন স্কিলগুলো আয়ত্ত করুন। এছাড়া ইতোমধ্যে যেসব ক্ষেত্রে আপনি দক্ষ, সেগুলোর ব্যাপারে আপডেটেড থাকুন।

৫) নিজের সাম্প্রতিক কাজের অভিজ্ঞতা :

নিয়োগদাতারা সাধারণত এমন কাউকে নিয়োগ দিতে চান যার কাজের ধারাবাহিকতা তাদের প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই সাম্প্রতিক কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে নিয়োগদাতাদের কাছে গুরুত্ব পাবেন।

৬) চাকরির খোঁজ:

ছবি, নাম আর হেডলাইন – লিংকডইনে কারো প্রোফাইল সার্চ করলে এ তিনটি জিনিস সামনে আসে। তাই আপনি কোন ধরনের চাকরি খুঁজছেন ও এর জন্য আপনি কেন যোগ্য, তা খুব সংক্ষেপে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন হেডলাইনের মাধ্যমে। আপনি চাকরি খুঁজছেন কি না, তা একটি অপশনের মাধ্যমে লিংকডইনকে জানানো যায়। এতে করে নিয়োগদাতাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইলও যুক্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে।

৭) প্রফেশনাল গ্রুপ:

আপনি যে ধরনের কাজ করতে চান, সে কাজের সাথে সম্পর্কিত গ্রুপগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোতে যোগ দিন। গ্রুপের পোস্টগুলোতে নিয়মিত চোখ রাখুন। পারলে নিজে পোস্ট করুন। এতে করে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। তবে কোন গ্রুপে জয়েন করার সময় দেখে নিন গ্রুপটি অ্যাকটিভ কি না। নাহলে শুধু সময়ের অপচয় হবে।

 ৮) অ্যালামনাইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখুন:

নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আ্যলামনাইদের সাথে যুক্ত হবার মাধ্যমে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক বড় করতে পারবেন।

৯) পছন্দের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফলো করুন:

বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের লিংকডইন পেইজ থাকে। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ ও নিয়োগের ধরন সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে এটি আপনাকে সাহায্য করবে।

১০) লেখালেখির অভ্যস:

সময়ের সাথে আপডেট থাকুন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালেখির অভ্যাস করুন । এতে করে আপনার ফলোয়ার সহ আপনার পারচিকত বাড়বে । 

চাকরি বা ক্যারিয়ার পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিন।

আপনি যদি বর্তমান চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবেন, তাহলে নতুন চাকরিতে আগ্রহের কথা লিংকডইনকে জানিয়ে দিন। এছাড়া, নিয়মিত লিংকডইনের জব পোস্টগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুন। সাথে সম্ভাব্য নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের পেইজগুলো ফলো করতে পারেন।

ক্যারিয়ারে লিংকডইনের ব্যবহার ঠিক কীভাবে করবেন, তার উপর নতুন সুযোগ আসার সম্ভাবনা নির্ভর করে। তাই নিজের লক্ষ্য আর যোগ্যতার আত্মমূল্যায়ন করুন। সে অনুযায়ী নিজের লিংকডইন প্রোফাইল সাজান ও ফিচারগুলো কাজে লাগান।

লিংকডইনের মাধ্যমে অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীর বিপরীতে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তা প্রিমিয়াম সার্ভিসের সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে জানা সম্ভব।


একটি সুন্দর প্রফাইল আপনার চাকুরী পেতে সাহায্য করে ।  সুতরাং আপনার প্রফাইলটি সুন্দর করে সাজান । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ