শিল্প কারখানায় হ্যান্ড বুকের নমুনা (Hand books in Industrial Factories)

Worker Hand Book (শ্রমিক সহায়িকা)

 

------------------ লিঃ কর্মরত সকল কর্মচারীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নিয়ম নীতি সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় ধারনা প্রদান করাই হ্যান্ডবুক (Hand Book) এর উদ্দেশ্য। এই নীতিমালা বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং বায়ারদের/ক্রেতাদের/আচরন বিধি/নিয়মনীতি তৈরী হয়েছে যা দ্বারা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের প্রচলিত  আইন এবং আইএলও কনভেনশন এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বই এর বিভিন্ন ধারা পরিবর্তন যোগ্য।

 

আরো জানতে-কারণ দর্শানো নোটিশের খুঁটিনাটি || Showcase Letter

প্রনয়নেঃ      (এইচ, আর এ্যান্ড কমপ্লায়েন্স)

                  ---------------------------------

                  ---------------------------------                                                

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৮) বিধিমালা-২০১৫ এর আলোকে শ্রমিক নিয়োগের নীতিমালাঃ

বাংলাদেশ কারখানা আইনের সারাংশ নিম্নে দেওয়া হল:

কোন কারখানাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রনের জন্য কারখানার নিজস্ব নীতিমালা থাকতে পারে। কিন্তু রূপ নীতিমালা আইনে বর্নিত সুবিধা হতে কম হতে পারবে না।

উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট দক্ষ, অদক্ষ্য, কারিগরিক বা করনিক কাজে লিপ্ত সকলকেই কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।

জনবলের আভিধানিক বিষয় হল- বয়স্ক, কিশোর, শিশু।

() বয়স্ক ব্যক্তি (Adult) -  যে ব্যক্তি তার ১৮ বছর  বয়সকাল পূর্ণ করেছে।

() কিশোর (Adolescent) - যে ব্যক্তির বয়স ১৪ বছরের অধিক কিন্তু ১৮ বছরের নিচে।

() শিশু (Child) - যে ব্যক্তি তার ১৪ বছর বয়স কাল পূর্ন করে  নাই।

আরো জানতে-মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কার্যাবলী


শ্রমিকের শ্রেনীবিভাগঃ 

কোন কারখানাতে নিযুক্ত এক জন শ্রমিকের কাজের প্রকৃতি এবং অবস্থানুযায়ী এবং আইনের বিধান মোতাবেক টি ভাগে বিভক্ত। করনিক প্রকৃতির কাজে শ্রমিকের অবেক্ষমানকাল মাস হবে এবং অন্যান্য শ্রমিকের জন্য মাস হবে।


ক। শিক্ষানবীশ (Apprentice): শিক্ষানবীশ  বলতে অস্থায়ী  পদে যে শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষন গ্রহন কালে ভাতা দেওয়া হয় তাকে বুঝাবে।

খ। শিক্ষাধীন (Probationer): শিক্ষাধীন বলতে বুঝায় যে শ্রমিককে একটি স্থায়ী শূন্যপদ পূরনের জন্য অস্থাযীভাবে নিযুক্ত করা হয়।

গ। স্থায়ী (Permanent): স্থায়ী শ্রমিক বলতে কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত হয়েছে বা যে শ্রমিক সন্তোষজনকভাবে অপেক্ষাদধীন মেয়াদ সমাপ্ত করেছে তাকে বুঝাবে।

ঘ। অস্থায়ী শ্রমিক (Temporary):  অস্থায়ী শ্রমিক বুঝাবে মূলত অস্থায়ী ধরনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিক এবং যে কাজ সম্ভবত সীমিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত হবে তাকে বুঝাবে।

ঙ। সাময়িক শ্রমিক (Casual):  সাময়িক শ্রমিক বলতে যে শ্রমিকের নিয়োগ সাময়িক ধরনের তা বুঝাবে।

চ। বদলী  (Badli) বদলী বলতে সাময়িকভাবে অনুপস্থিত স্থায়ী শ্রমিকের অথবা প্রবেশনার শ্রমিকের পদে নিয়োজিত বঝাবে।

ছ। মেীসুমী  শ্রমিক (Seasonal ):  মেীসুমী  কাজে যিনি নিযুক্ত হন।

আরো জানতে-ছুটির প্রকারভেদ ও বিবিধ

শ্রমিক নিয়োগের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

১।   আমরা সকল শ্রমিককে ন্যায় সংগত উপায়ে নিয়োগ করে থাকি।

২।   আমরা ১৮ বছর বয়সের নীচে কাউকে নিয়োগ প্রদান করি না।

৩। নিয়োগ ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম-বর্ণ বা লিঙ্গ ভেদে কোনরূপ বৈঘম্য বা পক্ষপাতমূলক আচরন করা হয় না।

৪।     আমরা শুধু মাত্র স্বেচ্ছায় অংশগ্রহন কারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকি।

৫।    নিয়োগ কালে কোনরূপ অগ্রীম আর্থিক জামানত রাখা হয় না।

৬।  শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন, পোষ্টার বা নোটিসের মাধ্যমে পদ উল্লেখ পূর্বক দরখাস্ত আহবাবান করা হয়।

৭।  আবেদন কারীকে পূর্ণাংগ জীবন বৃত্তান্ত (তিন) কপি পাস পোর্ট সাইজ ছবি সহ পদ উল্লেখ পূর্বক জমা দিতে হয়।

৮। কোম্পানীর নিয়োগ কমিটি কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ভিত্তিতে কর্মী বাছাই করে থাকেন।

 ৯। বাছাইকৃত কর্মীকে তার বয়সের প্রমান পত্র হিসেবে মাধ্যমিক / উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত কপি অথবা পৌরসভা / সিটি কর্পোরেশনের জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি প্রদান করতে হবে।

১০।   উপরোক্ত প্রমানাদির অনুপস্থিতিতে কোম্পানীর নিজস্ব ডাক্তার দ্বারা বয়স পরীক্ষা করা হয়।

১১।  নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীকে তা বেতন-ভাতা, পদ চাকুরীর শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।

১২। শিক্ষানবিশ হিসাবে নিয়োগ দানকালে সন্তোষজনক কাজের মান সাপেক্ষে (তিন) মাস/৬মাস মেয়াদকাল পরেই স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়।

 ট্রেনিং সুবিধাদিঃ নিমোক্ত প্রশিক্ষন প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচালনা করা হয়।

ক। ব্যবস্থাপনা প্রশাসন।

খ। স্বাস্থ্যও নিরাপত্তা।

গ। মানবিক অধিকার।

ঘ। ফাষ্ট এইড।

ঙ। ফায়ার ফাইটিং।

চ। রক্ষাবেক্ষন।

আরো জানতে-নতুন নিয়োগকৃত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রশিক্ষন ও বিস্তারিত আলোচনা || New Employee orientation training

নিরাপত্তা (Safety)

ফ্যাক্টরীতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সমন্ধে সচেতন থাকা বাঞ্চনীয়। ফ্যাক্টরীতে কর্মরত থাকাকালীন নিমোক্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত সম্মিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরূরী

ক। মেশিন সংক্রান্ত নিরাপত্তাঃ(Mechanical Safety): 

মেশিন চালনার পূর্বে মেকানিক্স/অপারেটর কর্তৃক নিরিক্ষা করে চালনা শুরূ করবে। যে অংশের দ্বারা যে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সে সব ক্ষেত্রে দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রত্যেককে সচেতন হওয়া এবং নির্দেশ মোতাবেক  কর্যকরী ব্যবস্থা  গ্রহন বাধ্যতামূলক।

খ। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা(Electrical Safety):

নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া বৈদ্যুতিক ব্যাপারে  হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এই ব্যাপারে ব্যক্তিগত সমষ্টিগতভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্চনীয়।

গ। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা(Personal Safety):  

ফ্যাক্টরীতে অবস্থানকালীন বিশেষ করে কর্মসম্পাদনের চলাচলের সময় নিরাপত্তার প্রতি প্রত্যেককে যতবান হওয়ার জন্য বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।

ঘ। অগ্নি থেকে নিজেকে/ সম্পদকে রক্ষা করা (Save from fire own & Assets):

ফ্যাক্টরীতে অগ্নিরোধের ব্যাপারে কিংবা অগ্নিনির্বাপনের জন্য বিভিন্ন দল রয়েছে। কোনভাবেই আতঙ্ক গ্রস্থ না হইয়া নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা বাঞ্চনীয়। ব্যক্তিগত সচেতনতার মাধ্যমে  ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

মজুরী  অধ্যাদেশ ২০১৯ (সংশোধিত) এর আলোকে  নিম্নতম মজুরীর হার ভাতার নিতীমালা 

নিম্নতম মজুরীর হার ২০০৬ সনের শ্রম আইনের ধারা-১৩৮,১৩৯ গেজেট বিজ্ঞপ্তি ২৪ জানুয়ারী ২০১৯)

ওভার টাইম প্রতিঘন্টা:  মূল মজুরী  /২০৮*২*ঘন্টা

বেতন ভাতা পরিশোধঃ পরবর্তী মাসের কর্ম দিবসের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয়।

বেতন সুবিধাদিঃ

ক। বাড়ী ভাড়া মূল মজুরীর অর্ধেক

খ। চিকিৎসাভাতা ৬০০ 

গ। মুল মজুরীর  সমপরিমান বৎসরে ২টি  উৎসব বোনাস প্রদান করা হয় (তবে কর্মীকে অবশ্যই বৎসর চাকুরী করতে হবে)

ঘ। শ্রমিককে বাৎসরিক নুন্যতম % বেতন বৃদ্ধি পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

আরো জানতে-বাংলাদেশ শ্রম আইনে ১০ দিনের অধিক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার করণীয় ও পদ্ধতিঃ Absenteeism letter in Bangla

শ্রমিকদের আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিঃ

প্রাপ্ত বয়স্কদের কাজের সময় (ঘন্টা

ক। সকাল ৮ টা থেকে টা (দুপুরে খাবারের ঘন্টা বিরতি সহ)

খ। প্রতিদিন ঘন্টা ,সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা।

গ।ওভার টাইম প্রতি দিন ঘন্টা, সপ্তাহে ১২ ঘন্টা

ঘ। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার (পরিবর্তনীয়)

ঙ। সনাক্ত করার জন্য প্রতিটি কর্মীর আলাদা আই ডি কার্ড প্রদান করা হয়।

ছুটির ধারা (৪৬,১১৫-১১৮):

ক। নৈমিক্তিক ছুটিঃ বৎসরে ১০ দিন পূর্ন বেতন সহ।

খ। অসুস্থ্যজনিত ছুটিঃ  বছরে ১৪ দিন পূর্ন বেতন সহ।

গ। বার্ষিক ছুটিঃ প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ১৮ দিন কর্ম দিবসের জন্য দিন (তবে তাকে কারখানার অব্যাহতভাবে বছর কাজ করতে হবে)

ঘ। পর্ব ছুটি (উৎসব): বৎসরে ১১ দিন পূর্ন বেতন সহ।

ঙ। প্রসূতিজনিত ছুটিঃ 

১৬ সপ্তাহ ( সপ্তাহ প্রসব পূর্ববর্তী সপ্তাহ পরবর্তী ) তবে তাকে অন্ততঃ পক্ষে প্রসবের পূর্বে মাস কাজ করতে হবে। ছুটি জন্য চিকিৎসকের প্রত্যায়ন পত্র সহ পূর্বে আবেদন করতে হবে। ১১২ দিনের সুবিধা প্রদান করা হয়  ছুটি শুধু মাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

অন্যান্য সুবিধাদি (নিশ্চিত করা হয়েছেঃ

কর্মরত অবস্থায়/আহত হলে চিকিৎসা ঔষুধ সুবিধা (বিনামূল্যে)

খ। প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা (প্রতি ফ্লোরে)

গ। বিশ্রাম আহারের জন্য বিরতি।

ঘ। বিশুদ্ধ খাবর পানির ব্যবস্থা

ঙ। ভোজন কক্ষের সুবিধা।

নবজাতক শিশুকে দুধ পানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

ছ। কর্মরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ে জন্য গেইট পাস প্রদান।

জ। হাত মুখ ধোয়ার সুবিধা সহ সকল কল্যানমূলক ব্যবস্থা

ঝ। কারখানা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা সহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা

ঞ। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পুরুষ মহিলা শ্রমিকের জন্য আলাদা পায়খানা প্রসাব খানার ব্যবস্থা।

ট। উভয় দিক থেকে মহিলা পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন প্রবেশ বাহির পথ।

ঠ। ফায়ার এলার্মের ব্যবস্থা এবং মাঝে মধ্যে তা বাজিয়ে পূর্ন  অনুশিলনের ব্যবস্থা।

ড। অগ্নিকান্ডের সর্তকতা পোষ্টার সহ প্রতি ফ্লোরে ফায়ার এসটিংগুইসারের ব্যবস্থা।

ঢ। প্রতি ফ্লোরের জরুরী ব্যবস্থা বর্হিগমন পরিকল্পনার (Emergency Evacuation Plan)ব্যবস্থা সহ তা সকলকে জ্ঞাত করা।

ন। ফায়ার ফাইটিং,প্রাথমিক চিকিৎসক দল এবং উদ্ধারকমী গঠন সহ প্রক্ষিনের ব্যবস্থা।

আরো জানতে-How to write an Appointment Letter In English

সংক্ষিপ্ত ছুটি গ্রহন সংক্রান্ত নীতিমালাঃ

প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের সুযোগ/সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে উদারমনা। প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রমিকদেরকে সরকার কর্র্তৃক ঘোষিত ছুটি সমুহ ছাড়াও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ছুটি প্রদান করে থাকে ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ছুটি প্রদানের নিমিত্তে  নিম্নে বর্নিত নীতিমালা অনুসরন করা হয়ঃ

ক। সংক্ষিপ্ত ছুটি নিতে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ছুটির কারনসহ বিষয়টি তার সুপারভাইজারকে অবহিত করবে।

খ। সুপারভাইজার শ্রমিকের সংক্ষিপ্ত ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহন যথাঃ বাহিরে যাওয়ার অনুমতি পত্র তৈরী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর গ্রহন  ইত্যাদি কার্যক্রম সমাপ্ত করবে। জন্য কোন অবস্থায়ই - মিনিটের অধিক সময় ব্যয়  করতে পারবে না।

গ। সংক্ষিপ্ত ছুটি গ্রহন শ্রমিকের অধিকার। এর জন্য তার বেতন/জমাকৃত ছুটি বা অন্য কোন ছুটি কর্তন করা হবে না।

ঘ। সংক্ষিপ্ত শ্রমিক স্বল্পকালিন ছুটি ভোগ করার পর কারখানায় প্রবেশ করে সরাসরি তার সুপারভইজারকে জানিয়ে কাজে যোগদান করতে পারে।। সংক্ষিপ্ত ছুটি গ্রহনের নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরন করা হয়। নীতিমালা কেহ লংঘন করলে তার বিরূদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষায়াদিঃ

 হয়রানী দূর্ব্যবহারঃ 

দৈহিক নির্যাতন অথবা দূর্ব্যবহার কিংবা দমনমূলক ব্যবহার, সে মানসিক অথবা দৈহিক যাই হোক না কেন তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এতদক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শ্রম আইনে বর্নিত শাস্তিদান পদ্ধতি অনুসরনীয় হবে।

অভিযোগ উত্থাপনের পদ্ধতিঃ মালিকের কাছে কোন শ্রমিকের ব্যক্তিগত কোন অভিযোগ থাকলে তা প্রথমে মালিকের গোচরে আনতে হবে এবং মালিক তার প্রতিকার না করলে সে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করতে পারে। শ্রমিক কর্তৃক তার অভিযোগ লিখিত ভাবে অভিযোগ বেক্স  ও মৌখিকভাবে কার যায় অভিযোগ নিরাশন কমিটি ও পিসি কমিটির মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হয়ে থাকে ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৩৩() ধারায় অভিযোগ নোটিশ পাঠানোর নিয়ম এবং  সময়সীমা বর্নিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারঃ  কোন কর্মচারীর কোন অভিযোগ যদি থাকে তা নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক সাক্ষাৎার গ্রহনের মাধ্যমে তাকে অনুপ্রানিত করা যায়।

মজুরী হতে কর্তনঃ  মজুরী পরিশোধ আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিকের মজুরি হইতে নিম্নোক্ত বিষয়ে কর্তন করা যাবেঃ

ক। কর্তব্যে অনুপস্থিত।

খ। মালামালের ক্ষতিসাধন,খোয়া যাওয়া অথবা অর্থের ক্ষতি।

গ। সরকারের সাধারন  বা বিশেষ নির্দেশ অনুসারে।

ঘ। অগ্রীম অথবা অতিরিক্ত মজুরী প্রদান করলে।

ঙ। আদালতের নির্দেশ বা ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে।

কোন শ্রমিক কোন কারনে কারখানা হতে চলে গেলে অবশ্যই পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কারখানার দাবী-দাওয়া অথবা শ্রমিকের পাওনা ইত্যাদি।

আরো জানতে-Maternity benefits and miscellaneous discussions ।। মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও বিবিধ আলোচনা

চাকুরী থেকে ছাটাই,কর্মচ্যুতি,বরখাস্ত,চাকুরি অবসান শাস্তি নিম্নে দেওয়া হলোঃ

ক। ছাঁটাই (Retrenchment)t (ধারা-২০) কর্মীকে মাসের নোটিশ অথবা তৎপরিবর্তে সমপরিমান সময়ের মজুরি সহ ছাটাই করা যাবে।

 ক্ষেত্রে  বছর চাকুরী পূর্ন  হলে ৩০ দিনের মজুরি ক্ষতিপুরন হিসাবে পাবে।

খ। কর্মচ্যুতি  (Discharge)t (ধারা-২২) দৈহিক বা মানসিক অক্ষমতার কারনে অথবা অসদাচরনের পর্যায়ে পড়ে এমন কারনে শ্রমিককে চাকুরী থেকে কর্মচ্যুত করা যেতে পারে। ক্ষেত্রে বছরের অব্যাহত চাকুরী পূর্ন  হলে ৩০ দিনের মজুরি ক্ষতিপুরন হিসাবে পাবে।

গ। বরখাস্ত (Dismissal)t কোন রুপ প্রারম্ভিক নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে বেতন প্রদানে অথবা কোন ক্ষতিপুরন ছাড়াই নিম্ন  লিখিত কারনে একজন শ্রমিকে চাকুরী হতে রবখাস্ত করা যেতে পারে।

অনৈতিক অপরাধের কারনে যদি সাজা পেয়ে থাকে অথবা সে যদি এই আইনের বর্নিত অসদাচররনর দায়ে দোষী সাব্যস্থ হয়।

ব্যাখ্যাঃ নিম্নলিখিত কার্য কলাপ অপরাধ অসদাচরন বলে বিবেচিত হবেঃ

* উপরস্থের কোন আইন সঙ্গত বা যুক্তি সঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে একক ভাবে বা অন্যের সংঙ্গে সংঘবদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;

* মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারনা বা অসাধুতা;

* মালিকের অধীন বা তাহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যপারে ঘুষ গ্রহন বা প্রদান;

* বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়ে এক সংঙ্গে দশ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;

* অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;

* প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লঙ্গন;

* প্রতিষ্ঠানে উচৃছংখল বা দাংগা-হাংগামামূলক আচরন অথবা শৃংঙ্খলা হানিকর কোন কর্ম;

* কাজ কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;

* প্রধান পরির্দক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংঙ্খলা বা আচরনসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লঙ্গন;

* মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদ বদল, জালকরন,অন্যায় পরিবর্তন,উহার রহিতকরন বা উহা হারাই ফেলা।

চাকুরীর অবসান (Termination) ধারা-২৭

ক। কোন স্থায়ী শ্রমিক, চাকুরী হতে অব্যহতি গ্রহন করতে চাইলে তাকে মাস পূর্বে জানাতে হবে অথবা মাসের মজুরী মালিকে প্রদান করতে হবে।

আরো জানতে-Procedures for hiring workers।। কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ধাপ বা পদ্ধতি

শ্রমিকদের সহিত আচরন সংক্রান্ত নীতিমালাঃ

------------- কর্মরত শ্রমিকদের সহিত শ্রম নীতিমালা অনুযায়ী আচরন সংক্রান্ত অবশ্য পালনীয় নীতিমালাঃ  শ্রমিকদেরকে গালাগালি, কটুক্তি, শারীরিক, মেীখিক এবং মানসিকভাবে নিযার্তন সম্পূর্ন নিষিদ্ধি। কাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানেত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

*শ্রমিকদের কোন অভিযোগ থাকলে তা আন্তরিকতার সাথে শুনতে হবে এবং দ্রুি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

* শ্রমিকদের কোন রকম আর্থিক দন্ড প্রদান করা যাইবে না অর্থাৎ বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করানো সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।

* শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা জোর পূর্বক ওভার টাইম করা নিষিদ্ধ।

* শ্রমিকে তার অধিকার হতে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ।

* শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুখ/দুঃখের অথবা সুযোগ সুবিধার প্রতি সহানুভুতিশীল হতে হবে।

* মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন অবস্থা সম্পর্কে কোন রুপ প্রশ্ন বা পরীক্ষা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।

* শিশু শ্রমিক ব্যতিত অন্যান্য সকল শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান বাধ্যতামূলক।

* যে কোন শ্রমিকরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সরাসরি অভিযোগ প্রদান করার নিয়ম আছে। ক্ষেত্রে দ্বিধাবোধ করলে অভিযোগ বাক্সেও মাধ্যমে পেশ করার অধিকার আছে। রুপ অভিযোগ ফ্যাক্টরীতে বিদ্যমান আছে।

* কোন শ্রমিক অসুস্থ/ আহত হলে ত্বরিৎ গতিতে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

* শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার আছে।

* জরুরী প্রয়োজনে সাময়িক ছুটি পাবার অধীকার প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার। ইহার জন্য কোনরুপ বেতন কর্তন করার নিয়ম নেই।

*এই কারখানায় যোগ্যতার ভিত্তিতে উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়।এই ক্ষেত্রে কোনরুপ উৎপাদনের সংখ্যা নির্ধারনের নিয়ম নেই। ইহা সম্পর্নভাবে নিষিদ্ধ। যোগত্যা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রমিকের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি পদোন্নতির সুযোগ/নিয়ম আছে। ক্ষেত্রে কোন রুপ বৈষম্য সম্পর্ন নিষিদ্ধ।

*এই কারখারনায় শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক যন্ত্রের ব্যবস্থা আছে। উহার ব্যবস্থা ,কার্যকারিতা সম্বন্ধে জানতে জানাতে সকল শ্রমিক ,কর্মচারী এবং কর্মকর্তাকে বিশেষ ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক শ্রমিকের কারখানায় প্রবেশ মাত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক যন্ত্র ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

অভিযোগ উত্থাপন/নিরসন সংক্রান্ত নীতিমালাঃ

অভিযোগ উত্থাপনঃ ---------- শ্রমিক/কর্মচারীদের সার্বিক কল্যান মঙ্গলের জন্য সর্বদা সতেষ্ট। ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অভিযোগ/সুপারিশ পেশের জন্য নিম্নে বর্নিত পদ্ধতি নীতিমালা অনুসরন করে।

ক। অভিযোগ/ সুপারিশ জানানোর জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্বার সব সময় সবার জন্য উম্মুক্ত।

খ। ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ভাবে শ্রমিকেরা তাদের অভিযোগ /সুপারিশ লিখিত/মৌখিক ভাবে নিম্ন বর্নিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানাতে পারে।

গ। শ্রমিকেরা পদানুযায়ী (Channel Wise) অভিযোগ জানাতে পারে অর্থাৎ সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা লাইন চফিকে ,লাইন চীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তা এপি এম এর নিকট , এপিএম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তা পি এম এর নিকট, পি এম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা জি এম  (প্রোডাক্টশন)/ জি এম এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স -এর নিকট উত্থাপন করা যাবে। জি এম  (প্রোডাকশন) / জি এম এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট জানান যাবে।

ঘ। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা পূর্বক অভিযোগ /সুপারিশ পেশের  ক্ষেত্রে কারখানার প্রতিটি ফ্লোরে পযার্প্ত সংখ্যক অভিযোগ /সুপারিশ পেশ সংক্রান্ত বাক্স স্থাপন করা আছে। শ্রমিকেরা ইচ্ছা করলে এই অভিযোগ/সুপারিশ কক্সের  মাধ্যমে তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে।

অভিযোগ নিরসন (Redress of Grievances))

ক। অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে  থাকে।    

খ। কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে সকল স্তরের শ্রমিকের সাথে মিলিত হন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ থাকলে তা আইন নীতিমালা মোতাবেক ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

গ। যে কোন শ্রমিক তাদের সুপারভাইজারের বিরূদ্ধে সরাসরি বা লিখিত ভাবে অভিযোগ জি এম  প্রোডাক্টশন/ এইচ আর  এন্ড কমপ্লায়েন্স কে বিনা বাধায় জানাতে পারে।

ঘ। ছাড়াও ফ্যাক্টরী ইনচার্জ মাসে অনন্ত একবার সমস্ত শ্রমিকদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে  কথোপকথনে মিলিত হয়ে থাকেন এবং সম্পর্কে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

ঙ। নীতিমালা কঠোর ভাবে অনুসরন করা হয়। অভিযোগ পেশের ক্ষেত্রে সকল অবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় নিশ্চয়তা আছে।

শৃংখলা রক্ষায় প্রচলিত নীতিমালাঃ

অত্র কারখানায় এক জন যোগ্য শ্রমিক যেমন যোগদান করতে পারেন, তেমনি ভাবে নিয়মনীতির ব্যপারে সচেতন না থাকলে সহজেই চাকুরী হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল শ্রমিকগণ দীর্ঘদিন অবস্থান করে অধিক উৎপাদনে সাহায্য করতে পারেন এবং অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে সক্ষম।

প্রতিটি ফ্যাক্টরীতে নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্ধারিত কিছনিয়ম রয়েছে। মূলত ফ্যাক্টরীতে কাজের পরিবেশ রক্ষা এবং প্রত্যেক শ্রমিককে ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যে নিন্মোক্ত নিয়ম পালন করা হয়ে থাকেঃ

ক। মেীখিকভাবে বুঝানো-----------------কমপক্ষে বার

খ। মেীখিকভাবে সতর্কতা করা----------- কমপক্ষে বার 

গ। কারন দর্শানোর নোটিশ -------------যতবার প্রয়োজন

ঘ। লিখিত সতর্কবানী------------------কমপক্ষে বার

*উপরোক্ত ব্যবস্থায় ফলাফল না পাওয়াগেলে নিয়ম মাফিক কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে।

কল্যায়ন মূলক ব্যবস্থাঃ

ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করা মালিক কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। সর্বদা যেইসব ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে তা নিন্মে উল্লেখকরা হলোঃ

প্রক্ষালনের সুযোগ সুবিধাঃ

* পুরুষ মহিলা শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পর্দাঘেরা ধৌতগারের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।

* অনুরুপ সুবিধাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সহজগম্য করার ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদিঃ

*প্রতিটি বিভাগে কাজ করার সময় নির্দিষ্ট সরঞ্জামাদি সহ প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স সহজগম্য স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাড়াও যাতে শ্রমিকগন সহজে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পেতে পারে  তার জন্য প্রতিটি বিভাগে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দুজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির তত্ত্ববোধানে বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ব্যক্তির ছবি বাক্সেও গায়ে লাগান এবং সহজে সনাক্ত করতে পারে এমন বিশেষ পোষাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মর্ম কথা

আমরা সর্বদাই আশা করি আমাদের শ্রমিকদের বাংলাদেশর প্রচলিত শ্রম আইন এবং কোম্পানীর নিজস্ব আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারনা থাকা উচিত। কোম্পানীর একটি ভালো এবং নিরাপদ পরিবেশ আমাদের ক্রেতাদেও গুনগতমানের পন্য সরবারহ করতে সাহায্য করবে। এই বইটিতে আমাদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং আমাদের কোম্পানীর নিয়ম নীতি পরিস্কার ভাবে বর্ণিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, সময়ের সাথে সাথে আমাদের কোম্পানীর নিয়ম নীতির বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে, এই পুস্তক সর্বশেষ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই হ্যান্ডবুক খানা আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়ক হবে।

আরো জানতে-পার্সোনাল ফাইল সম্পর্কিত ডকুমেন্ট ডাউনলোড

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ