২৯) C-TPAT নীতিমালা

 

                         


C-TPAT
নীতিমালা

উদ্দেশ্যঃ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানীর ক্ষেত্রে কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন নিশ্চিত করা

( To ensure Customs & Border protection - CBP)

নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ

নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ       

পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ               

 







ভূমিকাঃ

নিরাপত্তা একটি প্রতষ্ঠিানরে জন্য গুরুত্বর্পূণ বষিয়। বিশেষ করে পোষাক শিল্প প্রতষ্ঠিানে এর গুরুত্ত¡ অপরিসীম। বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমাজের চারপাশে বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রের বিস্তৃত হয়েছে। ফলে পোষাক শিল্পে পন্য আমদানী ও রপ্তানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে দেখা দিয়েছে।

আমাদের ক্রেতাদের আদেশকৃত পন্যের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা একটি নীতিমালা , নির্দেশনা ও পদ্ধতি প্রনয়ন করেছি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সম্পত্তি রক্ষা ও সর্বোপরি C-TPAT (Customs and Trade Partnership Against Terrorism) বাস্তবায়নে এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো সবোর্চ্চ  নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো নিরাপত্তার বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে চুরি, ধ্বংস সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠানের জনবল সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষনে শ্রেষ্ঠতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নীতি হলো সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা। প্রতিষ্ঠান সবসময় বিশ্বাস করে যে তাদের পন্য যেহেতু বিদেশে রপ্তানী হয় তাই ক্রেতাদের নিরাপত্তাকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

----------------------তাহা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীবৃন্দ মানিয়া চলিবে। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের সাথে যাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কর্তৃপক্ষ নীতিমালা বাস্তবায়নে তাদেরও সহযোগিতা কামনা করে। কারণ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো Supply Chain Security ব্যবস্থা প্রযোগ করে পন্যের নিরাপত্তার ঝুকি হ্রাস করার মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদেরও নিরাপদে রাখা।

চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাইকরন নীতিমালাঃ

------------------- এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, যে কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জানমাল রক্ষা করা এবং ক্রেতার নিকট সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার হাত থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা।

ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। কর্মচারী নিয়োগ করার সময় সকল সম্ভাব্য কর্মচারী তাদের আসল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্থানীয় চেয়ারম্যান / কমিশনার কর্তৃক প্রাপ্ত সনদ প্রদর্শন করে থাকে।

০২। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আসল জাতীয় পরিচয়পত্র বা সনদ এর সত্যতা যাচাই পূর্বক এর একটি প্রতিলিপি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষন করে থাকে।

০৩। মানব সম্পদ ব্যবস্থানা বিভাগ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার পূর্ব ইতিহাস ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষন করে থাকে।

০৪। চাকুরীর পূর্বতথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি গ্রহনযোগ্য ফরমের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার চাকুরীর পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে এবং তাদের বাসস্থানের মালিকের নিকট থেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

০৫। প্রতিটি নিরাপত্তা প্রহরী এবং Restricted Zone এলাকায় যারা কর্মরত আছেন এদের সকলের স্থানীয় থানা থেকে তাদের চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাই করতে হবে।

০৬। যদি কোন কর্মচারীর ব্যাপারে কারো নিকট থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায় তবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্মচারীর ব্যাক্তিগত তথ্য পূনরায় যাচাই করে থাকে।

০৭। যদি কোন শ্রমিকের প্রদত্ত তথ্যে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে তাৎক্ষনিক ভাবে তার চাকুরীর অবসান করা হবে

----------------- এর কর্তৃপক্ষ আশা করে প্রতিটি শ্রমিক তাদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। যদি কোন তথ্য সংযোজন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তবে শ্রমিকগন সেচ্ছায় তা মানব সম্পদ বিভাগে জানাবে। এর পাশাপশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতি বৎসর পর পর প্রতিটি শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য পূর্নযাচাই করবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।                 

নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক নির্দেশিকাঃ

-------------এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগের জন্য নিম্নোক্ত নিরাপত্তামূলক নির্দেশনা মেনে চলেঃ-

০১। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। অন্য কোন বিভাগ কোন নিয়োগের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা।

০২। নিয়োগের পূর্বে প্রার্থীর নিকট থেকে আবেদনপত্র ও বায়োডাটা নিতে হবে।

০৩। প্রার্থী যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হবার পর তার নিকট থেকে আসল জাতীয় সনদ বা স্থায়ী ঠিকানার চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র দেখতে হবে।

০৪। প্রত্যয়নপত্র সঠিক বলে প্রতীয়মান হলে তাকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে, অন্যথায় তার নিয়োগ বাতিল বলে গন্য হবে।

০৫। স্বহস্তে লিখিত কোন প্রত্যয়ন পত্রের একটি অনুলিপি ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষন করতে হবে।

০৬। শ্রমিক নিয়োগের পর তার বর্তমান ঠিকানা ও শেষ চাকুরী স্থলে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত ইতিহাস যাচাই করতে হবে।

০৭। নিরাপত্তা প্রহরী ও নিষিদ্ধ এলাকায় কর্মরত সকল শ্রমিকের স্থানীয় থানা থেকে পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করতে হবে।

০৮। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতি ৬ মাস পর পর প্রতিটি শ্রমিকের ব্যক্তিগত ইতিহাস পূর্নযাচাই করবে।

০৯। কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে নিয়োগকরনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক নীতিমালা মূল্যাযন করে দেখবে এবং প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন করবে।

১০। যদি কখনও কাজের প্রয়োজনে কোন অস্থায়ী, বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়, তবে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একই নীতিমালা অবলম্বন করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জ্ঞানত কোন দাগী অপারাধীকে কারখানায় নিয়োগ করবে না বা কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে কোন অপরাধী শ্রমিক কে নিয়োগ দেওয়া হলে, পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

নিয়োগ নীতিমালা

(Recruitment Policy)

------------------------ এর শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি মেনে চলে। কর্তৃপক্ষ সাধারনত প্রচলিত শ্রম আইন মেনে চলে তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরনবিধি নিয়মকানুন অনুসরন করা হয়, যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থি না হয়।

০১। ---------- লিঃ কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে।              

নির্বাহী পরিচালক (এডমিন এন্ড এইচ আর) এর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে কারখানা ব্যবস্থাপকের সমন্বয়ে একটি নিয়োগ কমিটি দ্বারা শ্রমিক নিয়োগ পরিচালনা হয় যাহা নিম্নরূপঃ

প্রধান সমন¦য়কারী             মহা ব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)

সমন¦য়কারী                 ব্যবস্থাপক (এডমিন এ্যান্ড এইচ.আর)

সেক্রেটারী                 এডমিন অফিসার

সদস্য                 উৎপাদন ব্যবস্থাপক

সদস্য                 সকল বিভাগীয় ইনচার্জ

সদস্য                 মেডিকেল অফিসার

০২। বিভিন্ন সেকশনের প্রয়োজন মোতাবেক কর্মচারী নিয়োগের জন্য প্রতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে চাহিদা পত্র পাঠাতে হবে।

০৩। চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তাহা নিয়োগ কমিটির নিকট ২৯ তারিখে প্রেরন করিতে হইবে এবং ৩০ তারিখ নিয়োগ কমিটি একটি সাধারন সভার মাধ্যমে বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিভিন্ন বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন।

০৪। প্রতিমাসের তারিখ হইতে ১৫ তারিখ পর্যন্ত শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে তবে বিশেষ কারনে যদি উক্ত সময়ের পরও শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে নিয়োগ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তা করা যাবে।

০৫। নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে চাকুরী প্রার্থীগন গেটে আসার পর প্রথমে মানব সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি রেজিষ্টারে প্রার্থীর সকল তথ্যাদি লিপিবব্ধ করার পর তাহাদের ইন্টারভিউ আইডি কার্ড প্রদান করে কাজের দক্ষতার মান নিরূপনের জন্য সংশ্লি¬ষ্ট সেকশনে প্রেরন করবেন। সেকশন প্রধানগন তাদের কাজের দক্ষতার মান পরীক্ষা করবেন।

০৬। যাহারা দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হবে তাহাদেরকে পরবর্তী নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে পাঠানো হবে এবং বাকীদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে।

০৭। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ যোগ্য প্রার্থীদের বয়স সক্ষমতার প্রত্যয়নপত্রের জন্য ডাক্তারের নিকট প্রেরন করবেন এবং ডাক্তারী পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের রেখে বাকীদের অযোগ্য ঘোষনা করা হবে।

৮। এরপর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নির্বাচিত প্রার্থীর নামে ব্যক্তিগত ফাইল তৈরী করে নিন্মোক্ত কাগজপত্র জমা নিবেনঃ-

() আবেদনপত্র জীবন বৃত্তাস্ত

() সম্প্রতি তোলা (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

() জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম তারিখ বা বয়সের প্রত্যয়নপত্র (জন্ম নিবন্ধন প্রতিলিপি যদি থাকে)

() শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)

() নাগরিকত্ব সনদের মূলকপি প্রমানের জন্য

() যোগ্যতার অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে)

() সার্ভিস বই (যদি থাকে)

০৯। তবে অনেক ক্ষেত্রে যদি ছবি জাতীয় পরিচয়পত্র তাৎক্ষনিকভাবে দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে প্রার্থী/প্রর্থীনিকে (তিন) দিন সময় দেওয়া হবে এগুলো জমা দেওয়ার জন্য।

১০। সাধারনত নিরাপত্তা প্রহরী সহ ফিনিশিং, প্যাকিং স্টোর সেকশনের শিপম্যান্টের সাথে সম্পৃক্ত লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন অথবা নির্দিষ্ঠ এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিদের দ্বারা উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে চারিত্রিক সনদ পত্র সংগ্রহ করা হয় সমস্ত ব্যক্তিগন কোন প্রকার সমাজ রাষ্ট্র বিরুধী কোন কাজের সাথে জড়িত কিনা অথবা কোন প্রকার নেশা বা মাদকাসক্ত কিনা বা মাদকাসক্তদের সাথে জড়িত কিনা তাহা নিশ্চিত করা হয়।

১১। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ব্যক্তিগত ফাইল তৈরী সম্পন্ন করার পর নিয়োগ প্রাপ্তকে নিয়োগ পত্রের একটি অনুলিপি প্রদান করে এবং নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর প্রাথমিক আলোচনা করেনঃ-

() কারখানার নিয়ম কানুন

() বেতন ভাতা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা

() স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি

() ফ্লোরের জরুরী বহির্গমন

() কারখানার নিরাপত্তামূলক নীতিমালা

() প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী চাকুরীর অবসান।

১২। এই সকল আলোচনা সমাপ্তির পর তাহাদের নিজ নিজ সেকশনে প্ররন করা হবে।

১৩। কারখানায় কাজ করার জন্য কাউকে বাধ্য করা হবেনা এবং নিয়োগের পূর্বে শ্রমিকদের নিকট থেকে কোন প্রকার জামানত নেওয়া হবে না।

১৪। শ্রমিকদের বয়স প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না।

১৫। নির্বাচন কালে কোন প্রকার বৈষম্যমূলক আচরন করা হবে না।

১৬। কাজে যোগদানের সময়ই শ্রমিককে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ন্যুনতম বেতন স্কেল প্রদান করা হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

শ্রমিকগণ যে কোন সময় সচ্ছোয় তার চাকুরী থকে অবসর নিতে পারনে, তেমনি যে কোন র্কমচারীকে কর্তৃপক্ষ চাকুরী অবসান বা বরখাস্ত করতে পারনে। শ্রমিকের চাকুরী অবসান স্বেচ্ছায় হোক বা বরখাস্ত অথবা মালকি কর্তৃক অবসানের কারনে হোক সমস্ত শ্রমিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য কর্তৃপক্ষ একটি টার্মিনেশন নীতমিালা প্রণয়ন করছে, যাহা নিম্নোরূপ:

০১। শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা যারাই চাকুরী ত্যাগে আগ্রহী, প্রত্যকেইে কর্তৃপক্ষের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিল করবেন।

০২। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ, বরখাস্ত, কর্মচ্যুত বা মালিক কর্তৃক অবসান যে কোন কারনইে চাকুরীর অবসান হোক না কনে কর্মচারী কারখানা ত্যাগ করার র্পূবে তার নিকট রক্ষিত প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পোষাক, পরচিয়পত্র, প্রতিষ্ঠানের মালামাল বা মূল্যবান কাগজপত্র মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিবেন।

০৩। যদি কোন শ্রমিকের চাকুরিচ্ছেদ বরখাস্ত বা মালিক কর্তৃক আবসানের কারনে হয়ে থাকে তবে মানব সম্পদ ব্যবস্থপনা বিভাগ তার নিকট থেকে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত মালামাল পাওয়ার পর তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের তত্তাবধানে গেটে পৌছে দিবেন। এক্ষেত্রে তাকে কোনভাবইে উৎপাদন কক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের অন্যত্র কোথাও যেতে দেয়া যাবেনা।

০৪। প্রতি মাসের শেষ দিন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ চলতি মাসের চাকুরী থেকে পদত্যাগকৃত কর্মচারীদের নামের তালিকা জরুরী ভিত্তিতে নিরাপত্তা বিভাগে প্রেরণ করবে।

০৫। প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ব্যক্তিদের তালিকা ছবি নিরাপত্তা বিভাগে রক্ষিত বোর্ডে প্রদর্শণ করতে হবে, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।

০৬। যদি কোন কারনে কোন চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্তাবধানে তিনি শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবশেরে অনুমতি পাবনে।

০৭। চাকুরী অবসানের সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কম্পউিটার থেকে শ্রমিকের কার্ড নাম্বারটি মুছে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার বন্ধ করে দেবেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরর্বিতন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।অব্যহতি নীতিমালা

Termination Polic

অব্যহতি বা টার্মিনেশনঃ যখন কোন মালিক কর্তৃক স্থায়ী শ্রমিকের কোন প্রকার অপরাধ ছাড়া তার চাকুরির সমাপ্তি ঘটানো হয় তখন তাকে অব্যহতি বা টার্মিনেশন বলা হয়। এটি মালিকের অধিকার, মালিক যে কোন সময় তার কারখানার স্বার্থে এবং প্রয়োজন মনে করলে শ্রমিকের প্রাপ্য টাকা পয়সা প্রদান করে যে কোন শ্রমিককে চাকুরি হতে অব্যহতি দিতে পারে।

পদ্ধতিঃ একজন স্থায়ী শ্রমিককে মালিক অবর্শ্যই ১২০ দিন বা চার মাস আগে শ্রমিককে নোটিশ দিবেন অথবা আদেশটি সাথে সাথে কার্যকর করতে চাইলে নোটিশের পরিবর্তে মাস বা ১২০ দিনের মজুরি দিয়ে দিবেন।

সুবিধাঃ অব্যহতি বা টার্মিনেশনের মাধ্যমে শ্রমিকের চাকুরি অবসান করা হলে, যে দিন শ্রমিকের চাকুরি অবসান করা হবে তার ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শ্রমিক নি পাওনাদি পাওয়ার অধিকারী হবেন।

) বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা।

) বর্তমান মাসের মজুরি এবং ওভারটাইমের ভাতা।

) যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী।

) শ্রমিক যতদিন কাজ করেছে তার প্রতি পূর্ন বছরের জন্য ৩০ দিনের মজুরী হারে ক্ষতিপুরন অথবা গ্রাচুইটি থাকলে এর মধ্যে যেটি বেশী হবে সেটি।

) অব্যহতির জন্য ১২০ দিন বা চার মাস পূর্বে যদি নোটিশ না দিয়ে থাকে তাহলে ১২০ দিন বা মাসের মজুরী।

) প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা।

 

বরখাস্ত বা ডিসমিসঃ বরখাস্ত বা ডিসমিস করা হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সাধারনত অসদাচরনমূলক কাজের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে শ্রমিকের চাকুরির সমাপ্তি (ডিসমিস) ঘটাতে

পদ্ধতিঃ এক্ষেত্রে মালিক কর্তৃক নিম্নোক্ত কতিপয় পদ্ধতি অনুসরন করবেন, যেমনঃ

§  শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহ লিখিত ভাবে করবেন।

§  লিখিত অভিযোগের এক কপি শ্রমিককে দিবেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য কমপক্ষে সাত দিন সময় দিতে হবে।

§  ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য পেশের সুযোগ দিবেন।

§  মালিক বা ম্যানেজার এরূপ আদেশ অনুমোদন  

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

 

পরিচয়পত্র নীতিমালাঃ

একজন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তার জন্য পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। প্রতিটি শ্রমিকের একটি পরিচিতি নাম্বার থাকে, যার মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শ্রমিকের এককভাবে তার পরিচিতি চিহ্নিত করা এবং কারখানার অভ্যন্তরে অবৈধ অনু প্রবেশ বন্ধ করা।

----------- লিঃ এর কর্তৃপক্ষ পরিচয় পত্র ইস্যু, ব্যবহার এবং হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিন্মেক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

পরিচয় পত্রের ব্যবহার: 

০১। কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচরীদের পরিচয়পত্র এবং কারখানায় অভ্যাসগত সকল দর্শনার্থীদের Visitors Pass প্রদান করে থাকে।

০২। কর্তৃপক্ষ শ্রমিক এবং দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা রংয়ের পরিচয় পত্র এবং Visitors Pass এর ব্যবস্থা করেছেন যাতে সহজেই শ্রমিকদের এবং দর্শনর্থীদের পৃথক করা যায়।

০৩। নিয়োগের দিনই সকল শ্রমিককে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।

০৪। শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগন পরিচয়পত্র পরিধান করে কারখানায় প্রবেশ করেন।

০৫। নিরাপত্তা কর্মীগন কারখানায় প্রবেশের সময প্রতিটি শ্রমিকের পরিচয়পত্র চেক করে থাকে।

০৬। কারখানায় অবস্থানকালীন প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।

০৭। প্যাকিং এরিয়া, উৎপাদিত পন্য এলাকা এবং লোডিং এরিয়ার যারা প্রবেশ করতে পারবে তাদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে, যাহা অন্যদের থেকে সহজে পৃথক করা যায়।

০৮। দর্শনার্থীগন অবশ্যই কারখানায় অবস্থাকালীন সময় পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকবেন এবং কারখানা ত্যাগের আগে তার পরিচয়পত্রটি নিরাপত্তা বিভাগে ফেরত দিয়ে যাবেন।

০৯। কোন দর্শনাথী যদি Visitors Pass পরিহিত অবস্থায় না থাকেন তবে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীগন তাকে যে কোন মুহুর্তে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।

১০। প্যাকিং এরিয়া এবং লোডিং এরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে নিরাপত্তা কর্মীকে Visitors Pass প্রদর্শন করতে হয়।

১১। মালিক কর্তৃক অবসান, কর্মচুত্যি, বরখাস্ত বা পদত্যাগের কারনে যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান ঘটে থাকে তবে তিনি তার পরিচয়পত্র অবশ্যই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিয়ে থাকে।

১২। চাকুরী অবসানের সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কম্পিউটার থেকে শ্রমিকের কার্ড নম্বরটি মুছে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার বন্ধ করে দেয়।

পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করনীয়ঃ

০১। যদি কোন শ্রমিক পরিচয় পত্র হারিয়ে ফেলে তবে সে তা মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগে জানাবেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

০২। অতঃপর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দেখবে সত্যিই কার্ডটি কোথায়, কিভাবে, কখন হারিয়েছে এবং তদন্ত সন্তোষজনক মনে হলে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি নতুন পচিয়পত্র ইস্যু করবে।

০৩। পুরাতন পরিচয় পত্র পাওয়া গেলে সাথে সাথে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিতে হবে।

০৪। যদি কোন দর্শনার্থী তার কার্ডটি হারিয়ে ফেলে তবে তা অবশ্যই নিরাপত্তা বিভাগে জানাবে এবং নিরাপত্তা বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগকে ব্যাপারটি অবহিত করবে।

০৫। প্রশাসনিক বিভাগ অবহিত হওয়ার পর উক্ত নম্বরের কার্ডটি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে নিরাপত্তা বিভাগকে জানিয়ে দিবেন।

পরিচয় পত্র ব্যতীত কারখানায় প্রবেশাধিকারঃ

০১। যদি কেউ পরিচয়পত্র না নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানকে গেটে ডেকে আনবেন।

০২। তিনি শ্রমিকের পরিচয় সনাক্ত করার পর শ্রমিকের নামে নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

কর্তৃপক্ষ আশা করে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং তৃতীয় পক্ষ যাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ রয়েছে বা কোন দর্শনার্থী যারা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এসে থাকে, তারা প্রত্যেকে উপরোক্ত নীতিমালা মেনে চলবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ব্যক্তি নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হলো চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাইয়ের দ্বারা নতুন পুরাতন কর্মচারীদের কাজের যোগ্যতা নিরূপন করা এবং তাদের সত্যতা নির্ণয় করা। মাঝে মাঝে পুরাতন কর্মচারীদের ইতিহাস যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের দ্বারা ভাল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়। দূর্বল নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলে নিরাপত্তা ভঙ্গের আশংকা, আর্থিক ক্ষতি এবং উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

------- এর কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১. কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সম্ভাব্য স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকদের নিকট থেকে পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে থাকে।

০২. কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে Restricted Zone কর্মরত শ্রমিকদের কার্যক্রম আচার আচরণ যাচাই করে থাকে।

০৩. শ্রমিকগন কোন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত কিনা তা যাচাই করার জন্য কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে সন্দেহজনক শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনস্তাত্বিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।

০৪. কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর একবার প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পূর্নঃযাচাই করে থাকে।

০৫. কারখানায় প্রবেশের সময় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিচয়পত্র ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়।

০৬. কারও পরিচয় বা পরিচয় পত্র নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহের উদয় হলে দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

০৭. প্রতিষ্ঠানের সাথে যাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এদের প্রত্যকের নিকট থেকে পরিচয় পত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ব অন্যান্য দ্রব্য রেখে দেওয়া হয়।

০৮. কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে অঘোষিতভাবে তদন্ত করে দেখবেন ব্যক্তি নিরাপত্তা নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় কিনা।

--------------- এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি কর্মচারীর ইতিহাস যাচাই করতে হবে। কারন নিরাপত্তা ভঙ্গের একমাত্র প্রধান উপাদান হলো PEOPLE.

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

অবস্থানগত নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা হল কারখানার আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা। কারখানার অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার উদ্দেশ্য হলো বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ রোধ করার মাধ্যমে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

() বাহিরের প্রাচীর বা দেয়াল

() গেইট এবং গেইট পোষ্ট

() পার্কিং এলাকা

() বিল্ডিং এর গঠন

() তালার ব্যবস্থা এবং চাবি সংরক্ষন

() আলোর ব্যবস্থা

() এলার্ম সিস্টেম এবং ভিডিও সার্ভিলিয়েন্স ক্যামেরা

() বাহিরের প্রাচীর বা দেয়ালঃ নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো দেওয়াল সৃষ্টির মাধ্যমে অন্যের অবস্থান থেকে নিজ অবস্থানকে পৃথক করা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি নিদ্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানকে সুদৃঢ় করার প্রধান ভিত্তি হলো প্রচীর বা দেওয়াল তৈরীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে অন্যদের থেকে আলাদা করা। এর মাধ্যমে যেমন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং অবৈধ অনুপ্রবেশাধীকার রোধ করা যায়। -------- কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত অনুপ্রবেশ রোধ কল্পে কারখানার চারিপাশে ৮ফুট উচ্চতার প্রচীর গড়ে তুলেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রতিদিন বাহিরের প্রচীর দেওয়াল চেক করে দেখেন কোন স্থান ভাঙ্গা আছে কিনা এবং নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে তা লিপিবদ্ধ করেন।

() গেইট এবং গেইট পোষ্টঃ কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য সাধারনত প্রধান দুইটি গেইট ব্যবহার করা হয়। গেইট অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং বাহিরের লোকের অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী সম্পন্ন। গেইট রক্ষা করার জন্য দুইটি নিরাপত্তা গেইট পোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা প্রহরীগন শক্তভাবে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষ গেইট এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ঠিকাদার এর সাথে চুক্তি করিয়াছে। চুক্তি অনুযায়ী সপ্তাহের দিনই ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরীগন পালা করে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ডিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে আগত এবং বস্তুর গমনাগমন প্রত্যক্ষ করে থাকেন।          

() পার্কিং এলাকাঃ --------------- এর কর্তৃপক্ষ পন্যবাহী কন্টেইনার, ভিজিটর এবং কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা আলাদা পার্কিং এর ব্যবস্থা করিয়াছেন। পার্কিং এর জায়গাটি পৃথক পৃথক স্থানে অবস্থিত, অর্থাৎ কন্টেইনারের জন্য আলাদাস্থান, দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা স্থান এবং প্রতিষ্ঠানের গাড়ী রাখার জন্য অন্য স্থান নির্ধারন করা হয়েছে।

() বিল্ডিং এর গঠনঃ ------------- এর এর বিল্ডিং এর গঠন অত্যন্ত মজবুত। বিল্ডিং এর চারিদিকের জানালা উইন্ডো বার দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রতিদিন কারখানার তালা বন্ধ করার পূর্বে প্রতিটি জানালা ভালোভাবে চেক করে বন্ধ করেন এবং প্রতিদিন খোলার পর প্রতিটি জানালা চেক করে দেখেন কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা যায় কিনা।

() তালার ব্যবস্থা এবং চাবি সংরক্ষনঃ নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে বহুকাল থেকে তালার ব্যবহার হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ থাকালীন অবস্থায় প্রতিটি গেট তালার সাহায্যে বন্ধ করে রাখে। এছাড়াও কারখানার গেট তালা দেওয়ার পূর্বে প্রতিটি জানালায় তালা লাগানো হয়। তালা বন্ধ করার পর চাবিটি কারখানার পাশে অবস্থিত আনসার ক্যাম্পে সংরক্ষন করা হয়। কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জ, এডমিন অফিসার ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা সদস্যের কমিটি প্রতিটি গেইট তালা মারার পর তালা সঠিকভাবে লাগানো হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে থাকেন এবং রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেন।

() আলোর ব্যবস্থাঃ কর্তৃপক্ষ কারখানার অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছেন। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দ্বারা কারখানার অভ্যন্তরে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য কর্তৃপক্ষ বিল্ডিং এর চারিদিকে স্বচ্ছ কাঁচের জানালার ব্যবস্থা করেছে। রাতের বেলা প্রতিটি প্রবেশ বাহির পথ, কার্গো সংরক্ষন এলাকা, প্রাচীরের চারিদিক এবং পার্কিং এলাকায় আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। আলো জ্বালানোর সুইচ সুরক্ষিত স্থানে স্থাপন করা হয়েছে, ফলে অন্য কেউ আলো জ্বালাতে বা নিভাতে পারবেনা ।

() এলার্ম সিস্টেম এবং ভিডিও সার্ভিলিয়েন্স ক্যামেরাঃ কর্তৃপক্ষ যে কোন ধরনের ক্ষতিকারক কার্যক্রম রোধ করার লক্ষ্যে CCTV Camera ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি প্রবেশ দ্বার, পার্কিং এলাকা প্রধান ফটকে   CCTV Camera স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি   CCTV Camera দ্বারা ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে দিনই দৃশ্য ধারন করা হয়। কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে একদিন ধারনকৃত প্রতিটি দৃশ্য দেখার পর কারখানার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করে থাকেন। ছাড়াও প্রতিটি  Restricted Area তে সন্দেহজনক ব্যক্তির উপস্থিতি সম্পর্কে নিরাপত্তা প্রহরীদের সতর্ক করার জন্য কর্তৃপক্ষ এলার্ম সিস্টেম স্থাপন করেছে।

 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রন নীতিমালাঃ

প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রন, কর্মচারী এবং দর্শনার্থী যাতাযাত নিয়ন্ত্রন এবং প্রতিষ্টানের সম্পত্তি রক্ষা করা সম্ভব হয়। ------------------- কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে সকলের অবাধ প্রবেশাধীকার প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো সকলের অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা অবসানকৃত শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কর্মচারীর অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রন করে থাকে।

কর্মচারীদের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের কারখানায় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছেন।

০২। কারখানায় প্রবেশ, বাহির এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময় সব কর্মচারী তাদের পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।

০৩। পরিচয় পত্র ব্যতীত কোন কর্মকর্তাকেও কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয়না। যদি কেহ পরিচয় পত্র ব্যতীত কারখানায় আসে তবে একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয় এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানানো হয়।

০৪। সকল দর্শনার্থী যারা কারখানায় বিভিন্ন কাজে আগমন করে তারা সকলেই কারখানায় অবস্থানকালীন সময় Visitor ID Care পরিহিত অবস্থায় থাকে।

০৫। কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দ্দিষ্ট এলাকাকে ”Restricted Zone” ঘোষনা করেছেন, যেখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ চলাচল করতে পারে।

০৬।”Restricted Zone” যাতায়াতকারী অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ নির্দ্দিষ্ট পরিচয় পত্র বহন করে যাহা অন্যান্য পরিচয় পত্র থেকে সহজে পৃথক করা যায়।

০৭।”Restricted Zone” এলাকায় কাজ করার সময় কর্মচারীগন পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করেন।

০৮। কর্তৃপক্ষ ”Restricted Zone” এলাকায় স্বতন্ত্র এলার্ম স্থাপন করেছে, ফলে কোন ব্যক্তিকে যদি ”Restricted Zone” এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় তবে তা বাজিয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়।

০৯। কর্তৃপক্ষ সকলের প্রবেশাধীকার লক্ষ্য রাখার জন্য প্রতিটি প্রবেশ পথে এবং ”Restricted Zone” এলাকায় গোপন ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে, যার মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘন্টা ভিডিও সংরক্ষন করে রাখা হয়।

১০। কোন ব্যক্তি যদি পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় না থাকে বা কোন অনুমোদিত ব্যক্তিকে ”Restricted Zone” এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীগন তাদের চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রাখে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়মে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর  নিকট হস্তান্তর করা যাইতে পারে।   

১১। মালিক কর্তৃক অবসান, বরখাস্থ, ডিসচার্জ বা পদত্যাগের কারনে যদি কোন শ্রমিকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিচ্ছিন্ন হয় তবে কর্তৃপক্ষ তার পরিচয় পত্র, তার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এবং মূল্যবান কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর তাকে কারখানার বাহিরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়।

১২। চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকদের তালিকা ছবি নিরাপত্তা বিভাগের নিকট রক্ষিত বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।

১৩। যদি কোন কারনে কোন চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্বাবধানে তাকে শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

১৪। যদি কোন শ্রমিক দীর্ঘদিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকে বা দীর্ঘদিনের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করে তবে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনুমতিগ্রহন ছাড়া প্রোডাকশন ফ্লোরে যেতে পারে না।

১৫। কারখানার ঠিকানায় প্রাপ্ত প্রতিটি চিঠি একটি নির্দ্দিষ্ট এলাকায় চেক করে নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট প্ররন করা হয়।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

দর্শনার্থীদের জন্য নীতিমালাঃ

বিভিন্ন সময় দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশ করে থাকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দেখা করার জন্য। ----------------- এর কর্তৃপক্ষ কারখানায় আগত কোন দর্শনার্থীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠান যাতে কোন ক্ষতিগ্রস্থ না হতে পারে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।

---------------- এর কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। কোন দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশকালে প্রবেশ দ্বারে তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পরিচয় প্রদান করতে হবে এবং কাংক্ষিত ব্যক্তির নাম আগমনের কারন জানাতে হবে।

০২। দর্শনার্থী যার কাছে এসেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দর্শনার্থীর পরিচয় আগমনের কারন সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন এবং দর্শনার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন।

০৩। দর্শনার্থী তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন, যদি পরিচয়পত্র না থাকে তবে ব্যবসায়িক কার্ড বা অন্য কোন উপায়ে তার পরিচিতি নিশ্চিত করবেন।

০৪। এরপর নিরাপত্তা কর্মকতা দর্শনার্থীদের দেহ, ব্যাগ সঙ্গে আনা মালামাল মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা তল্লাশী করার পর নির্ধারিত রেজিষ্টারে তার সমস্ত বিবরন (নাম, ঠিকানা, আগমনের সময়, আগমনের কারণ) লিপিবদ্ধ করার পর ”ভিজিটর আইডি কার্ড” প্রদান পূর্বক দর্শনার্থীকে কারখানার ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেবেন।

০৫। দর্শনার্থী যার নিকট এসেছেন তার নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই তার সাথে অবস্থান করবেন।

০৬। দর্শনার্থীগন শুধুমাত্র অফিস কক্ষগুলোতে প্রবেশাধীকার সংরক্ষন করবেন। যদি কখনো কোন দর্শনার্থীর অফিস কক্ষ ব্যতীত অন্যত্র কোথাও প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে তার সাথে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা প্রহরী অবস্থান করবেন।

০৭। দর্শনার্থী পরিদর্শন শেষে কারখানা ত্যাগ করার পূর্বে দর্শনার্থীদের দেহ ব্যাগ মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা তল্লাশী করার পর তার নিকট থেকে ”ভিজিটর আইডি কার্ড” টি সংগ্রহ করতে হবে এবং নির্ধারিত রেজিষ্টারে কারখানা ত্যাগের সময় উল্লেখ করতে হবে।  

০৮। দর্শনার্থীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা, শ্রমিক, কর্মচারী সিকিউরিটিগন সৌজন্যমূলক আচরন করবেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

দর্শনার্থীদের গাড়ী সংরক্ষন নীতিমালাঃ

০১। দর্শনার্থীগন কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের পর দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে গাড়ী পার্কিং করবেন।

০২। দর্শনার্থীর গাড়ীটি নির্দিষ্ট স্থানে পার্ক করার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিদির্ষ্ট পদ্ধতিতে গাড়িটি চেক করার পর দর্শনার্থীদেরকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেবেন।

০৩। দর্শনার্থীদের সাথে আগত গাড়ীর ড্রাইভারকে একটি নির্দ্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং পরিচয়পত্রের নম্বর অনুযায়ী গাড়ীতে একটি ষ্টিকার লাগিয়ে দিতে হবে।

০৪। দর্শনার্থীদের সাথে আগত গাড়ীর ড্রাইভার একটি নির্দ্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করবেন, তিনি কারখানার যত্রতত্র বা কারখানার বাহিরে যেতে পারবেনা।

যদি কোন দর্শনার্থী এই নীতিমালা মানতে অনাগ্রহী হন তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য নন।

-----কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

চাবি সংরক্ষন নিয়ন্ত্রন নীতিমালাঃ

কারখানার চাবি একটি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু তাই চাবি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা অতীব জরুরী। কারন চাবি সঠিকভাবে সংরক্ষিত না হলে যে কেউ ডুপ্লিকেট চাবি তৈরীর মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

-------------------- এর কর্তৃপক্ষ কারখানা চাবি সংরক্ষন নিয়ন্ত্রনের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা গ্রহন করেছেঃ

০১। কারখানার একসেট চাবি কারখানার পাশে সিকিউরিটি অফিস অন্য একসেট চাবি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসায় সংরক্ষন করা হয়।

০২। সকাল বেলা প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ইনচার্জ আনসার ক্যাম্প থেকে চাবি নিয়ে এসে কারখানা খোলা বন্ধ কমিটির (সিকিউরিটি, ইলেকট্রেশিয়ান এডমিন অফিসার) উপস্থিতিতে প্রতিটি গেটের তালা খোলেন।

০৩। যদি গেট খোলার সময় কোন তালা খোলা, ভাঙ্গা বা কোন অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায় তবে সাথে সাথে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ না আসা পর্যন্ত গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করা যাবেনা।

০৪। কারখানার প্রতিটি গেটের তালা লাগানোর পর সীল গালা করা হয় এবং তালা সিলগালা করার পূর্বে সিলগালা করার কাগজে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

০৫। কারখানা বন্ধের সময় কারখানা খোলা বন্ধ কমিটির (সিকিউরিটি, ইলেকট্রেশিয়ান এডমিন অফিসার) উপস্থিতিতে প্রতিটি গেটের তালা লাগানোর পর চেক করা হয়। অতঃপর নির্ধারিত রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করে সিকিউরিটি ইনচার্জ চাবিগুলি সিকিউরিটি অফিসে জমা দিয়ে আসেন।

০৬। যদি কোন কারনে কারখানা বন্ধের পর কারখানা তালা খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কারখানার তালা খোলা হয়। এক্ষেত্রে যে তালাটি খোলা দরকার শুধুমাত্র সেই তালাটি খোলা হয়।

০৭। যদি কখনো কোন চাবি হারিয়ে যায় বা খুঁজে না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে হবে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যাপারে একটি তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। পুরাতন তালা বদলিয়ে নতুন তালার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুরাতন তালাগুলো সংরক্ষন করতে হবে।

০৮। কারখানা খোলার সময় এবং বন্ধের সময় নিদিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

০৯। যদি কোন কর্মচারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করে চলে যায়, তবে তার অধীনে থাকা চাবিটি তিনি প্রশাসনিক বিভাগে জমা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন।

১০। যদি কোন কর্মচারী তার টেবিলে চাবি হারিয়ে ফেলে,সেক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে হবে এবং পুরাতন তালা বদলিয়ে নতুন তালার ব্যবস্থা করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

CCTV CAMERA নীতিমালা

CCTV CAMERA এমন একটি উপাদন যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করা যায়। পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম।  ----------- এর তার প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং Restricted Area তে CCTV CAMERA স্থাপন করেছে।

কর্তৃপক্ষ CCTV CAMERA  ক্যামেরার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরন করে থাকেঃ

০১। প্রধান গেট, সকল ফ্লোরের গেট এবং Restricted Area এলাকায় CCTV CAMERA স্থাপন করা হয়েছে।

০২। CCTV CAMERA দ্বারা ২৪ ঘন্টা ভিডিও সংরক্ষন করে রাখা হয়।

০৩। CCTV CAMERA এর Monitor নিরাপত্তা কর্মকর্তা নির্বাহী পরিচালকের রুমে বসানো হয়েছে যেখানে সর্বসাধারনের প্রবেশ নিষেধ।

০৪। নিরাপত্তা কর্মকর্তা সার্বোক্ষনিক Monitor এর মাধ্যমে চেক করে দেখে সব ক্যামেরা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা এবং কোন সমস্যা হলে নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে তা লিপিবদ্ধ করেন।

০৫। CCTV CAMERA এর মাধ্যমে ধারনকৃত অংশ কমপক্ষে ৪৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করে রাখা হয় এবং প্রতিদিন IT কর্মকর্তা ধারনকৃত অংশ চেক করে দেখেন।

০৬। ৪৫ দিন পর সকল ধারণকৃত অংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ এবং লোডিং চলাকালীন সময়ের অংশবিশেষ Compact Disk রেকর্ড করে রাখা হয় এবং বাকি অংশ মুছে ফেলা হয়।

০৭। প্রতিমাসে একবার করে সকল ক্যামেরা ভালোভাবে চেক করা হয় এবং প্রতিটি ক্যামেরা পরিষ্কার করা হয়।                

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ডকুমেন্টস / পার্সেল আদান প্রদান নীতিমালাঃ

প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ডকুমেন্টস/পার্সেল আদান প্রদান একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এই ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত করা অসম্ভব কিছু নয়। কারন অতীতে উন্নত বিশ্বে ডকুমেন্টস বা চিঠির মাধ্যমে এনথ্রাক্স জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো ডকুমেন্টস আদান প্রদান নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা।

---------- এর কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্টস/পার্সেল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। ডকুমেন্টস /পার্সেল আনা বা নেওয়ার জন্য কোন ডেলিভারী ভ্যান কারখানায় প্রবেশের পূর্বে নিরাপত্তা প্রহরীদের নিকট প্রবেশের উদ্দেশ্য জানাবে। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রবেশের কারন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর ভ্যান চালককে গেটের নিকট স্থাপিত ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলবে।

০২। চালক ক্যামেরার দিকে তাকানোর পর নিরাপত্তা প্রহরীগন ভ্যানকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিবেন।

০৩। ডেলিভারী ভ্যান থেকে কোন ডকুমেন্টস/পার্সেল গ্রহন করার পূর্বে যার নিকট ডকুমেন্টসটি আসিয়াছে তার সাথে যোগাযোগ করে ডকুমেন্টসটি সম্পর্কে নিশ্চিত করা হবে।

০৪। যদি ডকুমেন্টসটির আগমনের ব্যাপারে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে তা গ্রহন করা হবে না।

০৫। নাম পরিচয় বিহীন বা নির্দ্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম না থাকলে কোন ডকুমেন্টস/পার্সেল গ্রহন না করে ফেরৎ দিতে হবে।

০৬। যদি নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তবে ডকুমেন্টস গ্রহন করার পর আলাদা একটি স্থানে নিয়ে ডকুমেন্টসটি ভালোভাবে চেক করতে হবে।

০৭। যদি চেক করার সময় মনে হয় ডকুমেন্টস দ্বারা কোন ক্ষতির আশংকা আছে তবে তা না খুলে অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৮। চেক করার পর যদি কোন অসামঞ্জস্যতা না পাওয়া যায় তবে তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট পৌছিয়ে দেওয়া হবে।

০৯। ডকুমেন্টস/পার্সেল চেক করার ক্ষেত্রে ডকুমেন্টস চেকিং পদ্ধতিটি অনুসন্ধন করতে হবে।

১০। ডকুমেন্টস/পার্সেল প্ররন করার পূর্বে অবশ্যই ডকুমেন্টসটি চেকিং এরিয়াতে চেক করার পর হস্তান্তর করতে হবে।

১১। যে কোন ডকুমেন্টস/পার্সেল প্রেরন করার পূর্বে অবশ্যই ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম গন্তব্যস্থল ভালোভাবে লিখতে হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ইনকামিং মেইল বা প্যাকেজ পরীক্ষা করার নিরাপদ পদ্ধতি/ সন্দেহজনক মেইল চেনার উপায়ঃ

০১। অতিরিক্ত ষ্ট্যাম্প থাকতে পারে।

০২। অধিক ব্যবহৃত শব্দের বানান ভূল থাকতে পারে।

০৩। কোন ফেরৎ ঠিকানা নেই বা অষ্পষ্ট ঠিকানা লেখা থাকলে।

০৪। কোন নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা নেই বা ব্যক্তির পদবী থাকতে পারে।

০৫। অযথাই ষ্পষ্ট শব্দ যেমন, Óব্যক্তিগতÓ, Óগোপনীয়Ó বা Óএক্সরে করা যাবেনাÓ ইত্যাদি।

০৬। বিদেশী চিঠির ক্ষেত্রে ফেরত ঠিকানার দেশের ষ্ট্যাম্পের সাথে কোন মিল খুজে না পাওয়া।

অন্যান্য সন্দেহজনক যে সব উপাদান থাকতে পারেঃ

০১। চিঠির মধ্যে পাউডার জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে।

০২। তৈল জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে।

০৩। অন্য ধরনের গন্ধ থাকতে পারে।

০৪। অতিরিক্ত টেপ বা ষ্টাপল করা থাকতে পারে।

০৫। প্যাকেজেস বা চিঠির চারিদিক অসমান হতে পারে।

০৬। এমন হতে পারে চিঠিটি খুলে আবার লাগানো হয়েছে।

সন্দেহজনক মেইল পরীক্ষনের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবে তা হলোঃ

০১। শান্ত থাকতে হবে।

০২। চিঠি বা প্যাকেজ খোলা যাবেনা বা ঝাকানো যাবে না বা অন্য কাউকে দেখানো যাবেনা।

০৩। যদি সম্ভব হয় বা প্যাকেজটি ঢেকে রাখতে হবে।

০৪। ফ্যান বা যাহার দ্বারা বাতাস প্রবাহিত হয় সমস্ত যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন।

০৫। গন্ধ নিতে চেষ্টা করবেন না বা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না।

০৬। যদি পাউডার জাতীয় পদার্থ আপনার শরীরে লেগে যায় বা হাতের সংষ্পর্শে আসে সাথে সাথে হাত সাবান দিযে ধুয়ে ফেলুন।

০৭। তাৎক্ষনিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান এবং নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে ফোন করুন।

০৮। যদি প্যাকেজের মধ্যে বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায় সাথে সাথে পুরো বিল্ডিংটি খালি করে ফেলুন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।       কন্টেইনার নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

তৈরী পোষাক শিল্পে পন্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে কন্টেইনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পোষাক শিল্পের বেশির ভাগ পন্যই সমুদ্র পথে প্রেরন করা হয়। সমুদ্রপথে বেশীর ভাগ পন্যই জাহাজীকরনের মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানো হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় কন্টেইনারের ভিতরে করে অবৈধ পন্য বিদেশে পাচারের সম্ভাবনা থাকে। তাই কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

---------------------------------------------------------------------------- এর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিম্নোক্ত নীতিমালা গ্রহন করেছেঃ

কন্টেইনার সংরক্ষনঃ

§  কন্টেইনার কারখানায় প্রবেশ করার পর একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়।

§  কন্টেইনার সংরক্ষনের Loding/Unloding এলাকায় রাখা হয়, যাতে ব্যক্তিগত বা পরিদর্শনকারীর গাড়ির সাথে মিশে না যায়।

§  কন্টেইনার সংরক্ষনের স্থান অর্থাৎ Loding/Unloding এলাকায় শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ প্রবেশ করতে পারবে।

§  কন্টেইনার সংরক্ষনের স্থানে প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা বোর্ডে ঝুলানো আছে।

§  যদি অনেক কন্টেইনার পন্য পরিবহনের জন্য আনা হয় তবে একটি কন্টেইনারের পিছন দিক অন্য একটি কন্টেইনারের পিছন দিকের সাথে মিশিয়ে রাখা হয়, যেন সকলের অজান্তে পন্য পরিবহনের পূর্বে কেউ অবৈধ দ্রব্য রাখতে না পারে।

§  কন্টেইনার সংরক্ষন এলাকায় যদি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তবে নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের প্রশাসনিক বিভাগের নিকট নিয়ে আসে।

§  কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা কর্মীদের কন্টেইনার সংরক্ষনের স্থানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চ্যালেঞ্জ করার অধিকার দিয়েছে।

কন্টেইনার পর্যবেক্ষনঃ 

v  কন্টেইনার সংরক্ষনের স্থানে পন্য লোড করার পূর্বে কন্টেইনারটি ভালেভাবে পর্যবেক্ষন করা হয়।

v  কন্টেইনার নির্দ্দিষ্ট স্থানে রাখার পর কন্টেইনারের দরজা এবং সীলটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করা হয়।

v  যদি সীলটি ভাঙ্গা পাওয়া যায় তবে কন্টেইনারটি না খুলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জাননো হয়। কোন অবস্থাতেই দরজা খোলা যাবেনা।

v  কন্টেইনার খোলার পর কন্টেইনারের ভিতরের মালামাল ভালোভাবে মাপতে এবং গুনতে হবে, যদি মাপে গুনে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে তা প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।

v  কন্টেইনার নির্দ্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করার পর অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক কন্টেইনারের ৭টি স্থান ভালোভাবে চেক করা হয়।

যে টি স্থান চেক করা হয় সেগুলো হলোঃ

o   Front Wall

o   Left side Wall

o   Right side Wall

o   Floor

o   Ceiling/Roof

o   Inside/Outside doors

o   Outside/Undercarriage

§  কন্টেইনার পর্যবেক্ষনের সময় অবশ্যই ষ্টোর বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ নিরাপত্তা বিভাগের লোক উপস্থিত থাকে।

§  কন্টেইনার পর্যবেক্ষনকালীন কোন অসমঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

কন্টেইনার সীলগালাকরনঃ

§  কন্টেইনার নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো কন্টেইনারটি ভালোভাবে সীলগালা করন।

§  প্রতিষ্ঠান কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যান সীল করার জন্য উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন বোল্ট সীল ব্যবহার করে থাকে।

§  কন্টেইনার সীলগালা করনের ক্ষেত্রে কন্টেইনার সীলগালা করন নীতিমালা অনুসরন করা হয়।

§  কন্টেইনার সীলগালা করার সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন।

 

-----------------লিঃ এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে উপরোক্ত নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কর্তৃপক্ষ আশা করে ---------------- এর এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী শ্রমিকগন এই নীতিমালা মানিয়া চলিবে

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন ।

সীল নিয়ন্ত্রন ব্যবহার নীতিমালাঃ

পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এবং আমদানীকৃত পন্যবাহী কন্টেইনারের মাধ্যমে অবৈধ দ্রব্যের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বিধায় আমদানী রপ্তানী পন্যবাহী কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও ক্রেতাদের চাহিদা এবং সর্বোপরি Supply Chain Security বাস্তবায়নের জন্য কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সীল ইস্যু পদ্ধতিঃ

০১। আমদানী এবং রপ্তানী উভয় ক্ষেত্রে পন্যবাহী কাভার্ড ভ্যান এবং কন্টেইনারে নিরাপত্তা সীল ব্যবহার করা হয়।

০২। সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন বোল্ট সীল ব্যবহার করা হয়, যাহা ISO Pas 17712 চাহিদা পূরন করে থাকে। এই সীল একবার ব্যবহারযোগ্য এবং নির্ধারিত সীল ব্যতীত অন্য কোন সীল ব্যবহার করা হয়না।

০৩। সম্পূর্ণ নতুন সীল ব্যবহার করা হয়। কোন ভাঙ্গা বা পুরাতন সীল ব্যবহার করা হয়না।

০৪। সীল ক্রয় করার পর এটি ষ্টোর বিভাগ এর তত্বাবধানে থাকে এবং একটি নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে সীল নম্বর ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।

০৫। ষ্টোর বিভাগ একমাত্র এক্সপোর্ট সুপারভাইজার ফিনিশিং ম্যানেজারকে সীল ইস্যু করে থাকে এবং একটি রেজিষ্টারের মাধ্যমে ইস্যুকৃত সীল নম্বরের হিসাব রক্ষনাবেক্ষন করে।

০৬। যদি একাধিক সীল গ্রহন করা হয় এবং পরবর্তী দিন সীলটি ব্যবহার করা হয় তাহলে এক্সপোর্ট সুপারভাইজার বা ফিনিসিং ম্যানেজার সীলটি তাদের তত্বাবধানে ভালোভাবে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেয়।

০৭। সীল ইস্যু করার সময় সীল নম্বর ক্রমানুসারে ইস্যূ করা হয়

সীল লাগানোর পদ্ধতিঃ

০১। যখন কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানটি পূর্ণ ভর্তি হয়ে যায়, তখন কারখানা ত্যাগের আগে এক্সপোর্ট সুপারভাইজার বা ফিনিশিং ম্যানেজার সীলটি কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানে লাগিয়ে দেয়।

২। সীল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতিটি অনুসরন করা হয়ঃ  

() প্রথমে সীলটি নিয়ে দুটি অংশের নম্বর মিলিয়ে দেখা হয়।

() নম্বরটি সঠিক হলে কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানের সীল স্থাপনের স্থানে একটি অংশ উপরে অন্য অংশটি নিচে স্থাপন করা হয়।

() এর পর ভালোভাবে চাপ দিয়ে সীলটি লাগানো হয়।

() শেষে চাপ দিয়ে নিচের দিকে টান দিয়ে দেখা হয় সীলটি খুলে যায় কিনা।                                

সীল বদলের পদ্ধতিঃ

০১। যদি কন্টেইনার অর্ধেক ভর্তি করা হয় এবং পুরো রাত কারখানার অভ্যন্তরে রেখে দেওয়া হয় তবে সীলের বদলে প্যাডালক তালা ব্যবহার করা হয়।

০২। প্যাডালকের চাবিটি এক্সপোর্ট সুপারভাইজার বা ফিনিশিং ম্যানেজার তার নিজের তত্বাবধানে রেখে দেন।

সীল যাচাইকরন পদ্ধতিঃ

০১। রপ্তানীকৃত পণ্যের কন্টেইনারে সীল লাগানোর সময় এবং আমদানীকৃত পণ্যের কন্টেইনারের সীল খোলার সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামনে উপস্থিত থাকবেন

০২। রপ্তানীর ক্ষেত্রে Coverd Van সীল করার পর সীল নম্বরটি চালানে উল্লেখ করা হয় এবং টেলিফোন মারফত সিএন্ডএফ এজেন্টকে জানাতে হবে।

০৩। সীল লাগানোর পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফিনিশিং ম্যানেজার সীলটি ভালোভাবে চেক করে দেখবেন সঠিক সীলটি লাগানো হয়েছে কিনা।

০৪। সীল লাগানোর পর কাভার্ড ভ্যান বা কন্টেইনার বাহির হবার পূর্বে প্রধান দরজার নিকট নিরাপত্তা প্রহরী চালানের সীল নম্বর এবং কন্টেইনার এর সীল নম্বর মিলিয়ে দেখবে সঠিক সীলটি লাগানো হয়েছে কিনা।

০৫। আমদানীর ক্ষেত্রে কাভার্ড ভ্যান খোলার পূর্বে সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক প্রদত্ব সীল নম্বর দেখে সঠিক সিলটি লাগানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

সীল ভাঙ্গা বা খোলা অবস্থায় পেলে করনীয়ঃ

০১। রপ্তানীকৃত কভার্ড ভ্যান বা কন্টেইনার রাস্তায় চেকিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় প্রতিটি কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যানের সাথে একটি অতিরিক্ত সীল ড্রাইভারকে দিয়ে দিতে হবে।

০২। যদি সীলটি ব্যবহারের প্রয়োজন না হয় তবে সীলটি অক্ষত অবস্থায় সিএন্ডএফ এজেন্টের নিকট ফেরত দিতে হবে এবং ব্যাপারে একটি নির্দেশ কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যানের চালককে দিয়ে দিতে হবে। এজেন্ট সিলটি পাওয়ার পর নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে সীলটি ফেরত পাঠান। 

০৩। Bill of Lading (B/L)সীল নম্বরটি লিপিবদ্ধ করে দিতে হবে। সি এন্ড এফ এজেন্ট কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান পৌছনোর পর সীলটি চেক করে দেখেছেন তা অক্ষত অবস্থায় আছে কিনা, যদি কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তবে কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানের দরজা না খুলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং অব্যবহৃত সীল নম্বরটিও সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।

০৪। যদি আমদানীকৃত পণ্যের কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যান আসার পর সীলটি ভাঙ্গা বা খোলা পাওয়া যায় তবে তাৎক্ষনিকভাবে গেট না খুলে প্রশাসনিক বিভাগে জানাতে হবে। একইভাবে রপ্তানীকৃত পন্যের কন্টেইনার বা কাভার্ড ভ্যানের সীল খোলা অবস্থায় পাওয়া গেলে তা না খুলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

 কন্টেইনার /কাভার্ড ভ্যান অনুস্বরন নীতিমালাঃ

কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো কন্টেইনার /কাভার্ড ভ্যানের গতিবিধি অনুসরনের মাধ্যমে দ্রæ সময়ে পন্য ক্রেতার নিকট পৌছে দেওয়া এবং পন্যের সত্যতা নিশ্চিত করা।

-------------লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার /কাভার্ড ভ্যান যাতায়াত নিয়ন্ত্রনে নিম্নোক্ত নীতিমালা গ্রহন করেছেঃ

০১। রপ্তানীযোগ্য পন্য লোডিং করার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ীর রেজিষ্টেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এবং মোবাইল নম্বরটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করেন এবং চালাককে পণ্যের চালান প্রদান করে গাড়ি ছাড়ার অনুমতি প্রদান করবেন এবং গাড়িটির লোডিং এরিয়া ছেড়ে যাবার সময় লিপিবদ্ধ করবেন।

০২। কারখানা ত্যাগের পূর্বে চালককে গন্তব্যস্থলে পৈাছানোর একটি গ্রহন যোগ্য সময় নির্ধারন করে যাতায়াতের রোড ম্যাপ প্রদান করতে হবে, যেখানে কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান কোথায় থামানো যাবে তা চিহ্নিত করা থাকবে।

০৩। গাড়িটি কারখানা ত্যাগ করার সাথে সাথে গাড়ির গন্তব্যে অপেক্ষমান সি এড এফ এজেন্টকে গাড়ী ছাড়ার সময়, রেজিষ্টেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর চালকের মোবাইল নম্বর অবহিত করতে হবে এবং গাড়িটি গন্তব্যে পৈাছানোর জন্য সি এন্ড এফ এজেন্ট গন্তব্যস্থলে পৌছানোর সময় জানাবেন।

০৪। চালক অনুমোদিত স্থান ব্যতিত অন্য কোথাও কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান থামাতে পারবেনা। তবে যদি কখনো কোন কারণে নির্দ্দিষ্ট স্থান ব্যতিত অন্য কোথাও কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান থামানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে তা করতে হবে।

০৫। পথিমধ্যে যদি কখনো পুলিশ চেকিং এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে তা অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৬। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ব রোড ম্যাপ ব্যতীত অন্য কোন স্থান দিয়ে যাতায়াত করা যাবেনা। তবে অনেক ক্ষেত্রে জ্যামের কারনে বা রাস্তা বন্ধের কারণে অন্য কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তা করা যাবে। 

০৭। কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানে অনত্র কোন স্থান থেকে কোন পন্য নিতে পারবেনা, যদি অন্যত্র কোথাও থেকে কোন পন্য পরিবহন করে তবে কেরিয়ার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।

০৮। যদি পণ্যবাহী গাড়িটির যাত্রাকালীন সময়ের মধ্যে কোন অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় অর্থ্যাৎ গন্তব্যে পৌছাতে গ্রহনয়োগ্য সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে তবে তৎক্ষনাত বিষয়টি কারখানার ব্যবস্থাপককে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে। তদন্তে গ্রহনযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত কোন উত্তর না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে সি এন্ড এফ এজেন্টের গুদামে গিয়ে কার্টুনগুলো পুনরায় পরীক্ষনপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার অধিকার থাকবে।

০৯। এক্সপোর্ট সুপারভাইজার কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানে পন্য পরিবহনের সময় ড্রাইভারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন এবং কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ইনকামিং পন্য পরীক্ষন নীতিমালাঃ

--------------------------- এর এর কাপড় প্রস্তুুত করার লক্ষ্যে বাহির থেকে বিভিন্ন পন্য আমদানী করে থাকে। আমদানিকৃত পন্য কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রেরন করা হয়। কর্তৃপক্ষ ইনকামিং পন্যের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। পন্যবাহী কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার কারখানার গেটে আসার পর কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী চালান দেখে দ্রব্যাদি অত্র কারখানার কি না তা নিশ্চিত হওয়ার পর গেট খুলে গাড়ী কারখানার লোডিং/আনলোডিং স্থানে নিয়ে আসবেন।

০২। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন স্টোর অফিসার নিরাপত্তা প্রহরীদের সামনে কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারের সীলটি ভালোভাবে চেক করতে হবে, যদি খোলা বা ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায় তবে তাৎক্ষনিকভাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে কাভার্ড ভ্যানের দরজা কোনভাবেই খোলা যাবেনা।

০৩। সীলে কোন সমস্যা না পেলে সীলটি চালানের সাথে প্রদত্ত নম্বর সি এন্ড এফ কর্তৃক প্রদত্ব গোপন নম্বরের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় কিনা। যদি নম্বরের সাথে মিল পাওয়া যায় তবে দরজা খোলে আগ্নেয়াস্ত্র/বিষ্পোরক জাতীয় দ্রব্য বা অবৈধ দ্রব্যাদি আছে কিনা তা ভালোভাবে চেক করতে হবে এবং কোন সন্দেহজনক বস্তুুর অস্তিত্ব না পাওয়া গেলে পন্য নামানো হবে।

০৪। পন্য প্রথমে চেকিং করার নির্দ্দিষ্ট জায়গায় নামাতে হবে। এর পর পন্যের সাথে প্রদত্ত চালান অনুযায়ী পন্য ঠিক অছে কিনা তা Inventory করতে হবে।

০৫। যদি পন্য চালানের চেয়ে কম বা বেশী হয় সাথে সাথে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহন পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

০৬। পন্য নামানোর পর গুদামজাতকরনের পূর্বে বা উৎপাদন স্থানে নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে চেক করতে হবে। চেক করা ছাড়া কোন পন্য গুদামজাতকরন করা যাবে না বা উৎপাদন স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে না। 

আমদানীকৃত/রপ্তানীকৃত মালামাল গড়মিলের ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুস্বরণ করা হয়ে থাকেঃ

§  মালামালের গড়মিল সম্পর্কে সরবরাহকারী এবং রপ্তানীর সাথে সম্পর্কিত কর্মকর্তা, মার্চেন্ডাউজার এবং কমার্শিয়ালকে জানাতে হবে।

§  মার্চেন্ডাইজার এবং কমার্শিয়াল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সি এন এফ এর সাথে যোগাযোগ করবে।

§  প্রয়োজন বোধে প্রশাসন বিভাগ পুলিশ এবং কাস্টম্স বিভাগকে অবহিত করবে।

§  গড়মিলকৃত মালামালের প্রকৃত হিসাব রেজিষ্টারভুক্ত করে প্রাপ্ত মালামালের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগপত্র (সীল স্বাক্ষরসহ) Abnormalities and Discrepancies Investigation কমিটির সভাপতির নিকট প্রেরণ করিবে। উক্ত কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে গড়মিলের সমাধান করতঃ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।

 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

অমিল গড়মিলকৃত মালামালের তদন্ত কমিটিঃ (Abnormalities and Discrepancies Investigation Committee)t

-------------------------এ যে সকল অমিল গড়মিল পাওয়া যাবে (বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্টোরে  ফেব্রিক্স অন্যান্য মালামাল গ্রহন বিতরন কালীন সময়ে) উক্ত ঘটনা লিখিত আকারে স্বাক্ষর সীলসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নি¤œবর্ণিত Abnormalities and Discrepancies Investigation Committee এর মাধ্যমে যথাযথ ভাবে তদন্তপূর্বক (সাত) দিনের মধ্যে কমিটির সভাপতি/চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিবে। কমিটি প্রধান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।

কমিটিঃ

জনাব মীর মইন হোসেন (মহা ব্যবস্থাপক - এডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) ................  সভাপতি

জনাব এস কে আজিজুল হক (উপঃ মহা ব্যবস্থাপক - স্টোর) .....................    সদস্য

জনাব জনাব কাজী আনোয়ার হোসেন (সহঃ মহা ব্যবস্থাপক - মার্চেন্ডাইজি) ........    সদস্য

জনাব মোঃ নিজাম উদ্দীন (ব্যবস্থাপক - কমপ্লায়েন্স ) ..............................     সদস্য

জনাব মোঃ শাহ আলম (ব্যবস্থাপক - এডমিন ) ......................................   সদস্য

জনাব কাজী জিয়াউল হক (ব্যবস্থাপক - স্টোর) ...................................     সদস্য

জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ হানিফ (উপঃ মহা ব্যবস্থাপক - নিটিং) .....................     সদস্য

জনাব মোঃ শাহরিয়ার খান ( সিনিঃ ব্যবস্থাপক - আই, ) .........................     সদস্য

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

প্যাকিং এরিয়ার নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

------------------------এর কর্তৃপক্ষ প্যাকিং এরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। কর্তৃপক্ষের মূল উদ্দেশ্য হলো প্যাকিং করা পন্যের সাহায্যে কোন ধরনের অবৈধ দ্রব্য যেন বিদেশে পাচার না হতে পারে।

--------------------------এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে পন্য প্যাকিং করার সময় যে কোন বস্তুু কার্টুনের ভিতর প্রবেশ করিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা বা যে কোন অবৈধ দ্রব্য বিদেশে পাচার সম্ভব। এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্যাকিং এরিয়াকে Restricted Zone ঘোষনা করে সকলের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্যাকিং এলাকার জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা গ্রহন করেছেঃ

০১। পুরো প্যাকিং এরিয়াকে আলাদা করে সুরক্ষিত করা হয়েছে।

০২। নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্যাকিং এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবেনা।

০৩। প্যাকিং এরিয়াতে যাদের প্রবেশাধীকার রয়েছে তাদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের নামের একটি তালিকা নোটিশ বোর্ডে লাগানো আছে।

০৪। প্যাকিং এরিয়ার প্রবেশ পথে একজন নিরাপত্তা পহরী কর্মকালীন সময় পাহারা দিয়ে থাকে এবং যারা ভিতরে প্রবেশ করে তাদের সকলের পরিচয় পত্র চেক করে থাকেন।

০৫। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেহই প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহনপূর্বক ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।

০৬। অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা প্রহরীগন তাদেরকে চেক করার পর ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং একজন লোক সবসময় তার সাথে অবস্থান করে।

০৭। প্যাকিং এর প্রয়োজনীয় মালামাল ছাড়া অন্য কোন দ্রব্যাদি প্যাকিং এরিয়ায় রাখা যাবেনা।

০৮। প্যাকিং এর পূর্বে প্যাকিং এর মালামাল যেমন, কার্টুন, পলিব্যাগ ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয় যাতে কোন সন্দেহজনক বস্তু পূর্বেই এর ভিতরে না রাখা হয়।

০৯। প্যাকিং এর সময় কার্টুন এর সময় শিপিং মার্ক এর বিষয়বস্তুু,যেমন ষ্টাইল,কালার,পরিমান,পন্যের ওজন ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা যাচাই করা হয়।

১০। কার্টুন কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানে লোডিং এর পূর্বে কোন কার্টুন খোলা নেই তা নিশ্চিত করা হয়।

১১। যদি কোন কার্টন কোন কারনে খোলা হয় তবে কি কারনে তা খোলা হয়েছিল তা উলে­খপূর্বক একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

১২। প্যাকিং এরিয়ায় যারা প্রবেশ করে থাকে প্রত্যেকের নাম প্রবেশ সময় সহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

১৩। প্যাকিং এলাকায় কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির দেখা পাওয়া গেলে অথবা আশংকাজনক দ্রব্য সামগ্রী পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। ধরনের ঘটনা ভালভাবে তদন্ত করা শেষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

লোডিং আনলোডিং এরিয়ার নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

--------------------------- এর কর্তৃপক্ষ পন্য সুষ্ঠভাবে লোডিং এবং আনলোডিং করার জন্য নির্দ্দিষ্ট এলাকা চিহিৃত করেছে। পন্য লোডিং এবং আনলোডিং করার সময় কেউ যাতে নিরাপত্তা বিঘিœ না করতে পারে তাই এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ পন্য লোডিং করার সময় যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় বা লোডিং এর সময় যাতে কোন অবৈধ দ্রব্য কন্টেইনারের ভিতরে করে পাচার না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাথে। কর্তৃপক্ষ লেডিং এর সময় সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। শুধুমাত্র পন্য লোডিং বা অনলোডিং করার জন্য যে কোন এলাকা নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে সে এলাকা লোডিং/আনলোডিং করা হয়।

০২। কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান লেডিং/আনলোডিং এলাকায় প্রবেশের পূর্বে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানটি সঠিক কিনা তা যাচাই পূর্বক ড্রাইভারের লাইসেন্স ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়।

০৩। পন্য লোডিং এর পূর্বে কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার লোডিং এরিয়ার প্রবেশ করানো হয়।

০৪।পন্য লোডিং করার সময় কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারের দরজার সামনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর ইনচার্জ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সর্বক্ষন উপস্থিত থাকেন।

০৫। যে সমস্ত পন্য রপ্তানীর জন্য তৈরী করা হয়েছে তা আলাদাভাবে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয় লোডিং এর জন্য।

০৬। উৎপাদিত পন্য এলাকা থেকে কার্টুন নামানোর আগে কোন কার্টুন খোলা, ভাঙ্গা বা ছিড়া আছে কিনা তা ভালোভাবে পরিক্ষন করা হয় এবং কোন অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে লোডিং বন্ধ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।

০৭। কার্টুন কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে উত্তোলনের পূর্বে পরিমাপক যন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করা হয়। যদি কোন কার্টুনে লেখা পরিমাপ থেকে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ভাবে লোডিং বন্ধ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।

০৮। উৎপাদিত পন্য এলাকা থেকে নিরাপত্তা বিভাগ ফিনিশিং বিভাগের তত্বাবধানে একমাত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত লোডার দ্বারা মালামাল কভার্ড ভ্যানের উঠানো হয়।

০৯। যে সমস্ত লোডার লোডিং এর কাজে নিয়োজিত আছে তারা প্রত্যেকে লোডিং করার সময় পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকেন।

১০। রপ্তানীকৃত পন্য লোডিং করার সময় যদি কোন শ্রমিক বা লোডারের মধ্যে কোন অস্বাভাবিক আচরন গতিবিধি পরিলক্ষিত হয় তবে তাৎক্ষনিক ভাবে লোডিং বন্ধ করে দিয়ে তদন্ত করতে হবে এবংপূর্বে লোডিংকৃত সমস্ত পন্য কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার থেকে নামিয়ে পরীক্ষা করার পর পুনরায় লোডিং করতে হবে।

১১। পন্য লোডিং বা আনলোডিং করার সময় লোডিং বা আনলোডিং এর সাথে সম্পূক্ত নয় এমন কোন ব্যক্তি যাতে নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। এর জন্য কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার লোডিং এরিয়ায় প্রবেশ করার পর থেকে লোডিং সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা প্রহরী এলাকাটি পাহারা দিয়ে থাকেন এবং কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তি নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে সাথে সাথে তাকে চ্যালেঞ্জ করে থাকেন।

১২। লোডিং সম্পূন্ন হবার পর এক্রোপোর্ট সুপারভাইজার ষ্টোর কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন সব কাগজপত্র এবং তথ্য সঠিক আছে কিনা।

১৩। লোডিং শেষ হওয়ার পর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর ইনচার্জ নিরাপত্তা অফিসার কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার চেক করার পর তাদের সম্মুখে এক্রোপোর্ট সুপারভাইজার বা ফিনিশিং ম্যানেজার কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানটি সীল গালা করে থাকেন।

১৪। কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান লোডিং শেষ হবার পর গাড়িটি কারখানা হইতে বাহির হবার পূর্বে প্রধান গেটে নিরাপত্তা প্রহরী সব কাগজ পত্র এবং সীলটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে থাকেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

বস্তু নিরাপত্তা নীতিমালাঃ

------------ এর কর্তৃপক্ষ পন্য পরিবহন, আনা নেওয়া এবং পন্য সংরক্ষনে সাপ্লাই চেন সিকিউরিটির নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। কর্তৃপক্ষর উদ্দেশ্য হলো পন্য অর্ডার সংগ্রহ থেকে শুরু করে পন্য রপ্তানীর মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাজে পৌছানো পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

---------------------- এর কর্তৃপক্ষ বস্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

() কারখানার সকল মূল্যবান মালামাল শ্রেনীবিন্যাস করে নির্ধারিত ষ্টোরে রাখা হয় এবং কাখানা বন্ধ করার প্রাক্কালে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত সীলগালার মাধ্যমে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পরপর নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক তালার সত্যতা পরীক্ষা করা হয়।

() কারখানা এলাকায় বিশেষ করে সকল গেইট এবং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারন সম্পর্শকাতর এবং ঝুকিপূর্ণ পয়েন্ট ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরী দায়িত্বপালন করে থাকে।

() যথাযথ কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি পত্র ছাড়া কোন বস্তু কাখানার ভেতরে প্রবেশ বা বাহিরে যেতে দেয়া হয়না।

() নিরাপত্তা কর্মীরা স্ব-স্বরীরে যাচাই-বাছাই ব্যতীত কোন বস্তু কাখানায় প্রবেশ কিংবা কারখানা থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়না।

() কাখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক বা কারখানার স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকান্ড সর্তকতার সাথে প্রতিহত করা হয়।

() কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র, ধ্বংস্বাতœ বা কারখানার স্বার্থবিরোধী কোন কর্ম কান্ডের কোন পরিকল্পনা বা তথ্য জানতে পারলে তা সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং ব্যাপারে সকল শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।

() কারখানা ছুটির পর শ্রমিকগন বের হয়ে যাবার সময় মহিলাদের শ্রমিক মহিলা চেকার দ্বারা এবং পুরুষদের শরীর পুরুষ চেকার দ্বারা ভালভাবে তল্লাশি করা হয়।

বস্তু নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান মালামাল রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্য়কলাপ থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

Information Technology  নিরাপত্তা নীতিমালা:

Information Technology বহুল ব্যবহৃত একটি মাধ্যম। বহিবিশ্বের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট -মেইল ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে -মেইল এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। -মেইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সময় কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয় বা -মেইলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে কম্পিউটার আক্রান্ত করতে পারে। ফলে  কম্পিউটারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হবার আশংকা থাকে। এজন্য কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

---------------------------লিঃ এর কর্তৃপক্ষ Information Technology এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করেছেঃ

০১। প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যবহারকারীগন পৃথক আইডি এবং কম্পিউটারে প্রবেশের জন্য লগ ইন কোড ব্যবহার করেন।

০২। প্রত্যেক ব্যবহারকারী পৃথক পৃথক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন।

০৩। প্রতি ৯০ দিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়, এক পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহার করা হয় না।

০৪। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগন কোন কোন Website ব্যবহার করিতেছে আইটি অফিসার তাহা পর্যবেক্ষন করে।

০৫। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগন শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ কিছু Website ব্যবহার করতে পারে।

০৬। সীমাবদ্ধ Website ব্যতীত অন্য কোন Website ব্যবহার করতে হলে আইটি অফিসারকে জানাতে হবে।

০৭। কম্পিউটার ব্যবহারের অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারো কম্পিউটার ব্যবহার সম্পূন্ন নিষেধ।

০৮। যদি ব্যবহারকারী ব্যতিত অন্য কাহারো কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই ব্যবহারকারীর অনুমতি নিতে হবে।

০৯। কর্তৃপক্ষ কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী কম্পিউটার ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে এবং প্রয়োজন হলে কম্পিউটার প্রদান করে।

১০। -মেইলে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়।

১১। কোন অবাঞ্চিত মেইল আসলে তা না খুলে সাথে সাথে আইটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।

১২। ব্যবহারকারী যদি দীর্ঘ দিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকেন তবে সাময়িকভাবে তার -মেইল একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১৩। ব্যবহারকারী যদি স্থায়ীভাবে চাকুরীর অবসান ঘটান তবে স্থায়ীভাবে তার -মেইল একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় বা অন্য কোন ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে সাথে সাথে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়।

১৪। প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যবহারকারী তাদের ড্রাইভারগুলো শেয়ার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, যাতে অন্য কেউ তাদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতে না পারে।

১৫। অন্যের ড্রাইভ ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারীর পূর্বানুমতি নিতে হয়।

১৬। প্রতিটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষন এবং আদান প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় ফাইল সার্ভার ব্যবহার করা হয় এবং সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রাখা হয়। সার্ভারটির ব্যাকআপ অন্যত্র সংরক্ষন করা হয়।

১৭। আইটি কর্মকর্তা প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার সব কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের নিয়ে মিটিং করেন এবং নতুন নতুন ভাইরাসের আগমন এবং ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।

১৮। আইটি কর্মকর্তা নতুন ভাইরাস ধরা পড়ার সাথে সাথে সকল ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেন।

১৯। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী কর্মকর্তা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে, আইটি কর্মকর্তা তাদেরকে কম্পিউটার ব্যবহারের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের আইটি নিরাপত্তার ব্যাপারে অবহিত করে থাকেন।

২০। আইটি কর্মকর্তা একটি রেজিষ্টারে প্রতিটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং রেজিষ্টারটি একটি সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষন করেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

রপ্তানীযোগ্য পন্য পরিমানে কম/বেশী হওয়া চিহিৃতকরন প্রতিবেদন পেশ করন

Detecting and Repoting of Shortage/Overages on Shipment Materials

 

----------------------------এর কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পন্য- সামগ্রী রপ্তানীর সময় সেগুলোর সংখ্যা এবং অন্যান্য তথ্যগত যথার্থতা নির্নয়ে এবং প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেঃ

০১। রপ্তানীর সময় ষ্টোর কর্তৃপক্ষ রপ্তানীর জন্য তৈরি মালামালের সর্বোমোট (তিন) কপি চালান তৈরি করবে। চালান তৈরি করার পর চালানোর তিনটি কপি কারখানা ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তা কর্মকতা স্টোর কর্মকর্তার নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নিতে হবে।

০২। রপ্তানীযোগ্য পন্য বহনের জন্য সরবরাহকৃত কাভার্ডভ্যান/কন্টেইনারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাড়িটি সম্পূর্ন ক্রটিমুক্ত বলে প্রতিয়মান হলে নির্ধারিত লোডিং এরিয়াতে পাঠাতে হবে এবং লোডিং এরিয়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে হবে।

০৩। গাড়ি লোডিং এরিয়াতে পার্ক করার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেখানে স্বশরীরে চালান সহ উপস্থিত থাকবেন এবং উৎপাদিত পণ্য গুদামে কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরীকে কার্টন ছাড়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন।

০৪। উৎপাদিত পণ্য গুদামে কর্তব্যরত প্রহরী চালান অনুযায়ী কার্টুন ছাড়বেন এবং প্রতিটি কার্টুন গুদাম হতে বের করার সময় কার্টনে হিসাব রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। গুদাম হতে কার্টুন বের করার সময় কর্তব্যরত প্রহরী অবশ্যই কার্টুনের গায়ে লেখা ষ্টাইল নম্বর, বায়ারের নাম, কার্টুন নম্বর ইত্যাদি চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলে তা সাথে সাথে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিষয়টি তৎক্ষনাৎ ষ্টোর কর্মকর্তা এবং কারখানার ব্যবস্থাপককে অবহিত করবেন এবং ঘটনাটি নিদির্ষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।

০৫। সকল কার্টুন কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে তোলার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে ওজন পরীক্ষা করতে হবে। যদি কার্টুনে লেখা খুব বেশী তারতম্য দেখা যায়, তবে অবশ্যই সব তারতম্যকৃত কার্টুন খুলে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং ঘটনাটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

০৬। উৎপাদিত পন্য গুদামে থেকে কার্টুন লোডিং এরিয়াতে এসে পৌছালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং ষ্টোর কর্মকর্তা কার্টুনে গায়ে লিখা ষ্টাইল নম্বর, পিও নম্বর, বায়ারের নাম, কার্টুন নম্বর, সঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করবেন এবং চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জ্যস্যতা পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষনিকভাবে তা কারখানা ব্যবস্থাপককে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

০৭। কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার কার্টুনগুলো লাইন করে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টুন অছে, মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সেই হিসাবে নির্ভুলভাবে রাখতে হবে।

০৮। কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার কার্টুন উঠানো শেষ হলে শেষবারের মত মোট কার্টুনে সংখ্যা এবং চালান মিলিয়ে দেখতে হবে। যদি চালানো উল্লেখিত কার্টুনের সংখ্যা এবং গাড়িতে উঠানো কাটুনের সংখ্যার সাথে সামান্যতম কম-বেশি পরিলক্ষিত হয় তবে পণ্যবাহি গাড়িকে লোডিং এরিয়া ত্যাগের অনুমতি দেয়া যাবেনা। প্রয়োজনে সকল কার্টুন পুনরায় নামেয়ে অবার গনণা করে গাড়িতে তুলতে হবে।

০৯। যদি পুনরায় গননার পর পন্য কম হয় তবে উৎপাদিত পন্য এলাকা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং কার্টুন যদি অন্যত্র কোথাও পাওয়া যায় তবে তা ভালভাবে পরীক্ষার পর গাড়িতে তোলা যাবে।

১০। সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়িতে উঠানো হলে লোডিং এরিয়ায় কর্তব্যরত নিরাপত্তা গাড়িতে উচ্চ নিরাপত্তা সীল লাগিয়ে দিবেন। এরপর নিরাপত্তা কর্মকর্তা সীলটি ভালোভাবে পরীক্ষা করবেন এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়িটি কারখানা ত্যাগের অনুমতি দিতে হবে।

১১। পন্য কম বা বেশি যাই হোক না কেন অবশ্যই প্রতিটি ব্যাপার সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে।

রপ্তানিযোগ্য পন্য-সামগ্রী রপ্তানীর সময় সেগুলোর সঠিক সংখ্যা এবং তথ্যগত যথার্ততা নির্নয়ে উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো সতর্কতার সাথে পালন করতে হবে। 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

 অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, ক্ষতিকারক বস্তু এবং কোন অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ

---------------------------- এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে কাখানার অভ্যন্তরে কোন অবৈধ অনুপবেশকারীর আগমন বা কোন ক্ষতিকারক বস্তু নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি দৈবক্রমে এধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে এবং কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তার নজরে আসে তবে জরুরী ভিক্তিতে করনীয় বিষয় সম্পর্কে সকলকে ধারনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোন অস্বাভাবিক কার্যক্রম লক্ষ্য করেন তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে রিপোর্ট করতে হবেঃ

০১। যদি কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গেট দিয়ে ঢুকার চেষ্টা করে তবে সাথে সাথে প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।

০২। Restricted এলাকায় সর্বধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এর পরও যদি কেউ Restricted এলাকায় প্রবেশ করে, তবে তাকে দেখামাত্র তার নিকট থেকে প্রবেশের বৈধ অনুমতিপত্র দেখতে হবে। যদি তিনি বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তবে তাকে সস্মানের সহিত প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।

০৩। যদি কেহ Restricted এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে তবে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসনিক বিভগে হাজির করতে হবে এবং প্রশাসনিক বিভাগ ঘটনাটি সুষ্ঠভাবে তদন্ত করিবেন। যদি কথাবার্তায় কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তবে তাকে স্থানীয় থানায় হন্তান্তর করতে হবে।

০৪। কোন বস্তু যদি অনেকদিন পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং কোন মালিকানা পাওয়া না যায় তবে অবশ্যই বস্তুটির অকস্থান সম্পর্কে প্রশাসনিক বিভগে জানাতে হবে। এছাড়াও কোন বস্তুর ব্যাপারে যদি কোন সন্দেহের সৃষ্টি হয় তাহলেও তা প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।

০৫। পন্য লোডিং বা আনলোডিং এর সময় কোন অনুমোদিত ব্যক্তিকে উক্ত এলাকায় পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাকে প্রশাসনিক বিভাগে হন্তান্তর করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

আভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্র পণ্যের সততা নিশ্চিতকরন সর্ম্পকে রিপোর্ট পেশকরনঃ

প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো এর জনবল। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগন যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। প্রতিষ্ঠানের কর্মচরীগন যাতে আভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে না পারে বা তাদের ষড়যন্ত্রের কারনে প্রতিষ্ঠানের যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হতে পারে এজন্য প্রতিটি শ্রমিকের ধারনা থাকতে হবে। ----------------------------- এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে কোন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগন ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং যদি কোন ষড়য়ন্ত্রের তৎপরতা কারো দৃষ্টিগোচরে আসে তবে সে তাৎক্ষনিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

আভ্যন্তরীন ষড়যন্ত্র পন্যেও সততা রক্ষার ব্যাপারে নিম্নোক্ত ভাবে রিপোট পেশ করতে হবেঃ

০১। যদি দুই বা ততোধিক শ্রমিককে একত্রিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা শুনতে পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষনিকভাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাতে হবে।

০২। যদি কোন শ্রমিককে অন্য কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহবান জানায়, তবে তাৎক্ষনিকভাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৩। যদি কোন শ্রমিক বা শ্রমিকবৃন্দকে কারখানার অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র-সস্ত্র (ছুরি, চাকু, পিস্তল) বা বোমা নিয়ে প্রবেশ করতে দেখলে বা এই জাতীয় পন্য নিয়ে কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থান করলে তাৎক্ষনিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৪। যদি কোন শ্রমিক বা শ্রমিকবৃন্দকে প্যাকিং এলাকায় মাদকদ্রব্য, অস্ত্র-সস্ত্র (ছুরি, চাকু, পিস্তল) বা বোমা নিয়ে অবস্থান করলে বা গোপনে কোন কার্টুনের ভিতরে এগুলো রাখতে দেখলে তাৎক্ষনিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৫। যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারখানার অভ্যন্তরস্থ কোন দেওয়াল, জানালা, প্রতিষ্ঠানের কোন মেশিনারী বা গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি নষ্ট করতে দেখলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

০৬। যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারখানা অভ্যন্তরে রপ্তানীর জন্য সংরক্ষিত কোন কার্টুন ছিড়তে বা খুলতে দেখতে পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে।

০৭। যদি কোন শ্রমিককে প্রতিষ্ঠানের কোন মূল্যবান সম্পদ বা কোন প্রস্তুতকৃত পোষাক চুরি করতে দেখা যায় তবে সাথে সাথে নিরাপত্তা প্রহরী চেকার কে জানাতে হবে।

যে কোন ধরনের ষড়য়ন্ত্রমূলক ঘটনা বা ক্ষতিকারক কোন কর্মকান্ড আমাদের শক্তহাতে প্রতিহত করা উচিত এবং ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সকলের সহযোগীতা আশা করে। উপরোক্ত যে কোন কর্মকান্ডের ব্যাপারে যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে কর্তৃপক্ষ তাকে উপযুক্ত পুরষ্কার প্রদান করবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ঠিকাদার নিয়োগে নিরাপত্তা নির্দেশিকাঃ

প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারে। ঠিকাদার নিয়োগকরনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত নীতিমালা মানিয়া চলেঃ

০১। ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে খোজ খবর নেওয়া হয়।

০২। ঠিকাদার নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের সুনামের বিষয়টি সর্বপ্রথম বিবেচনায় রাখা হয়। অতঃপর প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা জনবলের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়।

০৩। ঠিকাদার নিয়োগের পূর্বে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের সাথে একটি লিখিত চুক্তিনামা করে থাকে এবং এই লিখিত চুক্তিনামার উপর ভিক্তি করে ঠিকাদারের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

০৪। প্রতিষ্ঠান ঠিকাদার কর্তৃক নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের পূর্বে ঠিকাদারের নিয়োগ নীতিমালা পরীক্ষা করে দেখবেন।

০৫। কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা প্রহরীর নিয়োগের পূর্বে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রহরীর নিয়োগপত্রের কপি, জীবনবৃত্তান্ত চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্র্র্তৃক প্রদত্ব জাতীয়তা সনদ পত্রের আসল কপি যাচাই করে এর প্রতিলিপি সংরক্ষন করে।

০৬। ঠিকাদারী প্রাতষ্ঠান থেকে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের সময় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে চারিত্রিক সনদের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে থাকে।

০৭। প্রতিষ্ঠান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য যে দায়িত্ব কর্তব্য তৈরী করে দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে।

০৮। ঠিকাদারের মনোনিত যে কোন কর্মচারী যারা অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছে, তাদের যে কোন কার্যক্রম সম্পর্কে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে কর্তৃপক্ষ তাদের সম্পর্কে গোপান তথ্য যাচাই করে থাকে।

০৯। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে যদি লিখিত চুক্তির কোন নিয়মাবলী পালন করতে ব্যার্থ হয়, তবে প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় চুক্তি বাতিল করার অধিকার রাখে। 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

শ্রমিকদের নিরাপত্তা আচরণ বিধিঃ

------------------------এর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার্থে সদা সচেষ্ট থাকে। তাই কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে নিম্নোক্ত আচরণবিধি তৈরী করেছেনঃ

০১। প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারী অবশ্যই কারখানায় প্রবেশ, অবস্থান বাহিরে যাওয়ার সময় তাদের পরিচয় পরিহিত অবস্থায় থাকবে যাতে সহজেই নিরাপত্তা বিভাগ তাদের সনাক্ত করতে পারে।

০২। শ্রমিক যে কোন অবৈধ দ্রব্য, যেমন- সিগারেট, মদ, গাজা, অস্ত্র, বোমা ইত্যাদি দ্রব্যাদি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেনা। যদি এই জাতীয় পন্য নিয়ে কাউকে কারখানার অভ্যন্তরে পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোপার্দ করা হবে।

০৩। যদি কোন কর্মচারীর প্রবেশাধীকার কার্ড হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাতে হবে। একই ভাবে প্যাকিং সেকশন, উৎপাদিত পন্য সেকশন এবং লোডিং আনলোডিং এর সাথে জড়িত কেউ পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেললে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাবে।

০৪। ব্যক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি কারখানার উৎপাদন স্থানে নিয়ে যাওয়া নিষেধ। এগুলো কারখানার অভ্যন্তরে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতে হবে।

০৫। প্রতিটি কর্মচারী কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির হবার সময় তাদের জন্য নির্ধারিত মেশিনে ফিঙ্গার পাঞ্চ করবে।

০৬। কার্য্যকালীন সময় শ্রমিকগন তাদের নির্দ্দিষ্ট বিভগে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন ব্যতীরেকে এক বিভাগের শ্রমিক অন্য কোন বিভাগে যেতে পারবেনা। যদি কোন শ্রমিককে অপ্রয়োজনে অন্য কোন বিভাগে পাওয়া যায় বা নিষিদ্ধ এলাকায় পাওয়া যায়, তবে অন্যত্র যাওয়ার কারন তদন্ত করে দেখা হবে।

০৭। অসুস্থতা ছুটি ব্যতীত অন্য কোন ছুটির ক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রমিক ছুটিতে যাবার পূর্বে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহন করবেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সময় উক্ত শ্রমিকের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনে রাখবে।

০৮। কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান হলে তার চুড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধের পূর্বে তিনি তার অধীনে থাকা পরিচয়পত্র মূল্যবান দ্রব্যাদি জমা দিবেন।

০৯। সকল শ্রমিকের চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাই করা হবে। কোন শ্রমিক কোন ধরনের অবৈধ কার্য্যকলাপের সাথে জড়িত হবে না। যদি কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্য্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয় এবং তদন্তে যদি তা প্রমানিত হয়, তবে কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে চাকুরীচ্যুত সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট হন্তান্তর করবে।  

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

সন্ত্রাসী প্রতিরোধ নীতিমালাঃ

সন্ত্রাসী কার্যক্রম বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলার লক্ষ্যে --------------------- লিঃ এর কর্তৃপক্ষ একটি সুদক্ষ সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল দ্বারা অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা হুমকি দেওয়া হতে পারে, সেগুলো হলোঃ

() বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা হামলাঃ বহিরাগত সন্ত্রসীরা পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে পারে। ব্যাপারে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ বহিরাগত প্রবেশ রোধকল্পে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রাখে। কারখানা কর্মকর্তা, কর্মচারী শ্রমিকবৃন্দ কেউ তার সঠিক পরিচয় প্রদান ব্যতিরেকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। ভুয়া পরিচয় দিয়ে কেউ যেন কারখানার  অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি কর্মকর্তা,কর্মচারী শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র পরিহিত অবস্থায় কারখানায় প্রবেশ করতে হয় এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময়ে পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকতে হয়। বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা কোন কর্মকর্তা,কর্মচারী বা শ্রমিক অথবা নিরাপত্তা কর্মীগন যদি কোন ধরনের হুমকির সম্মূখীন হয়, তবে তা অবিলম্বে প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করবে।

() টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকিঃ সন্ত্রাসীরা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করতে পারে। টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি পাওয়া মাত্র ঘটনাটি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে। প্রশাসনিক বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

() কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক রেখে হুমকিঃ কারখানার অভ্যান্তরে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে কারখানার অভ্যান্তরে বোমা রাখিয়া কোন সন্ত্রাসী গোষ্টী বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা কোন অপরিচিত ব্যক্তি হুমকি দিতে পারে। এটিকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। এধরনের হুমকি পাওয়া মাত্র নিরাপত্তা বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে। বিষয়টি গুজব না সত্যি তা জানার  জন্য নিরাপত্তা প্রশাসনিক বিভাগ প্রথমে এর অবস্থান সনাক্ত করবে। অবস্থান সনাক্ত করার পর যত দ্রæ সম্ভব কারখানা খালি করে সকলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। তাৎক্ষনিক ভাবে  বিষয়টি স্থানীয় থানা, র‌্যাব অফিস এবং দমকল বিভাগে জানাতে হবে। বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ ব্যতিত অন্য কেউ বোমা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করবেনা। বিষ্ফোরক দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং তা প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা প্রহরী প্রতিটি পরিদর্শনকারীর ব্যাগ চেক করার পর তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগত জিনিষপত্র কারখানার অভ্যন্তরে আনা নেওয়ার সময় ভালোভাবে পর্যবেক্ষন নিরিক্ষন দ্বারা নিশ্চিত করা হয় আনীত বস্তু দ্বারা কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্ভব নয়।

সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আগুন ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা যায়, এমন কিছু ক্ষতিকারক দ্রব্য যেমন, ম্যাচ বাক্স গ্যাস লাইট জাতীয় দাহ্য পদার্থের ব্যবহার কারখানার অভ্যন্তরে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

() কর্মরত শ্রমিক দ্বারা দাঙ্গা হাঙ্গামাঃ কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগনও অনেক সময় দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে কারখানার অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটাতে পারে। এজন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের সময় প্রতিটি শ্রমিকের চারিত্রিক সনদপত্র যাচাই পূর্বক নিয়োগ প্রদান করে থাকে এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ফাইলে চারিত্রিক সনদপত্রের ফটোকপি সংরক্ষন করে থাকে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি শ্রমিকের ইতিহাস খোজ নিয়ে ব্যক্তিগত ফাইলে সংগ্রহ করে থাকে। কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে যেন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা সংগঠিত না হয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সেদিকে দৃষ্টি রাখে।

() বরখাস্ত অবসানকৃত শ্রমিক ¦ারা হুমকিঃ বরখাস্তকৃত বা মালিক কর্তৃক অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারাও কারখানা কর্তৃপক্ষ অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। বরখাস্ত অবসানকৃত শ্রমিকবৃন্দ তাদের বরখাস্তের কারণ স্বরূপ কর্তৃপক্ষ বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের হুমকি দিতে পারে। বরখাস্তকৃত অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারা কারখানার অভ্যন্তরে ক্ষতিসাধনের সম্ভাবনা থাকতে পারে বিধায় তাদের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এজন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিটি বরখাস্তকৃত এবং অবসানকৃত শ্রমিকের ছবি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের তাদের সম্পর্কে অবগত করে থাকে। কেউ ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলে সাথে সাথে বিষয়টি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।

() -মেইলের মাধ্যমে হুমকিঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুল প্রচলিত একটি মাধ্যম। দ্রæ যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কর্তৃপক্ষ -মেইল ব্যবহার করে থাকে। -মেইলের মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হতে পারে। তাই -মেইল ব্যবহারকারীগন কখনো এই ধরনের হুমকি পেলে সাথে সাথে আইটি বিশেষজ্ঞ প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

() মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমেঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মেইল বা পার্সেলের ব্যবহারও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। পার্সেলের মধ্যে এ্যানথ্রাক্স দ্বারা অনেক দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমাদের দেশেও ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমে যাতে কোন দুর্ঘটনা না থেকে সে লক্ষ্যে সকল মেইল বা পার্সেল অসার পর ভালোভাবে চেক করার পর সঠিক ব্যক্তির নিকট পাঠানো হয়।

উপরোক্ত মাধ্যমগুলো দ্বারা আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হতে পারে। ব্যাপারে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।----এর কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে শ্রমিকদের প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করে তুলে, যাতে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলা করা সম্ভব হয় এবং কর্তৃপক্ষ মাঝেমাঝে হামলার শ্রেনীবিভাগ পর্যালোচনা করে দেখবেন এবং কোন নতুন সংযোজন হলে তা সংযোজন করবেন।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা মূল্যায়ন নীতিমালাঃ

--------------------------লিঃ এর কর্তৃপক্ষ আশা করে, প্রতিষ্ঠান যে নিরাপত্তা নীতিমালা প্রনয়ন করেছে তাহা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীবৃন্দ মানিয়া চলিবে। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীবৃন্দ উক্ত নীতিমালা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করছে কি না তা যাচাই করার জন্য নিম্নোক্ত নিরাপত্তা মূল্যায়ন নীতিমালা অনুস্বরণ করে থাকে।

§  প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর চেক লিষ্ট অনুযায়ী পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

§  পরিদর্শনের সময় নির্ধারিত ছক মোতাবেক কোন কার্যক্রম সঠিক ভাবে পাওয়া না গেলে অবশ্যই উহা রেকর্ড করতঃ চেক লিষ্টটি প্রশাসন শাখায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরন করা হয়।

§  প্রশাসন শাখা দ্রæ কার্য সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবগত করে থাকেন।

§  Assessment Check List উল্লিখিত বিষয় সমূহ যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে।

§  নিরাপত্তা কর্মকর্তা Assessment Check List পরীক্ষা নিরীক্ষা করতঃ উক্ত রেকর্ড সংরক্ষন করবেন।

 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

ব্যবসায়িক অংশিদারদের পর্যায়ক্রমিক ভাবে রিভিউ এবং নিরাপত্তা বিষায়ক নীতিমালাঃ

-------------------------লিঃ ব্যবসায়িক অংশিদারদের উন্নতি, কমপ্লায়েন্স, পন্যের গুনোগত মান নিরাপত্তার জন্য কঠোর নীতিমালা অনুসরন করে থাকে। দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ সাপ্লায়ারদের পণ্যের গুনগত মান, উন্নতি নিরাপত্তার সকল বিষয় সামনে রেখে পর্যায়ক্রমিক ভাবে প্রতি বছর রিভিউ নিয়মিত ফলো আপ করে থাকে। জন্য -------------------- সতন্ত্র নীতিমালা আছে এবং ---------------------------লিঃ তার নীতিমালা আনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে। নীতিমালার প্রতিটি পয়েন্ট নিন্মে দেয়া হল এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে নীতিমালার প্রতিটি বিষয় যথাযথ ভাবে মেনে চলার জন্য বলা হলোঃ

সাপ্লায়ারকে ----------------------------লিঃ নীতিমালার প্রতিটি বিষয় বায়ারের চাহিদার বিষয়ে ভালোভাবে অবগত করতে হবে।

. প্রতি বছর সাপ্লায়ারের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করতে হবে এবং দেখতে হবে সাপ্লায়ার কমপ্লায়েন্স। তাছাড়া গুনোগত মান নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না।

. সাপ্লায়ারের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মত স্পর্ষকাতর বিষয় গুলো ঠিক আছে কি না সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

. সাপ্লায়ার ফ্যাক্টরীতে কর্মরত নিরাপত্তার জন্য সাপ্লায়ার কি কি পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে।

কোন বিষয়ে কোন গরমিল, যা ----- নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন ত্রæটি বা কোন অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে তাগিদ দিতে হবে। আমাদের নিকট অবশ্যই নোট রাখতে হবে এবং পরবর্তীতে ফলোআপ করে দেখতে হবে যে, তারা কি ধরনের সমাধান করেছে।

প্রয়োজন অনুযায়ী সমস্যা সমাধানে ----- কমপ্লায়েন্স এবং মার্চেন্ডাইজিং টিম সাপ্লায়ারের সাথে নিয়মিত মিটিং করে থাকবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব কর্তব্যঃ

প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় নিরাপত্তা বিভাগ প্রধান ভূমিকা পালন করে। -------লিঃ তার প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় একটি প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা ২৪ ঘন্টা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রহরীদের প্রধান হিসাবে যিনি কর্মরত থাকিবেন প্রতিষ্ঠান তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব অর্পন করিয়াছে। তিনি নিম্নোক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধ থাকিবেনঃ

০১। সমস্ত কারখানার নিরাপত্তা প্রধান হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা পরিদর্শক হিসাবে কাজ করবেন।

০২। তিনি সপ্তাহের প্রথমে তার নিরাপত্তা প্রহরীদের কার্য্যস্থল বন্টন করে দিবেন এবং তার একটি প্রতিলিপি প্রশাসনিক বিভাগে জমা দিবেন।

০৩। তিনি তার অধীনন্থ প্রহরীদের প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে কারখানার যে কোন দ্রব্য সামগ্রী/যন্ত্রপাতি চুরি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র মূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করবেন।

০৪। তিনি নিরাপত্তা মহড়া যেমন, তল্লাসী, গাড়ী চেকিং, কর্মচারীদের যাতাযাত ইত্যাদি পর্যবেক্ষন করবেন।

০৫। তিনি বিভিন্ন গেট পাসে প্রতি স্বাক্ষর করবেন এবং গেট পাস চালান পরীক্ষা করে মাল বাহির হবার অনুমতি দিবেন।

০৬। বিশেষ অতিথি/পরিদর্শকদের সাদরে গ্রহন করবেন এবং তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করে যথাযথ স্থানে নিয়ে যাবেন।

০৭। তিনি বিভিন্ন দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাদের পরিচয়পত্র বা অন্য কোন মাধ্যম দ্বারা তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পর নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে এন্ট্রি করে সঠিক সময় লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর রেখে দর্শনার্থীকে পরিচয়পত্র প্রদান করে, ক্ষেত্র বিশেষে তিনি নিজে বা তার অধীনস্থদের দ্বারা দর্শনার্থীকে যথাযথ স্থানে পৌছে দিবেন।

০৮। নির্দিষ্ট সময় পরপর গার্ডদের প্রেরণা প্রদান এবং শিক্ষনীয় ক্লাস পরিচালনা করবেন।

০৯। নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে আগত এবং ফ্যাক্টরী হতে বহির্গত দ্রব্য সামগ্রীর রেকর্ড সংরক্ষন করবেন।

১০। তিনি প্রতিদিন মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোষ্টে গিয়ে তার অধীনস্তদের কার্যাবলী প্রত্যক্ষ করবেন। এবং নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। তিনি যদি প্রয়োজন মনে করেন কারো পোষ্ট তিনি বদল করতে পারবেন।

১১। তিনি মাঝে মাঝে সমস্ত কারখানার চারিপাশে ঘুরে দেখবেন কোন ক্ষতিকর কোন কিছু আছে কিনা এবং কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করবেন।

১২। রপ্তানীকৃত পন্যের ক্ষেত্রে কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যান পন্য লোডিং করার পূর্বে সমস্ত কন্টেইনার/কাভার্ড ভ্যানটি চেক করবেন এবং নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।

১৩। আমদানী পন্য নিয়ে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান কারখানায় আসার পর তিনি প্রথমে গাড়ীটির সীল চেক করবেন এবং কোন অসামঞ্জস্যতা পেলে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

১৪। তিনি প্রতি সপ্তাহে একদিন তার অধীনন্থ প্রহরীদের নিয়ে আধা ঘন্টা ব্যাপী প্যারেড পরিচালনা করিবেন।

১৫। তিনি সাপ্তাহিক সভার মাধ্যমে তার অধীনন্থ প্রহরীদের কর্তব্য কার্য্যাবলী, বিভিন্ন ধরনের হুমকির ক্ষেত্রে করনীয় বিষয় আভ্যন্তরীন যে সমস্ত ষড়যন্ত্র হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা দিবেন।

১৬। তিনি প্রতি সাপ্তাহিক সভার মাধ্যমে তার অধীনন্থ প্রহরীদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়মাবলী সম্পর্কে ধারনা দিবেন।

১৭। তিনি প্রতি মাসে কারখানার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করবেন এবং উক্ত মাসে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ভঙ্গের একটি প্রতিবেদন প্রশাসনিক বিভাগে পেশ করবেন।

১৮। রাত্রীকালীন প্রহরার সময় কোন দূর্ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তা কর্মকর্তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

১৯। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ ব্যক্তিদের তালিকা ব্যতীত যে কোন ব্যক্তিকে কারখানায় অবস্থানকালীন সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।

২০। কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ন্যায় সংগত আদেশ অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে।

২১। CCTV Camera এর Monitor পর্যবেক্ষন করবেন এবং অস্বাভাবিক কিছু দেখলে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

 

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব কর্তব্যঃ

নিরাপত্তা প্রহরী হলো একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। --------------------- লিঃ এর কর্তৃপক্ষ তাদের সুদক্ষ সুশৃংখল নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা ২৪ ঘন্টার প্রহরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করে চলছে। নিরাপত্তা প্রহরীগন যে সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে তা হলোঃ

০১। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকিবে।

০২। তারা বাহিরের লোক থেকে শ্রমিক এবং প্রতিষ্ঠানের মালামাল রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবে।

০৩। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা দর্শনার্থীদের সাথে সবসময় সৌজন্যমূলক আচরন করবে। তারা যদি কারো নিকট থেকে অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয় তবে সাথে সাথে তা কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

০৪। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। কার্য্যকালীন সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা ব্যতিত অন্যত্র কোথাও যাওয়া যাবেনা।

০৫। যে কোন পন্য কারখানার বাহিরে নিয়ে যাওয়া এবং কারখানায় নিয়ে আসার রেকর্ড সংরক্ষন করতে হবে।

০৬। কারখানার কর্মচারীদের কারখানায় প্রবেশ বাহির হওয়ার সময় শৃংখলা বজায় রাখতে হবে।

০৭। প্রত্যেক শ্রমিককে চেকিং এর মাধ্যমে কারখানার যে কোন দ্রব্য সামগ্রী চুরী প্রতিরোধ করতে হবে।

০৮। নিরাপত্তা প্রহরীগন বহির্গমন এবং অন্তঃগমন যে কোন বস্তু নিয়ন্ত্রনের জন্য পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকিবে এবং নিশ্চিত করবে যে কোন অনাকাক্ষিত বস্তু কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিবেনা এবং নির্দিষ্ট কাগজপত্র ব্যতীত কোন পন্য কারখানার বাহিরে যাবে না।

০৯। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রধান দরজায় নজর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সময় মোতাবেক দরজা খুলবে।

১০। বৈদুতিক বিপর্যয়ের সময় তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত না জেনারেটর চালূ হয় এবং চারিদিকে নজর রাখবে।

১১। নিরাপত্তা প্রহরীগন কারখানার অভ্যন্তরে যে কোন সন্দেহ ভাজনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।

১২। ফ্যাক্টরীতে আগত কোন অতিথি/দর্শনার্থীদের সুশৃঙ্খল ভাবে অভ্যর্থনা জানাতে হবে এবং স্বল্প সময়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পূন্ন করে তাদেরকে যথাযথ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সাক্ষাত প্রার্থীর নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই দর্শনার্থীদের সাথে অবস্থান করবে।

১৩। পন্য লোডিং/আনলোডিং করার সময় কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যাতে কাভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারের আশে পাশে আসতে না পারে সেদিকে তীক্ষœ নজর রাখতে হবে।

১৪। কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরকে কারখানার অভ্যন্তরে পাওয়া গেলে তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার না করে সাথে সাথে তাকে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।

১৫। রপ্তানী পন্য উৎপাদিত পন্য এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় সঠিক হিসাব রাখতে হবে।

১৬। কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যেন প্যাকিং বা উৎপাদিত পন্য এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য যারা প্যাকিং বা উৎপাদিত পন্য এলাকায় প্রবেশ করতে চায় তাদের প্রত্যেকের পরিচয়পত্র সঠিকভাবে চেক করতে হবে এবং নির্দ্দিষ্ট রেজিষ্টারে তাদের নাম লিখে রাখতে হবে।

১৭। মাঝে মাঝে প্যাকিং বা উৎপাদিত পন্য এলাকায় আকষ্মিক পরিদর্শন করতে হবে যাতে কোন বৈধ প্রবেশকারী ব্যক্তির দ্বারা কোন ক্ষতিকর কিছু না ঘটে থাকে।

১৮। প্যাকিং বা উৎপাদিত পন্য এলাকা থেকে কি কি পন্য বাহির হবে, তা চালান দেখে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে, চালানে লিপিবদ্ধ পন্য ব্যতীত অন্য কোন পন্য বাহির হয় কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১৯। কারখানায় প্রবেশ বাহির হবার সময় শ্রমিক, কর্মচারীগন পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা এবং পরিচয়পত্র ব্যতীত কারখানায় প্রবেশকারীদের তালিকা মানব সম্পদ বিভাগে দেওয়া।

২০। কারখানা প্রবেশের সময় নিজস্ব ব্যক্তিগত দ্রব্যাদি ছাড়া অন্য কোন দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা।

২১। কারখানায় প্রবেশের সময় যদি কাউকে সন্দেহ হয় তবে তার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি তথা, হাতব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিয়ার ইত্যাদি খুলে পরীক্ষা করতে হবে, যদি কোন অবৈধ দ্রব্যাদি পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।

২২। কারখানার বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় বা রাত্রীবেলা দায়িত্ব পালন করার সময় মাঝে মাঝে কারখানার চতুদিকে ঘুরে দেখতে হবে। কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। দুর্ঘটনার প্রকৃতি অনুযায়ী স্থানীয় র‌্যাব অফিসেও খবর দিতে হবে।

২৩। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময় কারখানার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যদি জোরপূবর্ক কারখানার অব্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে বা কারখানার ভিতরে কোথাও পাওয়া গেলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ অফিসেও জানাতে হবে।

২৪। কারখানা বন্ধকালীন অবস্থায় কোন পন্য আসলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেট খুলতে হবে এবং পন্যটি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখে দিতে হবে।

২৫। পরিচয়পত্র ব্যতিত কোন শ্রমিক/কর্মচারীর প্রবেশাধীকার বর্গিমন নিয়ন্ত্রনে রাখবে।

২৬। নিরাপত্তা প্রহরীগন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সময়মতো প্রতিবেদন পেশ করবেন।

২৭। নিরাপত্তা প্রহরীগন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবে না।

২৮। নিরাপত্তা বিভাগ যে কোন ধরনের জরুরী প্রয়োজনে উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করবে।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

উপসংহারঃ

 

--------------------------এর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক কারখানা নিরাপত্তা এবং পন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নিরাপত্তা নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা কর্মীদল দ্বারা ২৪ ঘন্টা তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রহরা দিয়ে যাচ্ছে। এই নীতিমালার কার্য্যকারীতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং দর্শনার্থী বা ক্রেতা, প্রত্যেকে এই নীতিমালা মেনে চলবে। প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা মূলক নীতিমালাকে সুসংগঠিত করবে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এই নিরাপত্তা নীতিমালা মূল্যায়ন যাচাই করবে এবং কোন সংযোজন বা বিয়োজন প্রয়োজন হলে তা করবে।

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ