ইংরেজী Comply শব্দ হতে Compliance শব্দের উৎপত্তি। Compy শব্দের অর্থ হলো মেনে চলা অন্যদিকে,Compliance শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো পরের ইচ্ছা পূরণে সম্মত হওয়াকে বুঝায়।Compliance শব্দের অর্থ হলো সম্মতি। অর্থাৎ কোন প্রস্তাবের পক্ষে মতামত প্রদান এবং সে অনুযায়ী কাজ করাকেই Compliance বলে।
কমপ্লায়েন্স বিভাগের বেসিক কাজগুলো কি কি?
১। কারখানার সকল স্তরে প্রযোজ্য সকল আইন ও বিধি বিধানের বাস্তবায়ন করা।
২। সঠিক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
৩। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ।
৪। ক্রেতা সাধারনের কমপ্লায়েন্স চাহিদা পুরণ করা। শ্রম আইনসহ বায়ারের কোড অফ কন্ডাক্ট এবং কোম্পানির নীতিমালা সম্পর্কে কোম্পানির সকলকে অবহিত করা ।
৫। কর্মীদের সকল প্রকার মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা ।
৬।। শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৭। কমপ্লায়েন্স অডিট কার্যক্রম ( দ্বিতীয় ও তৃতীয় পক্ষ নিরীক্ষা) পরিচালনা করা।
৮। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ( Internal Audit) কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৯। সংশোধনী উদ্যেগ (Corrective Action Plan) গ্রহণ করা।
১০। ফ্যাক্টরির শ্রমিক-কর্মচারী সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিরাপত্তা নিরাপদ পানীয় জল ,টয়লেট পরিছন্নতা, অগ্নিকাণ্ড কালীন বহিঃর্গমন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
১১। অগ্নি নিরাপত্তা ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
১২। শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।
১৩। শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৪। শ্রমিকের কল্যাণমুলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৫। ঝুঁকি নিরুপন কার্যক্রম পরিচালনা করা (The Conduction of Risk Assessment)।
১৬। মালিক শ্রমিকের মাঝে সম্পর্ক উন্নত করা ও কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা। অর্থাৎ কার্যকর শিল্প সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।
১৭। বিভিন্ন কমিটি গঠন করা সেফটি কমিটি, পিসি কমিটি , এন্ট্রি হ্যারেজমেন্ট কমিটি , গ্রিভেন্স কমিটি ।
১৮। ইলেকট্রিক্যাল সেফটি এবং ফায়ার সেফটি বিষয়ে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স মেইনটেন করা
১৯। ব্যক্তির সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা ।
২০। সকল প্রকার পিপিই সরবরাহ এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করা।
কমপ্লায়েন্স হিসেবে স্বীকৃত কারখানার সুবিধাসমূহঃ
Ø বিখ্যাত ক্রেতারা কারখানাটির ব্যাপারে আগ্রহী হয়;
Ø কারখানা সরাসরি বায়ারের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়;
Ø পন্যের ভালো মূল্যের জন্য দর কষাকষি করা সহজ হয়;
Ø নিয়মিত পন্যের অর্ডার পাওয়া যায়;
Ø কর্মীরা কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং তাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়;
Ø কাজের মান ভাল হয়;
Ø কর্মী স্থানান্তারের হার হ্রাস পায়, ফলে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত হয়;
Ø দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা হ্রাস পায়;
Ø শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রন পর্যায়ে থাকে;
Ø মলিক-শ্রমিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়;
Ø কর্মীরা কাজের প্রতি আগ্রহী হয়;
Ø ব্যবসায় গতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে;
Ø সামাজিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে;
Ø জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনাম বৃদ্ধি পায়; এবং
Ø দেশের পোষাক শিল্পের ইতিবাচক ইমেজ তৈরী হয়, যা আর্ন্তজাতিক বাজারে আমাদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে।কমপ্লায়েন্স অডিট এর প্রকারভেদঃ
(Compliance Audit) এর প্রকারভেদ হলো যথাক্রমেঃ
১। সোস্যাল কমপ্লায়েন্স অডিট ( Social Compliance Audit)
২। কোয়ালিটি ম্যনেজমেন্টঅডিট বা টেকনিক্যাল অডিট ( QMS or Technical Audit)
৩। নিরাপত্তা অডিট ( Security Audit)
2 মন্তব্যসমূহ
শ্রম আইন আছে কিন্তুু মালিক পক্ষের বৃহত্তর সার্থের কথা চিন্তা করে এই আইনগুলোর যথাযত প্রয়োগ এই দেশে নাই 🙃
উত্তরমুছুনরাইট বলছেন আপনি
মুছুন